What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (4 Viewers)

বিখ্যাত জাদুকর পি সি সরকার একবার স্টিমারে করে যাচ্ছিলেন। স্টিমারের কিছু যাত্রী তাঁকে চিনে ফেলে একটা জাদু দেখানোর আবদার করল। পি সি সরকার প্রথমে রাজি হলেন না। পরে যাত্রীদের চাপাচাপিতে রাজি হয়ে বললেন, ঠিক আছে, আমি জাদু করে স্টিমারটা থামিয়ে দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পর সত্যি সত্যি স্টিমার থেমে গেল। সবাই যখন তাঁর জাদু দেখে মোহিত, তখন এক যাত্রী এসে বলল, আরে আপনি এখানে, একটু আগে না আপনাকে সারেঙের সঙ্গে কথা বলতে দেখলাম!
 
সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর একটি ছোকরা চীনা ভৃত্য ছিল। মিস মনরো তাকে বললেন: যখন ঘরে ঢুকবে তখন আগে সাড়া দেবে। কারণ আমি সে সময় তো জামা-কাপড় বদলাতেও পারি। কিছুক্ষণ বাদে ঐ ছেলেটি দরজায় টোকা না দিয়েই মিস মনরোর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ল। মিস মনরো: একটু আগে তোমাকে বললাম না দরজায় টোকা দিয়ে তবে ঘরে ঢুকবে। তুমি কী করে জানলে আমি জামা ছাড়ছি না ? ভৃত্য: ম্যাডাম, এটা‌ খুবই সহজ ব্যাপার। দরজাতে চাবির যে ফুটো আছে সেটা দিয়ে দেখে নিয়েছি আপনি কী করছেন।
 
বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সেগান ছোটবেলা থেকেই গ্রহ, নক্ষত্র, তারকার প্রতি কৌতূহলী ছিলেন। একবার তিনি স্থানীয় একটি লাইব্রেরিতে গেলেন তারার ওপর কোনো বই আছে কি না জানতে। লাইব্রেরিয়ান একটা বই ধরিয়ে দিলেন। কার্ল সেগান বইটা বাসায় এনে দেখেন সেটা হলিউডের তারকাদের একটা জীবনী গ্রন্থ।
 
লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র তখন চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর নতুন একটা ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ওই ছবির কাহিনী নিয়ে কথা উঠেছে। বুদ্ধদেব গুহ পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন যে কাহিনীটি তাঁর, প্রেমেন্দ্র মিত্র যা নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। সবাই উদগ্রীব, প্রেমেন্দ্র মিত্র এখন কী বলেন! কিন্তু প্রেমেন্দ্র মিত্র কিছু বলছেন না। কদিন পর প্রেমেন্দ্র মিত্র বিবৃতি দিলেন। তিনি বললেন, ‘চলচ্চিত্রের কাহিনীটি আমার না সেটা সত্যি, তবে বুদ্ধদেব গুহ যেখান থেকে গল্পটি নিয়েছে, আমিও ওই একই জায়গা থেকে নিয়েছি।’
 
দার্শনিকদের কাজ-কারবারই ছিল অন্য রকম। উল্টোভাবে বলা যায়, এ রকম কাজ-কারবার করতেন বলেই তারা দার্শনিক ছিলেন। বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো একবার মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মানুষ হচ্ছে পালকবিহীন দ্বিপদ একটি প্রাণী।’ এই সংজ্ঞা শুনতে পেয়ে আরেক দার্শনিক ডায়োজেনিস একটি মুরগি জবাই করে সবগুলো পালক ফেলে দিয়ে প্লেটোকে পাঠিয়ে দিলেন। সঙ্গে একটি কাগজে লিখলেন, ‘এটাই তোমার সংজ্ঞায়িত মানুষ।’
 
সৈয়দ মুজতবা আলী তখন বেশ বিখ্যাত লেখক। প্রতিদিনই তাঁর দর্শন লাভ করতে ভক্তরা বাসায় এসে হাজির হয়। একদিন এক ভক্ত মুজতবা আলীর কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কোন বই কী অবস্থায় লিখেছেন। মুজতবা আলী যতই এড়িয়ে যেতে চান, ততই তিনি নাছোড়বান্দা। শেষে মুজতবা আলী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বললেন, ‘দেখো, সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল গুসতাফ জাং একদা তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন, কিছু লোক আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কীভাবে লিখি। এ ব্যাপারে আমাকে একটা কথা বলতেই হয়, কেউ চাইলে তাকে আমরা আমাদের সন্তানগুলো দেখাতে পারি, কিন্তু সন্তানগুলো উৎপাদনের পদ্ধতি দেখাতে পারি না।’
 
ভারতের সাংস্কৃতিক জগতে অন্যতম বহুমুখী প্রতিভা কিশোর কুমার অভিনয় ও গানে সমান পারদর্শী ছিলেন। বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন দারুণ এক রসিক মানুষ। একবার কোনো এক পরিচালক তাঁকে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিকের অর্ধেক টাকা দেন। বাকি টাকা নিয়ে ঘোরাচ্ছিলেন। কিন্তু রসরাজ কিশোরের পারিশ্রমিক আটকে রাখে কার সাধ্য? একদিন মাথার চুল অর্ধেক কামিয়ে শুটিং স্পটে হাজির হলেন তিনি। দেখে তো নির্মাতার আক্কেল গুড়ুম! কিশোরকে তিনি শুধালেন, ‘কী ব্যাপার, তোমার এ অবস্থা কেন?’ কিশোর কুমার অবলীলায় বললেন, ‘আজ্ঞে, পারিশ্রমিকের বাকি অর্ধেকটা পেলে বাকি চুলটুকু কামাব ভাবছি।’
 
খ্যাতিমান শিল্পী পাবলো পিকাসোর বাড়িতে একদিন এক অতিথি এলেন বেড়াতে। সারা বাড়ি ঘুরে তিনি ভীষণ অবাক। বাড়িতে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু পিকাসোর কোনো চিত্রকর্ম নেই। এত বড় একজন শিল্পীর বাড়িতে তাঁর নিজের আঁকা ছবি থাকবে না, এ কেমন কথা! কৌতূহল দমাতে না পেরে তিনি পিকাসোকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘কী ব্যাপার, বাড়িতে আপনার আঁকা কোনো ছবি নেই কেন?’ পিকাসো দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলেন, ‘আমার এত টাকা কোথায় যে বাড়িতে পিকাসোর ছবি থাকবে? তাঁর ছবিগুলোর যে দাম!’
 
মহাত্মা গান্ধী একদিন চলতে শুরু করা একটি ট্রেনে ওঠার সময় হঠাৎ তাঁর এক পাটি চটি পড়ে গেল রেললাইনের ওপর। ততক্ষণে গতি বেড়ে গেছে ট্রেনের। ট্রেন থেকে নেমে গিয়ে ওই চটি আনা আর সম্ভব নয়। এ সময় গান্ধীর সহযাত্রীরা অবাক হয়ে দেখেন, নেতা তাঁর অন্য চটিটাও পা থেকে খুলে ছুড়ে দিলেন বাইরে। আর তা পড়ল গিয়ে আগের চটিটির কাছে। সহযাত্রীদের কৌতূহল মেটাতে গিয়ে গান্ধী বলেন, ‘কোনো গরিব লোক নিশ্চয়ই চটি জোড়া কুড়িয়ে নেবে। তখন এটি তাঁর পাদুকা হিসেবে কাজে লাগবে। এক পাটি চটি তো আর কোনো কাজে লাগত না।’
 
খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা আলফ্রেড হিচকক একবার পরিচিত এক ব্যক্তির দাওয়াত পেয়ে রাতের ভোজে যোগ দিলেন। সেখানে অনেক খাবারই ছিল। কিন্তু যে খাবারটি হিচককের সবচেয়ে প্রিয়, তা পরিমাণে খুব কম ছিল। কাজেই মনের ভেতর অতৃপ্তি নিয়ে খাওয়া শেষ করেন তিনি। বিদায় নেওয়ার সময় আয়োজক তাঁকে সৌজন্য দেখিয়ে বলেন, ‘আশা করি, শিগগিরই আবার আপনি আমাদের সঙ্গে খাবেন।’ হিচকক রসিকতা করে ওই খাবারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওই খাবার থাকলে এখনই আবার খাওয়া শুরু করতে কোনো অসুবিধা নেই।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top