What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

সর্দারজির ভয়াবহ জ্বর। চিকিৎসক তাঁকে কতগুলো ট্যাবলেট খেতে দিয়েছেন। খাওয়ার আগে একটা ছুরি দিয়ে ট্যাবলেটগুলোর চারপাশ কেটে ফেলতে শুরু করলেন সর্দারজি। বাসার সবাই ভীষণ অবাক, ‘আরে, আরে! করো কী, করো কী? ট্যাবলেট কাটছ কেন?’ জ্বরের মধ্যেও সর্দারজির মুখে হাসি, ‘আরে বোকারা, ওষুধপত্রের যে সাইড অ্যাফেক্ট আছে, এটা কি তোমরা জান না? ট্যাবলেটের চারপাশ কেটে সেই সাইড অ্যাফেক্টগুলোই দূর করছি।’
 
সর্দারজি খুব বিখ্যাত হয়ে গেছেন কোনো এক কারণে। সাংবাদিক এসেছে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য। এক সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে কিছু জানতে চাইছি।’ সর্দারজি ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু জানাতে চান না কাউকে। তাই বললেন, ‘আমি এ পর্যন্ত বিয়েথা কিচ্ছু করিনি। আসলে বিয়ে মানেই ঝামেলা—এ কথা আমি আমার সন্তানদেরও বলে থাকি সব সময়।’
 
সর্দারজি তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গেছেন বনে। আচমকা একটা সিংহ এসে দাঁড়াল সামনে! দুজনেরই থরহরিকম্প অবস্থা। মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন দুজনই। সর্দারজির বন্ধুর হাতে একটি কলার ছিলকে ছিল। বুদ্ধি করে সেটাই সিংহটার চোখে ছুড়ে দিয়ে বন্ধুটি পগার পার! সর্দারজি তখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপছেন। বন্ধুটি কিছুদূর গিয়ে পেছন ফিরে দেখে এই অবস্থা। ভয়ে আতঙ্কে একশেষ সে। চিৎকার করে বলল, ‘আরে বুদ্ধু, এখনো দাঁড়িয়ে আছ কেন? শিগগির চলে এসো।’ সর্দারজি কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ‘আমি পালাতে যাব কেন! কলার ছিলকে তো আমি ছুড়ে মারিনি! মেরেছিস তুই।’
 
সর্দারজির স্ত্রীর তখন বাচ্চা হবে। হাসপাতালে ভর্তি। সর্দারজি এক সকালে একটা এসএমএস করলেন স্ত্রীর মুঠোফোনে, ‘অবস্থা কী?’ কয়েক সেকেন্ড বাদেই একটি ফিরতি এসএমএস এল, ‘ডেলিভারড’। সর্দারজি চেঁচিয়ে পুরো অফিস মাথায় তুললেন। আধঘণ্টার মধ্যে চলে গেলেন স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ নিতে। গিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী তখনো প্রসব ব্যথায় কাতরাচ্ছেন!
 
পুলিশ: কাল ভোর পাঁচটায় তোমার ফাঁসি! সর্দারজি: হা হা হা! পুলিশ: মাথা ঠিক আছে তো, কী বলেছি শুনেছ? সর্দারজি: শুনব না কেন! কিন্তু বিষয় হলো, আমি ঘুম থেকেই তো উঠি দুপুর বারোটায়!
 
সর্দারজির বন্ধুর স্ত্রী মারা গেছেন— সর্দারজি: আহা রে, তোর বউয়ের হয়েছিলটা কী? এত অল্প বয়সে… বন্ধু: হবে আর কি, গুলি লেগেছিল মাথায়! সর্দারজি: ভাগ্যিস, চোখে লাগেনি!
 
সর্দারজি হেঁশেলে ঢুকলেন। চিনির বয়ামটি খুললেন। ভালো করে দেখেটেখে আবার রেখে দিলেন। আবার কিছুক্ষণ পর একই কাজ করলেন। এভাবে কয়েক মিনিট বাদে বাদে একই কাজ করে যেতে থাকলেন। তা দেখে সর্দারজির স্ত্রী ভীষণ বিরক্ত, ‘বারবার চিনির বয়ামটি খুলছ কেন, ঘটনাটা কী শুনি?’ সর্দারজি একগাল হেসে বললেন, ‘কেন মনে নেই, ডাক্তার সাহেব সেদিন আমাকে নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করতে বললেন যে!’
 
সর্দারজি গেছেন রেস্তোরাঁয় প্রথমবারের মতো কফি পান করতে। সেখানে ঢুকেই ওয়েটার সর্দারজিকে জিজ্ঞেস করল, ‘স্যার, ব্ল্যাক কফি দেব?’ সর্দারজি একটু ভিরমি খেয়ে বললেন, ‘আরে ভাই, ব্ল্যাক কেন, অন্য কোনো কালারের কফি থাকলে দিয়ে দেন। না হলে চলে যাই।’
 
সর্দারজি ও তাঁর এক বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে— সর্দারজি: জানিস, আজ আমার পুরো ৩০ টাকাই লোকসান। বন্ধু: কেন, কী হয়েছে? সর্দারজি: আর বলিস না। সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। টিকিটও কেটেছি। কিন্তু সিনেমা হলের সামনে পোস্টারে দেখি বড় করে লেখা ‘হাউসফুল’। তাই বাধ্য হয়েই ফিরে এলাম। বন্ধু: আরে বোকা, ওই সিনেমার নামই তো ‘হাউসফুল’।
 
সর্দারজি আর তাঁর ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে— ছেলে: বাবা ৪+৩ কত হয়? সর্দারজি: হারামজাদা, পড়াশোনা না করলে এমনই হয়। গাধা কোথাকার! ছেলে: বলো না কত হয়? সর্দারজি: বেয়াদব ছেলে, এটাই পারিস না। ক্যালকুলেটরটা নিয়ে আয়, যা!
 

Users who are viewing this thread

Back
Top