ক্রিকেটপাগল স্বামী প্রতি ছুটির দিনেই ক্রিকেট খেলতে মাঠে ছোটেন। স্ত্রী: আমার মনে হয়, যে ছুটির দিনে তুমি বাসায় থাকবে, সেদিন আমি খুশিতে মারাই যাব। স্বামী: আমাকে ঘুষ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না!
মোকলেস বহু সাধ-সাধনা করে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দেখতে। মোকলেসকে অনেকক্ষণ ধরে স্টেডিয়ামে বসে থাকা দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘কী ভাই, ম্যাচ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আপনি খালি খালি স্টেডিয়ামে বসে আছেন কেন?’ মোকলেস বলল, ‘আমি তো খেলার হাইলাইটস দেখতে বসে আছি।’
মোকলেস বহু সাধ-সাধনা করে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দেখতে। মোকলেসকে অনেকক্ষণ ধরে স্টেডিয়ামে বসে থাকা দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘কী ভাই, ম্যাচ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আপনি খালি খালি স্টেডিয়ামে বসে আছেন কেন?’ মোকলেস বলল, ‘আমি তো খেলার হাইলাইটস দেখতে বসে আছি।’
নেটে অনুশীলনের সময় কোচ দেখলেন, কোনো ব্যাটসম্যানই ফাস্ট বোলারদের সামলাতে পারছেন না। খেপে গিয়ে তিনি নিজেই ব্যাট হাতে দাঁড়ালেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি নিজেও প্রথম বলে আউট হয়ে গেলেন। এরপর তিনি ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশে চেঁচিয়ে বললেন, ‘ঠিক এভাবেই তোমরা ব্যাট করছিলে। এবার ভালো কিছু করার চেষ্টা করো।’
পোকা আর পাখিদের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে। প্রথমার্ধে পোকারা পাখিদের সঙ্গে মোটেই জুত করতে পারল না। ৩৭টা গোল খেল পোকাদের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ঘটল এক কাণ্ড। পোকাদের দলে কেন্নো এল খেলতে। এসেই সে হালি হালি গোল দেওয়া শুরু করল। শেষে দেখা গেল, কেন্নোর দেওয়া গোলে পোকারা জিতল ৭৭-৩৭ গোলে। পাখিদের তো মাথায় হাত। তাদের দলনেতা দোয়েল খেলা শেষ হলে পোকাদের দলনেতা গুবরেকে ডেকে বলল, ‘কেন্নো এত ভালো খেলে, তো ওকে তোমরা প্রথমার্ধে নামালে না কেন?’ গুবরে পোকা বলল, ‘আমরা তো নামাতেই চাইছিলাম, কিন্তু ব্যাটা সেই যে গত রাত থেকে বুট পরা শুরু করেছে আর আজকে খেলার অর্ধেক শেষ হওয়ার পর তার বুট পরা শেষ হয়েছে। তাই ওর আসতে দেরি হয়ে গেল।’
বহু বছর ধরে টিভিতে খেলা দেখে অভ্যস্ত এক লোক জীবনে প্রথম গেল স্টেডিয়ামে। খেলা শুরুর আগে গ্যালারিতে বসে পাশের দর্শককে জিজ্ঞেস করল সে, ‘ভাই, আজকের ম্যাচটা কি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে? নাকি রেকর্ড করা অবস্থায়?’
প্রথম বন্ধু: একটা সময় ছিল যখন আমাকে ছাড়া আমার পাড়ার ফুটবল টিম কোনো ম্যাচ খেলতেই পারত না। আমি ছিলাম দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য খেলোয়াড়। দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর? প্রথম বন্ধু: তারপর আরকি, আমাদের পাড়ার আরও একটা ছেলে ফুটবল কিনে ফেলল…
দুই চরম ফুটবল ভক্ত বন্ধু প্রতিজ্ঞা করল, তাদের ভেতর যে-ই আগে মারা যাক না কেন যেভাবেই হোক, দুনিয়ায় ফেরত এসে জানাবে যে পরপারে ফুটবল ম্যাচ হয় কি হয় না। একদিন হঠাৎ করে তাদের একজন মরে গেল। মৃত বন্ধুকে কবর দিয়ে এসে রাতের বেলা জীবিত বন্ধু অপেক্ষা করতে থাকে, কখন খবর আসবে বন্ধুর কাছ থেকে। এমন সময় ঘর ভরে গেল কুয়াশায়। জীবিত বন্ধুটি দেখতে পেল, কুয়াশার মধ্যে আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে মৃত বন্ধুর ছায়ামূর্তি। সেই ছায়ামূর্তিকে দেখেই সে ভীষণ কৌতূহলে জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে, কী খবর?’ ছায়ামূর্তি বলল, ‘তোর জন্য দুটো খবর আছে। একটা ভালো, একটা খারাপ!’ ‘কী খবর, তাড়াতাড়ি বল!’ ‘পরপারে ফুটবল খেলা হয়।’ ‘বাহ্! সে তো খুবই ভালো খবর! আর খারাপ খবরটা কী?’ ‘কালকের ম্যাচে তুই রেফারি!’