What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু হিরালালের মধ্যে কথা হচ্ছে— হিরালাল: কিরে, ছুরিটা স্যাভলন দিয়ে ধোয়ার কী আছে? সর্দারজি: এই ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করব তো, তাই। হিরালাল: তা আত্মহত্যার জন্য স্যাভলন দিয়ে ছুরি ধোয়ার দরকার কী? সর্দারজি: আরে গাধা, এই জং ধরা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করলে তো ইনফেকশন হয়ে যাবে!
 
সর্দারজি প্রতিদিন সকালে তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হন। এটা দেখে একদিন তাঁর বন্ধু দূর থেকে— বন্ধু: আরে, এত সকালে গাধাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছ কোথায়, শুনি? সর্দারজি: অন্ধের মতো কথা বলো কেন? দেখছ না, এটা আমার কুকুর। আর তুমি বলছ গাধা? বন্ধু: আরে, আমি তো তোমাকে বলিনি। আমি প্রশ্ন করেছি তোমার কুকুরকে।
 
সর্দারজি একবার ভারতের পতাকা কিনতে গেছেন দোকানে। তিনি দোকানদারকে বললেন, ‘দাদা, ভারতের পতাকা হবে?’ দোকানদার বললেন, ‘বড় দেখাব, না ছোট?’ দোকানদার বেশ কিছু পতাকা বের করে সর্দারজিকে দেখালেন। একটাও সর্দারজির পছন্দ হলো না। এবার সর্দারজি রাগ হয়ে দোকানদারকে বললেন, ‘এসব কী রঙের পতাকা দেখাও? অন্য কোনো রং থাকলে দেখাও, না হলে আমি অন্য দোকানে গেলাম।’
 
রাস্তার ধারে এক ভিক্ষুকের সঙ্গে সর্দারজির কথা হচ্ছে— ভিক্ষুক: বাবা, একটা টাকা দেবেন? সর্দারজি: রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা চাইতে তোমার লজ্জা করে না? ভিক্ষুক: আরে, আপনার কাছ থেকে এক টাকা ভিক্ষা নেওয়ার জন্য রাস্তায় অফিস খুলে বসব নাকি!
 
বেশ কয়েক দিন ধরে সর্দারজি লাপাত্তা। সর্দারজির স্ত্রী গেছেন পুলিশের কাছে— সর্দারজির স্ত্রী: জনাব, সর্দারজি এক সপ্তাহ আগে আলু কেনার কথা বলে বাজারে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজও বাসায় ফেরেননি। দয়া করে যদি একটু খোঁজ করতেন তাঁর…। পুলিশ: আপনি এত অস্থির হচ্ছেন কেন? আলু বাদে অন্য কিছু রান্না করলেই তো হয়!
 
ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষক বললেন, ‘আচ্ছা, বলো তো বিদ্যুত্ কোথা থেকে আসে?’ প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ। কিছুক্ষণ ভেবে সর্দারজির ছেলের জবাব, ‘স্যার, বিদ্যুত্ আসে আমার মামার বাসা থেকে।’ শিক্ষক অবাক হয়ে বললেন, ‘তোমার মামার বাসা থেকে! তা কীভাবে আসে বলো তো শুনি?’ সর্দারজির ছেলের জবাব—‘স্যার, যখন বিদ্যুত্ চলে যায়, তখন বাবা রাগ হয়ে বলেন, “ ধুর, শালা আবারও বিদ্যুত্ বন্ধ করে দিল!” আমার বাবার শালা তো আমার মামাই হয়, স্যার।’
 
বন্ধুদের আড্ডায় সর্দারজি— সর্দারজি: জানিস, ছোটবেলায় না একবার আমি ২০ তলার ওপর থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। বন্ধু: তাই নাকি! তা সে সময় তুই বেঁচে ছিলি না মরে গিয়েছিলি? সর্দারজি: আরে, তুই তো দেখছি আস্ত বোকা! অত পুরোনো ঘটনা কি কারও মনে থাকে?
 
রেস্তোরাঁয় খাওয়া শেষে বেয়ারা সর্দারজির হাতে বিলের কাগজ ধরিয়ে দিলেন। সর্দারজি পকেট থেকে একটি কার্ড বের করে বেয়ারার হাতে দিয়ে বললেন, ‘এই নিন আমার কার্ড।’ বেয়ারা কার্ডটি দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘কিন্তু এটা তো আপনার রেশন কার্ড।’ সর্দারজি এবার একটু রেগে বললেন, ‘তাতে কী? এটা তো একটা কার্ডই নাকি? আর আপনারাই তো বাইরে বড় করে লিখে রেখেছেন—অল কার্ডস অ্যাক্সেপটেড।
 
ভোলানাথ পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ করল, ‘স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।’ এ কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?’ ভোলানাথের জবাব, ‘ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!’
 
ফুটবল খেলতে গিয়ে ভোলানাথ পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছে। সেই ব্যথা নিয়ে সে কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাজির। তাকে দেখে ডাক্তার বললেন, ‘কী মনে করে এলে, ভোলানাথ?’ ভোলানাথ মুখ কুঁচকে বলল, ‘আর বলবেন না ডাক্তার বাবু, পায়ের ব্যথায় যে মরে যাচ্ছি গো। তাড়াতাড়ি ব্যথা কমানোর বড়ি দিন দেখি।’ ডাক্তার ভোলানাথকে ভালো করে দেখে চিকিত্সাপত্রে কিছু বড়ির নাম লিখে পাশে লিখে দিল—‘ইহার পর হইতে ব্যথা উঠিবার আধাঘণ্টা পূর্বে ওষুধটি সেবন করিবে।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top