What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

সর্দারজি তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা ব্যাংক ডাকাতি করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। রাতের বেলায় তাঁরা ঢুকে পড়লেন এক ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংকের ভেতর কোনো টাকা-পয়সা না পেয়ে কিছু পানীয়র বোতল দেখে সব বোতল খেয়ে সাবাড় করে দিলেন। ঠিক পরের দিন সংবাদপত্রে শিরোনাম হলো ‘রাজধানীতে ব্লাড ব্যাংক ডাকাতি!’।
 
সর্দারজি অটোরিকশা থেকে নেমে ড্রাইভারকে ভাড়া পরিশোধ করছেন— সর্দারজি: অ্যাই, আপনার ভাড়া কত হলো? ড্রাইভার: স্যার, মিটারে তো ১০০ টাকা হয়েছে। সর্দারজি: এই নাও ৫০ টাকা। ড্রাইভার: স্যার, এটা তো অন্যায় হলো। ১০০ টাকা ভাড়া হয়েছে আর আপনি ৫০ টাকা দিচ্ছেন কেন? সর্দারজি: তুমিও তো অটোরিকশায় বসে বসে এসেছ। তোমার বসে আসার টাকা আমি আমার পকেট থেকে দেব নাকি!
 
আদালতে সর্দারজি আর তাঁর বন্ধুর বিচার হচ্ছে— বিচারক: তোমাদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানো? সর্দারজি: সকাল সকাল দোকানে বাজার করার জন্য। বিচারক: হুম্, তাহলে তো তোমাদের কোনো অপরাধ হয়নি। যা-ই হোক, তোমরা কত সকালে দোকানে গিয়েছিলে? সর্দারজি: জনাব, একটু বেশি সকালেই গিয়েছিলাম। দোকান খোলার আগেই দোকানের ভেতরে গিয়েছিলাম।
 
সর্দারজির দুই ছেলে একই ক্লাসে পড়ে। শিক্ষক সবাইকে তাদের বাবার নাম লিখতে বলেছেন। সবাই তাদের বাবার নাম লিখেছে। কিন্তু সর্দারজির দুই ছেলে দুজনই তাদের বাবার নামের জায়গায় আলাদা নাম লিখেছে। এটা দেখে শিক্ষক অবাক হয়ে বললেন, ‘তোমরা দুই ভাই বাবার নাম আলাদা করে লিখলে কেন?’ ‘আলাদা লিখব না তো কী করব! একই লিখলে তো আপনি আবার বলবেন যে নকল করেছি। তাই তো যাতে নকল বলতে না পারেন, সে জন্যই আলাদা বাবার নাম লিখেছি, স্যার’—দুই ভাইয়ের সোজাসাপ্টা জবাব।
 
সদ্য বিয়ে করেছে সান্তা সিং। বউয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে— সান্তা: আমার তো নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এই গরিবের সংসারে চলতে তোমার সমস্যা হবে না তো? সান্তার স্ত্রী: না, আমার আর কী সমস্যা! চিন্তা করছি তোমাকে নিয়ে। সান্তা: কিসের চিন্তা? সান্তার স্ত্রী: আমি নাহয় বেঁচেবর্তে থাকলাম, তোমার চলবে কী করে!
 
সান্তা: সুয়েজ খালের নাম শুনেছিস? বান্তা: না শোনার কী আছে! সান্তা: শুনে থাকলে ভালো। আরও শুনে রাখ, সেই খালটা আমার বাবা খুঁড়েছিলেন! বান্তা: এটা কোনো ব্যাপার! ডেড সির কথা শুনেছিস? সান্তা: এটা না শোনার কী আছে! বান্তা: শুনলে ভালো। এবার শুনে রাখ, স্বয়ং আমার বাবা সেটা মেরেছিলেন!
 
সান্তা ও বান্তা গিয়েছে মিসরে। মমি দেখে খুবই অবাক তারা— সান্তা: আরে দোস্ত, দেখেছিস কত্তো ব্যান্ডেজ! আমি নিশ্চিত, এই মানুষটা ট্রাকের নিচে পড়েছিল। বান্তা: দোস্ত, আমারও তাই মনে হয়। দেখছিস না পাশে ট্রাকের নম্বরটাও আছে—বিসি ১৭৬০!
 
রেস্তোরাঁয় ঢুকেছে সান্তা আর বান্তা। সান্তা একসময় দাবি করে বসল, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জটিল প্রশ্নগুলোর একটির উত্তর বের করে ফেলেছে সে। বান্তা বলল, ‘প্রশ্নটা কী শুনি?’ সান্তা তো ব্যাপক উত্তেজিত। বলল, ‘ডিম আগে না, মুরগি আগে?’ বান্তা ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘উত্তরটা কী?’ সান্তা চোখ নাচিয়ে বলল, ‘রেস্তোরাঁয় যেটা প্রথম অর্ডার দেবে, সেটাই আগে!’
 
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন। কয়েক মাস পর হোজ্জা তাঁর হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য। ‘আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।’ ‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।
 
হোজ্জা একবার উটের গাড়িতে চড়েছেন মাত্র। গাড়িচালক হোজ্জার কাছে ভাড়া চাইল। শুনে হোজ্জা হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে নেমে যেতে উদ্যত হলেন। চালক বাধা দিয়ে বলল, ‘ভাড়া না দিয়ে আপনি যাচ্ছেন কোথায়?’ ‘আমি হলাম বাদশার খাস বন্ধু। আমার কাছে তুমি ভাড়া চাইছ!’ ‘ঠিক আছে, আপনিই যে হোজ্জা, তার প্রমাণ কী?’ হোজ্জা বললেন, ‘তুমি কি আমাকে গাড়িতে উঠতে দেখেছ?’ ‘নিশ্চয়ই দেখেছি।’ ‘তুমি কি আমাকে চেনো?’ ‘না, চিনি না।’ ‘তাহলে কী করে জানলে যে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি?’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top