What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (3 Viewers)

গোলের পর গোলদাতা উল্লাসে ফেটে পড়বে, সতীর্থরা এসে আলিঙ্গনে বাঁধবে, আর সেই উৎসবে গ্যালারি থেকেই যোগ দেবে সমর্থকেরা—এটাই তো স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু ভেবে দেখুন, গোলের পর পুরো গ্যালারি হাসছে, আর গোলদাতা বিব্রত, লাজ-রাঙা মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটাই হয়েছিল ১৯৩৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। টানা দ্বিতীয় শিরোপা থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে ইতালি। প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গেল ইতালি। শট নিতে এগিয়ে এলেন অধিনায়ক পেপিনো মিয়াজ্জা। শট নিলেন, গোল হলো এবং প্রায় একই সঙ্গে খুলে পড়ে গেল তাঁর প্যান্ট! হয়েছে কি, খেলা চলার সময়ই মিয়াজ্জার শর্টসটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। পেনাল্টি কিকের সময় জোরালো শট নিতে গিয়ে শর্টসের দফারফা। গোল উদ্যাপন আর সতীর্থের সম্ভ্রম রক্ষা—দুটোই একসঙ্গে করতে হয়েছিল ইতালির খেলোয়াড়দের। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা ঘিরে রেখেছিলেন মিয়াজ্জাকে, ওই আড়ালেই নতুন শর্টস পরে নিয়েছেন মিয়াজ্জা।
 
১৯৩৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হয়েছে। কিন্তু পরদিন আবারও বল নিয়ে মাঠে হাজির হতে হলো ইতালির রাইমন্দো ওরসিকে। আগের দিন দুর্দান্ত শটে গোল করেছিলেন। বারবার চেষ্টা করে যেতে লাগলেন সেই একই রকম আরেকটি শট নেওয়ার। কিন্তু ম্যাচ চলার সময় সহজাতভাবে যে শট তৈরি হয়, সেটি কি আর অভিনয় করে বানিয়ে বানিয়ে করা সম্ভব! একবার না পারিলে দেখ বিশবার। হ্যাঁ, ঠিক বিশতম প্রচেষ্টায় ওই শটটির কাছাকাছি আরেকটি শট নিতে পারলেন ওরসি। ভাবছেন ফাইনালের পরদিন উদ্যাপন-উৎসবে যোগ না দিয়ে এত হাঙ্গামা কেন? আসলে আগের দিন ফাইনালে ওরসির শটটা ঠিকমতো ক্যামেরাবন্দী করতে পারেননি আলোকচিত্রীরা। কিন্তু ওই ছবি তো তাঁদের চাই-ই চাই। আর তাই তাঁদের অনুরোধে ওরসিকে অভিনয় করতে হয়েছিল আরও একবার। একটু রাগও হচ্ছিল তাঁর, কী দরকারটা ছিল ক্যামেরা নামের আজব এই বস্তু আবিষ্কার করার!
 
বাংলায় তো আর বলেননি, ইংরেজিতে ‘উইন অর ডাই’ও বলার প্রশ্ন আসে না; ইতালির সে সময়ের স্বৈরশাসক বেনিতো মুসোলিনি আসলে বলেছিলেন ‘ভিনসেরে ও মরিরে’। ইতালির সঙ্গে বাংলার কী মিল! ‘মরিরে’ মানে যে ‘মরিবে’, এ তো না বলে দিলেও চলছে। ১৯৩৮ বিশ্বকাপের আগে রোম থেকে এমনই সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিরাট হুমকি বয়ে নিয়ে একটি তারবার্তা পৌঁছেছিল প্যারিসে। হিটলারের আশীর্বাদধন্য মুসোলিনির এমন ‘প্রেরণাদায়ী’ বার্তা পেয়েই কিনা সেবার ফাইনালে হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ইতালি, প্রথম দল হিসেবে জিতেছিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা। ওই ম্যাচের পর হাঙ্গেরির গোলরক্ষক আনতল জাবো নাকি বলেছিলেন, ‘আমি হয়তো চারটি গোল খেয়েছি, কিন্তু বিনিময়ে বাঁচিয়ে দিয়েছি অনেক প্রাণ।’
 
বিশ্বকাপে থিকথিকে কাদাযুক্ত মাঠ, এটা এখন কল্পনাই করা যায় না। তবে আগে তো এমন রাজার হাল ছিল না। বৃষ্টির কারণে প্রায়ই বেহাল দশা হতো মাঠের। এমনই প্যাচপ্যাচে কাদাযুক্ত মাঠে খেলা হয়ছিল ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল-পোল্যান্ড ম্যাচটি। মাঠে নামার আগে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার লিওনিদাসের চোখ চকচক করে উঠেছিল কাদা দেখে। এমন কাদাযুক্ত মাঠে খালি পায়ে ফুটবল খেলেই তো বেড়ে উঠেছেন। তাই খুলে ফেলেছিলেন বুট জোড়া। কিন্তু বাদ সাধলেন রেফারি। নিয়ম নেই! কী আর করা, মন খারাপ করেই বুট পরে মাঠে নামলেন লিওনিদাস। করলেন তিন গোল। খালি পায়ে খেলতে না দেওয়া লিওনিদাসকে না জানি আরও কয় গন্ডা গোল থেকে বঞ্চিত করলেন রেফারি আইভান একলিন্ড। এই ‘খালি পায়ে খেলার নিয়ম না থাকা’র কারণে আজ ফিফাও হাপিত্যেশ করছে। ১৯৫০ বিশ্বকাপে খালি পায়ে খেলার অনুমতি দেয়নি বলে ভারত ওই বিশ্বকাপেই খেলেনি। কে জানে, সেখানেই ভারতের ফুটবল সম্ভাবনার মৃত্যু কিনা! ক্রিকেট-উন্মাদ সোয়া শ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে ঢুকতে একের পর এক চেষ্টা করে যে ব্যর্থ হচ্ছে ফিফা!
 
গ্যালারিতে বসে জমজমাট ফুটবল ম্যাচ দেখছেন এক বুড়ো। তাঁর পাশের সিটটা খালি। তাই দেখে কৌতূহল নিয়ে পেছনের সারির একজন প্রশ্ন করেন সেই বুড়োকে, ‘কী ব্যাপার, পাশে খালি সিট নিয়ে বসে আছেন যে? কারও আসার কথা নাকি?’ বুড়ো ভদ্রলোক বললেন, ‘না, কারও আসার কথা নেই। আসলে আমি আর আমার স্ত্রী দুজনই ফুটবলের দারুণ ভক্ত। দুজন একসাথে বসে খেলা দেখি সব সময়। তাই একসাথে দুটো টিকিট কাটার অভ্যাস বহুদিনের। ও মারা গেছে ঠিকই, কিন্তু আমার একসাথে দুটো টিকিট কাটার অভ্যাস যায়নি।’ ‘ও…তা বাড়তি টিকিটটা বন্ধুবান্ধব কাউকে দিয়ে দিলেই পারতেন। সিটটা নষ্ট হতো না।’ বুড়ো ভদ্রলোক লম্বা একটা শ্বাস ফেলে বললেন, ‘দিতাম। কিন্তু আমার বন্ধুবান্ধব সবাই গেছে গোরস্তানে, আমার বউকে কবর দিতে।’
 
রেফারি ম্যাচ চালাতে চালাতে খেয়াল করলেন, একটা মেয়ে দর্শকসারিতে বসে ভারি চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। আর মেয়েটার গলা এমন চড়া, বারবার তার মন ছুটে যাচ্ছে ম্যাচ থেকে। চলল কতক্ষণ এ রকম। শেষে আর সইতে না পেরে রেফারি মেয়েটার কাছাকাছি গিয়ে বললেন, ‘আপনি খুব চেঁচামেচি করছেন, বহুক্ষণ ধরে খেয়াল করছি আমি।’ মেয়েটা গাল দুটো লাল করে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, আমিও বহুক্ষণ ধরে দেখছি, ম্যাচ বাদ দিয়ে আপনি কেবল আমাকেই খেয়াল করছেন।’
 
চাচার মৃত্যুর কথা বলে দোকানের ছোকরা সেলসম্যানটা হঠাৎ ছুটি চাইল। মালিক জিজ্ঞেস করলেন, চাচা কীভাবে মারা গেছেন। ছোকরা: এখনো মারা যান নাই। আজ ফুটবল ম্যাচের তিনিই রেফারি।
 
আমেরিকার একটি ফুটবল দলের কোচের সঙ্গে প্রায়ই তাঁর স্ত্রীর ঝগড়াঝাঁটি হয়। তাই এ ঝগড়ার নিরসন ঘটাতে ফুটবল দলে অনেক চেষ্টা করে কোচ তাঁর ছেলেকে খেলোয়াড় বানিয়েছেন। মাঠে নেমে কোচ তাঁর ছেলেকে খেলার খুঁটিনাটি বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তুমি কি খেলায় দল ও সহযোগিতা বোঝো? ছেলের ঝটপট জবাব, ‘হুম্।’ কোচ আবারও জিজ্ঞেস করলেন, ‘যখন অফসাইড দেওয়া হয় বা ধরো, হুট করে একটি ফাউল দিয়ে দিল, তাহলে রেফারির সঙ্গে কি তোমার তর্কাতর্কি করা ঠিক হবে?’ একটু ভেবেচিন্তে ছেলে জবাব দিল, ‘না, ঠিক হবে না।’ এবার কোচ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছেলেকে বললেন, ‘হুম্, ঠিক আছে। এবার তাহলে তোমার মায়ের কাছে গিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।’
 
আক্কাস আলী তাঁর চাচার সঙ্গে শহরে বেড়াতে এসেছে। মাঠে ফুটবল খেলা দেখে আক্কাস আলী তার চাচাকে জিজ্ঞেস করল, ‘চাচা, এখানে ওই লোকগুলো বলটি নিয়ে অমন ছোটাছুটি করছে কেন?’ চাচা হেসে জবাব দিলেন, ‘ওরা বলটি নিয়ে গোল করার চেষ্টা করছে।’ ‘বল তো গোলই আছে, সেটারে আবার গোল করার জন্য এত ছোটাছুটি করার কী আছে?’ ‘ওদের তো দেখি “গোল” সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাই নেই।’ আক্কাস আলীর জবাব।
 
ফুটবল খেলাটা খুব ভালো বোঝে না মন্টু। তার ওপর মাঝের বিরতির পর একদম শেষের দিকে খেলা দেখতে ঢুকেছে স্টেডিয়ামে। ঢুকেই সে জানতে চাইল পাশের দর্শকের কাছে, ‘আচ্ছা, খেলার স্কোর কত?’ ‘শূন্য, শূন্য’ জবাব দিল পাশের দর্শক। খানিকক্ষণ উসখুস করে মন্টুর পরের প্রশ্ন, ‘আচ্ছা, বুঝলাম। কিন্তু হাফ টাইমের সময় স্কোর কত ছিল, বলুন তো।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top