What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

সর্দারজি প্রতিদিন সকালবেলায় স্যুট, কোট ও টাই পরে বাসার কাছেই একটি গাছের মগডালে উঠে বসে থাকেন। প্রতিদিন তাঁর এই স্যুট, কোট পরে গাছে ওঠা দেখে এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রে, তুই প্রতিদিন সকালে এত সুন্দর কাপড়চোপড় পরে গাছের মগডালে উঠে বসে থাকিস কেন? তোর কি কোনো কাজ নেই?’ সর্দারজি বললেন, ‘তোর মাথায় বুদ্ধি থাকলে এ প্রশ্ন করতি না। আমার প্রমোশন হয়েছে। এখন আমি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হয়েছি। তাই তো গাছের ব্রাঞ্চে-ব্রাঞ্চে মানে ডালে-ডালে ঘুরে বেড়াই!’
 
দেশলাই নিয়ে সর্দারজি তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলছেন— সর্দারজি: গাধা কোথাকার। কেমন দেশলাই নিয়ে এলি, যার একটি কাঠিও জ্বলে না। ছেলে: রেগে যাচ্ছ কেন? আমি তো সব কাঠি জ্বালিয়ে পরীক্ষা করেই নিয়ে এসেছি। তা না হলে তো আবার তুমিই রাগারাগি করতে।
 
সর্দার ট্রেনে উঠেছেন। একটু পর টিকিট চেকার এসে তাঁর কাছে টিকিট দেখতে চাইলেন। সর্দারজি পকেট থেকে একটি টিকিট বের করে চেকারকে দিয়ে দিলেন। টিকিট চেকার অবাক হয়ে বললেন, ‘আরে এটা তো পুরোনো টিকিট, নতুন টিকিট কই!’ সর্দারজি রেগে বললেন, ‘কেন আপনার ট্রেন বুঝি এই মাত্র শো রুম থেকে নিয়ে এলেন যে নতুন টিকিট দেখাতে হবে?’
 
সর্দারজি আর তাঁর বন্ধু বান্তার মধ্যে কথা হচ্ছে— বান্তা: পরবর্তী জীবনে তুই কী হতে চাস? সর্দারজি: তেলাপোকা হতে চাই। বান্তা: বলিস কী রে! সবাই কত কী হতে চায়, আর তুই কিনা তেলাপোকা হতে চাস! সর্দারজি: কারণ, আমার স্ত্রী আমাকে মোটেও ভয় পায় না। সে শুধু তেলাপোকাকেই ভয় পায়!
 
সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু সান্তার মধ্যে কথা হচ্ছে— সর্দারজি: জানিস, আমি তো চোখ বন্ধ করলেও দেখতে পারি। সান্তা: বলিস কী রে! তা কী দেখতে পাস বল তো শুনি? সর্দারজি: কেন, অন্ধকার!
 
খোলা মাঠে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সর্দারজির অনেকক্ষণ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাঁর এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে, রোদে মানুষের অবস্থা কাহিল, আর তুই কিনা সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে আছিস! ব্যাপারটা কী!’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা! অনেকক্ষণ বাইরে থেকে এসেছি, ঘেমে গেছি। তাই এখন সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরের ঘামটাকে শুকিয়ে নিচ্ছি।’ সর্দারজির জবাব।
 
সর্দারজি তাঁর মারুতি গাড়িটি নিয়ে একটি শপিং মলে গেছেন। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক তাকিয়ে সর্দারজি লেগে গেলেন গাড়ির চাকা খোলার কাজে। কৌতূহলী হয়ে এক পথচারী ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন, ‘আরে মশাই, আপনি এখানে গাড়িটির চাকা খুলছেন কেন?’ সর্দারজি: ‘কেন, আপনি কী সামনের নোটিশ বোর্ডের লেখাটা পড়তে পারছেন না নাকি? দেখছেন না নোটিশে লেখা ‘এখানে শুধু দুই চাকার গাড়িই পার্ক করা যাবে। আমারটা তো চার চাকার গাড়ি।’
 
সর্দারজির সঙ্গে একজনের নতুন বন্ধুত্ব হয়েছে। তো সেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে সর্দারজির কথা হচ্ছে— বন্ধু: আচ্ছা সর্দারজি, তোমার বিয়ে হয়েছে? সর্দারজি: হুম, হয়েছে তো একটি মেয়ের সঙ্গে। বন্ধু: এভাবে বললে কেন? ছেলেদের সঙ্গেও আবার কারও বিয়ে হয় কি? সর্দারজি: দূর বোকা, তুমি দেখছি কিছুই জানো না। আমার বোনের তো একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে।
 
সর্দারজি গেছেন আর্ট গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী দেখতে। দেয়ালে একটি ছবির দিকে তাকিয়ে সর্দারজি আঁতকে উঠে বললেন, ‘এই ভয়ংকর ছবিগুলোকে আপনারা আধুনিক ছবি বলছেন!’ চিত্রশিল্পী অবাক হয়ে বললেন, ‘ভাই আপনি যেটা ছবি বলছেন, সেটা আসলে একটা আয়না। আর আয়নায় আপনার নিজের ভয়ঙ্কর ছবিটাই হচ্ছেন আপনি।’
 
জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় সর্দারজির ছেলে— পরীক্ষক: আচ্ছা, এই পা দুটো দেখে বলো তো এটা কোন পাখি? সর্দারজির ছেলে: আমি বলতে পারব না, স্যার। পরীক্ষক: তুমি তো ফেল করে যাবে। এই ছেলে, তোমার নাম কী বলো? সর্দারজির ছেলে: এটা বলার আবার কী আছে? আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে নামটা জেনে নিলেই হয়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top