What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

একবার কালিদাশ নাগ ও তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়েকে বাড়িতে রেখে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথ মজা করে জিজ্ঞেস করলেন, শিশু নাগ (সাপ) কোথায় রেখে এলে? আরেকবার তাঁর বাড়ির চাকর বনমালীকে তাড়াতাড়ি চা আনতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বনমালী দেরি করে আসায় একটু রাগের ভাব ধরে বললেন, ‘চা-কর বটে, সু-কর নয়।’ আরেকবার কবিগুরুর দুই নাতনি এসেছে শান্তিনিকেতনে। তারা আদর করে কবিগুরুর পা টিপতে গেলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন,‘পাণিপীড়ন না পা-নিপীড়ন?’ প্রথমে না বুঝলেও পরে তারা দুজন কবিগুরুর কথায় অনেক মজা পেয়েছিল।
 
একবার ড্যানিয়েল ওয়েবস্টারের বন্ধুর আড়াই শ ডলার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ব্যাংক তাঁকে ঋণ দিতেও রাজি হয়। কিন্তু ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে একজনকে নমিনি হতে হবে। তাঁর বন্ধু ছুটে এলেন তাঁর কাছে। বন্ধুর কথা শুনে ওয়েবস্টার বললেন, ‘ভালো কথা, এ মূহূর্তে আমারও কিছু ডলার দরকার। তুমি এক কাজ করো। পাঁচ শ ডলারের জন্য আবেদন কর। আমি আড়াই শ রাখব আর তুমি আড়াই শ নেবে। তাহলে দুজনেরই সমস্যা মিটে যাবে।’ পরে অবশ্য তাই হয়েছিল।
 
জীবনের শেষ দিকে এসে রবীন্দ্রনাথ একটু সামনের দিকে ঝুঁকে উবু হয়ে লিখতেন। একদিন তাঁকে ওভাবে উবু হয়ে লিখতে দেখে তাঁর এক শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁকে বলল, ‘আপনার নিশ্চয় ওভাবে উপুড় হয়ে লিখতে কষ্ট হচ্ছে। বাজারে এখন এ রকম অনেক চেয়ার আছে যেগুলোতে আপনি হেলান দিয়ে বেশ আয়েশের সঙ্গে লিখতে পারেন। ও রকম একটা আনিয়ে নিলেই তো পারেন।’ লোকটার দিকে খানিকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ জবাব দিলেন, ‘তা তো পারি। তবে কি জানো, এখন উপুড় হয়ে না লিখলে কি আর লেখা বেরোয়। পাত্রের জল কমে তলায় ঠেকলে একটু উপুড় তো করতেই হয়।’
 
চার্চিল তখন কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। সে সময় একবার পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বিতর্ক চলাকালীন বিরোধীদলীয় এক মহিলা চার্চিলকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘আপনি আমার স্বামী হলে আমি আপনার কফির কাপে বিষ মিশিয়ে দিতাম।’ চার্চিল চটজলদি জবাব দিলেন, ‘আর আপনি আমার স্ত্রী হলে সে কফি আমি সানন্দে পান করতাম।’
 
নিজের ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত করার জন্য এক মহিলা একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কাছে গিয়ে বললেন, ‘এটা আমার দাবি, এ পদটা আমার ছেলের প্রাপ্য। আমার দাদা কেসিংটনে যুদ্ধ করেছেন, আমার চাচা ব্লাডেনসবার্গ যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে যাননি, আমার দাদা নিউ অরলিয়ান্সে যুদ্ধ করেছেন আর আমার স্বামী তো মন্টেরিরি যুদ্ধে মারাই গেলেন।’ ভদ্রমহিলার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে লিংকন বললেন, ‘ম্যাডাম, আমার ধারণা আপনার পুরো পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে। এবার অন্যদের একটু সুযোগ দেওয়া উচিত। ’
 
‘দুই দু গুণে কত?’ জিজ্ঞেস করলাম। ‘জানি না’, বলল। বিস্ময়ে আমি চোখ পিটপিট করে তাকালাম তার দিকে। ‘তুমি তো জানতে’, আদর করে বললাম। ‘ভুলে গেছি’, উত্তর দিল। আমি তাকে মনে করিয়ে দিলাম, ‘দুয়ে দুয়ে যত হয়, তত।’ ‘ওহ্, বুঝেছি। ঘেউ-ঘেউ ঘেউ-ঘেউ।’ ‘সাব্বাস,’ আমার প্রশংসা শুনে লেজ নাড়াল সে। দর্শক হাততালি দিয়ে উঠল।
 
জার্মান ভদ্রলোকঃ জার্মান থিয়েটার দেখার শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি কী? ইংরেজ ভদ্রলোকঃ থিয়েটার হ’লে শ্রেফ ঘুমিয়ে পড়া।
 
আমেরিকানঃ ভাগ্যিস কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল! ইউরোপিয়ানঃ না করলে পৃথিবীটা একটু শান্তিতে থাকত।
 
এক রোমান বারে এসে দুই আঙুল তুলে বলল, পাঁচটা বিয়ার হবে প্লীজ?
 
চালকের আসনে ডেভিড, পেছনের সিটে বসেছে ছেলে জনি। হঠাৎই ফাঁকা রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজালেন ডেভিড। ডেভিড: আহা, ভুল করে হর্নে চাপ পড়ে গেছে। জনি: জানি। ডেভিড: কী করে বুঝলে? জনি: কারণ, এবার তুমি ‘নালায়েক, দেখে চলতে পারিস না?’ বলে চেঁচিয়ে ওঠোনি!
 

Users who are viewing this thread

Back
Top