এক লোক মেলায় ঘোরাঘুরি করে এক জায়গায় এসে দেখল ভাগ্য গণনা করা হচ্ছে। মজা করার জন্য সেও সেখানে গেল। জ্যোতিষী লোকটিকে দেখেই বেশ বিজ্ঞের মতো বললেন, ‘আপনি দুই সন্তানের বাবা।’ ‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা? আমার তিনজন সন্তান।’ লোকটি বলল। জ্যোতিষী তখন হেসে বললেন, ‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা?’
একদিন এক ব্যাঙ ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য জোতিষীর কাছে গেলো। জোতিষী তাকে বললো : খুব শীঘ্রই এক সুন্দরী মেয়ের সাথে তোমার দেখা হবে। মেয়েটি তোমার সম্পর্কে সবকিছু জানে। ব্যাঙ: চমৎকার! তার সঙ্গে আমার কোথায় দেখা হবে? পার্টিতে নাকি অন্য কোথাও? জোতিষী : না! মেয়েটির বায়োলজি ক্লাশে।
তিন বন্ধু ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল প্লেনে করে। হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের প্লেনটা ক্র্যাশ করল। জ্ঞান ফেরার পর তারা আবিষ্কার করল, তিনজনই অল্পবিস্তর আহত। তারা পড়ে আছে একটা অচেনা সৈকতে। তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠল গল্প-সিনেমায় পাওয়া প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার দৃশ্যগুলো। তিন বন্ধু ঠিক করল, তারাও একইভাবে টিকে থাকবে। হেরে যাবে না! শুরু হলো তাদের বেঁচে থাকার লড়াই। গাছের লতা-পাতা, পোকামাকড়, সমুদ্রের নোনা পানি—এসব খেয়ে তাদের দিন কাটতে লাগল। পাশেই একটা পাঁচতারকা হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তিন বন্ধুর কাণ্ড দেখছিলেন পর্যটকেরা। এমন আজব দৃশ্য তাঁরা কখনো দেখেননি!
বাবার সঙ্গে চট্টগ্রাম যাবে বলে ট্রেনে উঠেছে ছোট্ট ছেলেটা। এটাই তার জীবনের প্রথম ট্রেন- ভ্রমণ। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল সে। একটা বাড়ি পেছনের দিকে চলে গেল, চলে গেল একটা গাছ, একটা ল্যাম্পপোস্ট…অবাক হয়ে দেখছিল ছেলেটা। বাবাকে সে চোখ বড় বড় করে প্রশ্ন করল, ‘বাবা, চট্টগ্রাম কখন ট্রেনের কাছে এসে পৌঁছাবে?!’
আফ্রিকার জঙ্গলে বেড়াতে গেছেন এক পর্যটক। বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে গাইডের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। পর্যটক: এখানে কোনো মানুষখেকো জংলি নেই তো? গাইড: নাহ্। নেই। পর্যটক: আপনি নিশ্চিত? গাইড: অবশ্যই। কারণ শেষ যে মানুষখেকোটা ছিল, ওটাকে আমরা গত পরশু খেয়ে ফেলেছি!
ছুটিতে আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জলিল। ফিরে আসার পর বন্ধু শফিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরে, আমেরিকানদের কথা বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?’ জলিল: আমার কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা যা হওয়ার ওদের হয়েছে!