What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (3 Viewers)

২০০০ সালের মার্চে পপতারকা ম্যাডোনা ঘোষণা করেন, দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর এ ঘোষণা শুনে মার্কিন অভিনেতা ও টিভি উপস্থাপক ক্রেগ কিলবোর্ন মন্তব্য করেন, ‘ম্যাডোনার সন্তানটি যদি ছেলে হয়, তাহলে কখনো কোনো পুরুষের সঙ্গে এটাই হবে তাঁর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক।’
 
২০০৪ সালের নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ কানাডা সফরে যান। ইরাক অভিযানের কারণে কানাডার সাধারণ মানুষ তাঁর ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল। কাজেই তিনি অটোয়া পৌঁছানোর পর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন। হাজার হাজার কানাডীয় রাস্তায় নেমে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। বুশ এতে একটুও ক্ষোভ প্রকাশ না করে বলেন, ‘কানাডীয়দের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। আমাকে হাত ছুড়ে বরণ করে নেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
 
১৯৯৭ সালে উচ্চপর্যায়ের এক সফরে যাবেন হলিউড তারকা ডেমি মুর। আয়োজকদের কাছে সফরসঙ্গীদের বড় এক তালিকা পাঠালেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত রূপসজ্জাকর, তাঁর চুলের পরিচর্যাকারী, ব্যক্তিগত সহকারী, বাবুর্চিসহ বেশ কয়েকজন ছিল এ তালিকায়। ডেমি মুরের এক কথা, এই সঙ্গীদের ছাড়া তিনি যাবেন না। তাঁর মন রক্ষার্থে আয়োজকেরা শেষে দুটি জেট বিমান ভাড়া করেন। এ ব্যাপারে ডেমি মুরের কথা, ‘আরও বেশি ভালো কিছু করব বলেই তো আমি এদের নিয়ে চলি, একসঙ্গে কাজ করি।’
 
আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে যোগ দিতে যান। সেখানে একজন বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ মন্তব্য করেন, অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একজন জ্যোতির্বিদ গুরুত্বহীন এক বিন্দু ছাড়া কিছুই নন। জবাবে আইনস্টাইন বলেন, ‘তবে আমার ব্যাপারটি হচ্ছে কি, কোনো মানুষকে যদি আমি এ রকম গুরুত্বহীন বিন্দু মনে করি, দেখি যে ওই ব্যক্তি একজন জ্যোতির্বিদ।’
 
একদিন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের স্ত্রী ও তাঁর ব্যক্তিগত সচিব এডওয়ার্ড মার্শ একটি রেলস্টেশনে চার্চিলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। চার্চিলের সঙ্গে তাঁদের এক জায়গায় যাওয়ার কথা। ট্রেন ছাড়ে ছাড়ে অবস্থা, তবু চার্চিলের দেখা নেই। চার্চিলের স্ত্রী তখন স্বামীর প্রতি উম্মা প্রকাশ করতে লাগলেন। তাঁর উদ্বেগ দেখে অস্থির হয়ে পড়েন মার্শ। একপর্যায়ে তিনি বলে বসেন, ‘উইনস্টন আসলে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের অধিকারী। এ জন্য তিনি ট্রেনকে সব সময় আগেভাগে চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন।’
 
সাবেক রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট একবার এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁকে খেপাতে এক ব্যক্তি উঁচু গলায় চেঁচিয়ে উঠল, ‘স্যার, আমি একজন ডেমোক্র্যাট।’ রুজভেল্ট জানতে চাইলেন, ‘আপনি ডেমোক্র্যাট কেন, জানতে পারি?’ ‘আমার দাদা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, বাবা ছিলেন ডেমোক্র্যাট, কাজেই আমিও ডেমোক্র্যাট।’ ‘এটা কোনো কথা হলো? আপনার দাদা আর বাবা গাধা হলে আপনিও কি গাধা হবেন?’ ‘তা হব কেন, আমি তখন হব রিপাবলিকান।’
 
ব্যতিক্রমী কাহিনীর জন্য সাহিত্যের জগতে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক জন স্টেইনবেক। একদিন দুর্ঘটনাক্রমে আগুন লেগে তাঁর একটি উপন্যাসের হাজারখানেক কপি পুড়ে যায়। বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ট্রাকে ছিল বইগুলো। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি স্বেচ্ছাচারী বাসের সঙ্গে ট্রাকটির সংঘর্ষে আগুন লেগে যায়। আর এতেই বইয়ের কপিগুলোর সাড়ে সর্বনাশ হয়। স্টেইনবেকের ওই উপন্যাসের নাম ছিল দ্য ওয়েওয়ার্ড বাস, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘স্বেচ্ছাচারী বাস’।
 
খ্যাতনামা লেখক রবার্ট লুই স্টিভেনসনের একটি বিখ্যাত বই দ্য স্ট্রেঞ্জ কেস অব ড· জেকিল অ্যান্ড মি· হাইড। ১৮৮৬ সালে তিনি বইটি লেখেন। এ বই লেখার সময় তাঁকে এমন নেশায় পেয়ে বসেছিল যে তিনি ঘোষণা দেন, লেখালেখির সময় তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না। এমনকি বাড়িতে আগুন লাগলেও তাঁর কাছে ঘেঁষা যাবে না।
 
চিত্র পরিচালক উইলিয়াম ওয়াইলার একবার বেশ সমস্যায় পড়লেন। তিনি সে সময় যে ছবিটি পরিচালনা করছিলেন সেটির প্রযোজক স্যামুয়েল গোল্ডউইনকে একটি দৃশ্যের প্রয়োজনীয়তা কিছুতেই বোঝাতে পারছিলেন না। অগত্যা তিনি সেখানে উপস্থিত গোল্ডউইনের ১৫ বছর বয়সী ছেলের দিকে ফিরে বললেন, ‘তুমি কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছ, স্যামি?’ সঙ্গে সঙ্গেই স্যামি উত্তর দিল, ‘অবশ্যই, বিষয়টি আমার কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার।’ এটা শুনে গোল্ডউইন গর্জে উঠলেন, ‘আমরা কবে থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র বানাতে শুরু করেছি?’
 
১৮৪৬ সালে কংগ্রেসে নির্বাচনের প্রাক্কালে আব্রাহাম লিংকন পিটার কার্টরাইট কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রার্থনা সভায় যোগদান করেন। প্রার্থনার একপর্যায়ে কার্টরাইট উপস্থিত প্রার্থনাকারীদের মধ্যে যারা স্বর্গে যেতে চান তাঁদের উঠে দাঁড়াতে বললেন। লিংকন ছাড়া সবাই উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর যাঁরা নরকে যেতে চান না তাঁদের তিনি উঠে দাঁড়াতে বললে এবারও লিংকন ঠায় বসে রইলেন। এটা লক্ষ করে কার্টরাইট বলতে লাগলেন, ‘আমি আশ্চর্যান্বিত। মি. লিংকন যখন স্বর্গেও যেতে চান না আবার নরক থেকেও পরিত্রাণ পেতে চান না, তাহলে তিনি আমাদের বলবেন কি, তিনি কোথায় যেতে চান?’ লিংকন আস্তে উঠে দাঁড়িয়ে জবাব দিলেন, ‘আমি কংগ্রেসে যেতে চাইছি।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top