What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

সর্দারজি ঘোড়ায় চড়ে শহরে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাচ্ছেন তিনি। একসময় রাস্তার সিগন্যাল বাতিকেও উপেক্ষা করে সামনে এগোতে লাগলেন। এটা দেখে পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে তাঁকে থামিয়ে বলল, ‘সিগন্যাল মানেননি কেন? আপনাকে থানায় যেতে হবে, চলুন।’ সর্দারজি অবাক হয়ে বললেন, ‘আরে মশাই, আপনার কাজ হলো সিগন্যাল না মানলে গাড়ি-ঘোড়ার নম্বর লিখে সেই নম্বরে মামলা ঠুকে দেওয়া। তা আপনি ঘোড়ার পেছনে নম্বর দেখে মামলা করে দেন। আমাকে অযথা থানায় যেতে বলছেন কেন? আপনি তো দেখছি আচ্ছা পুলিশ, নিজেই নিয়ম মানেন না!’
 
সর্দারজির স্ত্রী এক সকালে সর্দারজির ওপর মহাখাপ্পা। সর্দারজি বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হয়েছেটা কী, শুনি? সকালবেলা রাগারাগি করছো কেন? সর্দারজির স্ত্রী চিৎকার করে বললেন, ‘তোমার পকেটে “বাসন্তী” লেখা কাগজ পেলাম কেন?’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে, এই কথা! আমি কাল যে ঘোড়াটি কিনেছি, তারই নাম তো বাসন্তী!’ কিছুদিন পর আবারও সর্দারজির স্ত্রী তাঁর ওপর রাগারাগি শুরু করলেন। সর্দারজি বললেন, ‘আজকে আবার কী হলো?’ সর্দারজির স্ত্রী ঝামটা মেরে বললেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। বোধহয় আজকে তোমার বাসন্তী নামের ঘোড়াটি ফোন করেছে। নাও, ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলো।’
 
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্দারজি একটি গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি কেনার পর থেকে সেই ঋণের টাকা পরিশোধের আর কোনো নাম নেই তাঁর। অনেক তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একদিন সর্দারজির গাড়িটি নিয়ে যায়। এটা দেখে সর্দারজির বন্ধু বললেন, ‘কি রে, তোর গাড়ি তো গেল!’ ‘আরে ধুর, বলিস না! আগে জানলে তো আমি বিয়ের জন্যও ঋণ করতাম, বোধকরি সেটাই ভালো হতো’—সর্দারজির জবাব।
 
জেলখানায় সর্দারজি ও পুলিশের মধ্যে কথোপকথন— পুলিশ: ফাঁসির আগে তোমার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে? আজকে তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করা হবে। সর্দারজি: হুম, একটা ইচ্ছা আছে। পুলিশ: কী সেই ইচ্ছা? সর্দারজি: আমার পা ওপরে আর মাথা নিচে রেখে যেন ফাঁসিটা দেওয়া হয়!
 
সর্দারজি রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার ওপরে বিদ্যুতের তারে একটি পাখি বসে আছে। একসময় পাখিটি মল ত্যাগ করামাত্র সোজাসুজি তা সর্দারজির মাথার ওপর গিয়ে পড়ল। এটা দেখে সর্দারজি আশপাশে তাকালেন কেউ দেখেছে কি না, তা বুঝতে। তারপর মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘তাও ভালো যে, গরু উড়তে পারে না, আর তারের ওপরও বসতে পারে না।’
 
সর্দারজি গেছেন টেলিভিশন কিনতে— সর্দারজি: আচ্ছা, আপনাদের এখানে রঙিন টেলিভিশন আছে? বিক্রেতা: হুম, আছে। তা কোন কোম্পানির টেলিভিশন দেখাব? সর্দারজি: অত কিছু বুঝি না। আমার রঙিন টেলিভিশন চাই। আর যেনতেন রং হলে হবে না। সবুজ রঙের টেলিভিশন দেখান।
 
সর্দারজির বন্ধু সান্তা তাঁকে ফোন করে করে অস্থির— সান্তা: আমি অনেকবার তোমার মোবাইলে ফোন করেছি। বারবার বলছে, ‘মোবাইলটি এই মুহূর্তে বন্ধ আছে।’ ঘটনাটা কী, বলো তো? সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এটা তো আমার ওয়েলকাম টিউন। এটাই বোঝোনি?
 
পুলিশ আর সর্দারজির কথোপকথন— পুলিশ: তুমি জানো, কাল সকাল পাঁচটায় তোমার ফাঁসি দেওয়া হবে। সর্দারজি: হা-হা-হা, বলেন কী? পুলিশ: হাসছ কেন? সর্দারজি: বোকার মতো কথা বললে হাসব না তো কাঁদব নাকি? আমার তো সকাল নয়টার আগে ঘুমই ভাঙে না।
 
বান্তা সিংয়ের স্ত্রী মারা যাওয়ায় সর্দারজি তাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছেন— সর্দারজি: তোমার স্ত্রীর খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। তা এটা হলো কী করে? বান্তা: রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে হুট করে মাথায় গুলি লেগেছিল। সর্দারজি: ওফফ, শুকরিয়া করো যে গুলিটা চোখে লাগেনি।
 
সর্দারজি দোকানে গেছেন কাপড় কিনতে— সর্দারজি: কিছু ভালো কাপড় দেখান তো মশাই। বিক্রেতা: প্লেইনের মধ্যে দেখাব? সর্দারজি: আরে, বিমান-টিমানে নয়, আপনার দোকানেই দেখান না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top