What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

স্টেডিয়ামে খেলা চলছে। এর মধ্যে দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছে দুই দর্শক। দেখেই রেগেমেগে ছুটে গেলেন কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী দলের ম্যানেজার। অনিয়ম একদম সহ্য করতে পারেন না তিনি। সটান গিয়ে কলার চেপে ধরলেন দুজনের। তারপর হিড়হিড় করে টানতে টানতে আবার এনে বসালেন গ্যালারিতে, ‘এখানেই বসে থাক্। খেলা শেষ হতে এখনো পুরো বিশ মিনিট বাকি!’
 
সেদিন খেলার মাঠে যেমন ঘন কুয়াশা, তেমনি ঝুম বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাস। দুই হাত দূরের জিনিসও দেখা যায় না। এরই মধ্যে হিহি করে কাঁপতে কাঁপতে খেলা দেখছে দুই ইংরেজ ফুটবল-পাগল দর্শক। খানিক পর আর সহ্য করতে না পেরে বিরক্তি প্রকাশ করল একজন, ‘নাহ্, খেলাটা বড্ড একঘেয়ে লাগছে হে। গিয়ে এক কাপ কফি খেয়ে আসি। ’ ‘দাঁড়াও, আরেকটু বসেই দেখি না। খেলাটা তো জমতেও পারে শেষে।’ বিশাল এক হাই তুলে বলল পাশের দর্শক। এই সময় কোথা থেকে এক পুলিশ এসে হাজির। এসেই ক্যাঁক করে উঠল, ‘আরে, গ্যালারিতে বসে কী করছেন আপনারা। খেলা তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় দুই ঘণ্টা হলো।’
 
শারজায় ওয়ান-ডে ক্রিকেট সিরিজ ভারত গো-হারা হেরে দেশে ফিরেছে। লজ্জায় কেউ মুখ দেখাতে পারছে না। সবাই বাড়িতে লুকিয়ে বসে থাকে। শ্রীকান্ত আর থাকতে না পেরে দাড়িগোঁফ লাগিয়ে শিখ পাঞ্জাবি সেজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। খানিক দুর যাবার পর একজন মহিলা জিজ্ঞেস করল, এই যে শ্রীকান্ত, কোথায় যাচ্ছ? শ্রীকান্ত অবাক। মহিলা তাকে চিনল কী করে? পরদিন সালোয়ার-কামিজ পরে মাথায় পরচুলা লাগিয়ে মেয়ে সেজে রাস্তায় বের হল। সেই মহিলার সাথে আবার দেখা। বলল, কি শ্রীকান্ত, কোথায় যাচ্ছ? শ্রীকান্ত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনি আমাকে চিনলেন কীভাবে? মহিলা উত্তর দিল, আমি রবি শাস্ত্রী।
 
দশ উইকেটে হেরে দলটি ফিরে এল ক্লাবে। ক্লাব ম্যানেজার উৎসাহ যোগাতে চাইলেন খেলোয়াড়দের। : নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। হেরেছ তো কী হয়েছে? টসে তো জিতেছিলে।
 
ব্রাজিলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় পিনেইরো এক মৌসুমে গোল করেন ১০টি। সবই আত্মঘাতী। পরের মৌসুমে তাঁকে নামানো হয় স্ট্রাইকার হিসেবে। প্রথম খেলাতেই গোল করেন তিনি। সেটাও আত্মঘাতী। তাঁর ২৫তম জন্মদিনে সতীর্থ খেলোয়াড়েরা তাঁকে একটা কম্পাস উপহার দেয়। সেটার গায়ে খোদাই করে লেখা ছিল—‘মনে রেখো, বিপক্ষ দল অপর প্রান্তে’।
 
ইংল্যান্ড দলের বিখ্যাত উইকেটরক্ষক ফ্রেড প্রাইস সেদিন দুর্দান্ত খেলছিলেন। সাত সাতটি ক্যাচ লুফে নিয়ে তিনি পুরো মাঠ কাঁপিয়ে দিলেন। খেলা শেষে যখন তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন এক ভদ্রমহিলা এলেন তাঁর কাছে। বললেন, আপনার উইকেটকিপিং দেখে আমি দারুণ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আরেকটু হলে বোধহয় গ্যালারি থেকে পড়েই যেতাম। প্রাইস উত্তরে বললেন, পড়ে গেলেও ভয়ের কিছু ছিল না। আজ আমি যে ফর্মে আছি, আপনাকেও নিশ্চয়ই ক্যাচ ধরে ফেলতাম।
 
একের পর এক ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দল, সবাই দোষ দিচ্ছে গোলরক্ষককে। বেচারা গোলরক্ষকও অন্য সবার মতো গোল খেতে খেতে নাজেহাল। মন-টন খারাপ, তাই পার্কে বসে এক দিন হাওয়া খাচ্ছিল সে। হঠাত্ এক বুড়োমতো লোক এসে কাঁধে হাত রাখে তার, ‘বাবা, আমি তোমার অনেক খেলাই দেখেছি। আমার মনে হয়, তোমার এমন খারাপ পারফরম্যান্সে আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি।’ খুশিতে ঝলমল করে ওঠে তার মুখ, বুকে আনন্দের ঢেউ। গা ঝাড়া দিয়ে সে বলে, ‘ওহ্, চাচা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি নিশ্চয়ই ফুটবল কোচ?’ বুড়ো ফোকলা দাঁতে হাসেন, বলেন, ‘নারে বাবা, আমি ফুটবল কোচ নই, চক্ষুবিশেষজ্ঞ!’
 
পরপর দুই দুটি পেনাল্টিতে গোল করতে পারেননি দলের অধিনায়ক। ভেস্তে গেছে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। খেলা শেষের বাঁশি বাজার পর সবার মন-টন বেশ খারাপ। এর মধ্যেই আফসোস সামলাতে না পেরে অধিনায়ক নিজেই বলে বসল—‘ইস রে। এমন সহজ সুযোগ হারালাম, ইচ্ছে করছে নিজেই নিজেকে লাথি মারি।’ ‘চিন্তার কিছু নেই। সেটাও তুমি নির্ঘাত্ মিস করবে।’ জবাব দিলেন পাশে বসে থাকা কোচ।
 
তিন বন্ধুর প্রিয় দল অখ্যাত একটা দলের বিপক্ষে খেলে গোহারা হেরেছে। ফলাফল ৪-০! মন খারাপ করে নিজেদের স্থানীয় দলের হারার কারণ গবেষণা করছে তারা— প্রথম বন্ধু: বুঝলি, সব দোষ ওই ব্যাটা ম্যানেজারের। ব্যাটা কিপ্টুস যদি আর কিছু টাকা ঢেলে বাইরে থেকে ভালো খেলোয়াড় নিয়ে আসত, দেখতি এতক্ষণ নাচতে নাচতে কোমর ব্যথা হয়ে যেত আমাদের! দ্বিতীয় বন্ধু: আমার কিন্তু তা মনে হয় না। যেসব খেলোয়াড় ছিল, ওরাই যদি ভালো করে খেলত, এতক্ষণ আর এমন হায় হায় করতে হতো না! আসলে এই দুর্দশার জন্য ওই পাঁজি খেলোয়াড়েরাই দায়ী। তৃতীয় বন্ধু: উহু, আমি মনে করি—ম্যানেজার, কোচ, খেলোয়াড় কারোরই দোষ নেই। সব দোষ আমাদের মা-বাবার। ভেবে দেখ, যদি অন্য কোনো শহরে আমাদের জন্ম হতো তাহলে কি আর এমন একটা দলকে সমর্থন করি?
 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর লিভারপুলের ফাইনাল ম্যাচ। টান টান উত্তেজনা। মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এর মধ্যে এক দর্শক তার পাশে একটা ফাঁকা আসন নিয়ে বসে আছে। তা দেখে মহা ক্ষ্যাপা অনেকে, ‘ব্যাপার কী আপনার! আমরা এদিকে সিট পাই না, আর আপনি কি না দুটি সিট দখল করে বসেছেন!’ সব শুনেটুনে সেই দর্শক বলল, ‘এটা আমার বন্ধুর সিট।’ ‘তো সে কোথায়? বসে না কেন এসে!’ ‘বসবে কোত্থেকে! সে তো আজ সকালেই মারা গেল!’ ‘সে মারা গেছে! তাহলে এসবের মানে কী? সরুন, আমরা একজন এখানে বসব।’ এবার শক্ত মুখে জবাব দেয় সেই দর্শক, ‘না, আপনি বসতে পারবেন না।’ ‘কেন?’ ‘এই সিট আমার মারা যাওয়া বন্ধুর ভাইয়ের জন্য রেখেছি।’ ‘তো, তাকে ডাকুন, ল্যাঠা চুকে যায়! কোথায় সে, বসে না কেন?’ সেই দর্শক নির্বিকারভাবে জানায়, ‘সে এখন তাঁর ভাইয়ের শবযাত্রায় আছে।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top