What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

শান্তিনিকেতনে একদিন বিকেলে কবির ঘরে সাহিত্য-আলোচনা হচ্ছে। কথা প্রসঙ্গে একটি পত্রিকার নাম ওঠায় রবীন্দ্ৰনাথ বললেন, ‘হ্যাঁ, এক সময় আমি এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম।’ কবির কথা শুনে আর একজন বললেন, ‘তাই নাকি?’ তারপর সেই ব্যক্তি অন্য আর একজনের নাম উল্লেখ করে বললেন, উনি এই পত্রিকার সহ সম্পাদক ছিলেন।’ রবীন্দ্রনাথ সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘সহ কি দুঃসহ বলতে পারব না। তবে ছিলেন বলে মনে হচ্ছে।’ কবির কথায় ঘরে হাসির রোল উঠল।
 
ভূতে বিশ্বাস শান্তিনিকেতনের এক ভদ্রলোক একদিন রবীন্দ্রনাথকে জিগ্যেস করেন, ‘গুরুদেব, আপনি ভূতে বিশ্বাস করেন?’ উত্তরে রবীন্দ্ৰনাথ বলেন, ‘আমি তো বিশ্বাস করিই, স্বচক্ষে দেখেওছি। মাঝে মধ্যে তাঁর দৌরাত্ম্য টের পাই। ভূতেরা সাহিত্যে, রাজনীতিতে এবং এক সময় তুমুল দাপদাপি জুড়ে দেয়। ওরা দেখতে শুনতে ঠিক মানুষের মত।’ রবীন্দ্রনাথের কথা শুনে ভদ্রলোক হেসে ফেলেন ও বোঝেন রবীন্দ্ৰনাথ সাম্প্রতিক সময়ের কিছু মানুষের প্রতি আচ্ছা খোঁচা দিলেন বটে!
 
অনেকগুলো পরিচিত জোকস, তবুও হাসলাম। ধন্যবাদ
 
সুধাকান্ত রায়চৌধুরী বা বলডুইন-এর মাথার টাক বাড়তে দেখে একদিন রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘ও সুধাকান্ত, তোর শিরোদেশ যে ক্রমেই মেঘমুক্ত দিগন্তের আকার ধারণ করছে। খুব সাবধান!’ এ কথা শুনে সুধাকান্ত বললেন, ‘গুরুদেব, আমার বাবারও শেষ জীবনে ও রকম হয়েছিল!’ এবার রবীন্দ্রনাথ হেসে বললেন, ‘তাইতেই বুঝি ওটা শিরোধার্য করেছিস?’ এ কথা শুনে সুধাকান্ত নিজের টাকে হাত বুলিয়ে হেসে ফেললেন।
 
শান্তিনিকেতনে একবার একটি ছোট ছেলে রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখে জানতে চায়–’ডিম জিনিসটাকে কেন আমিষ বলা হয়? নিরামিষ বললে কী ক্ষতি?’ কবি উত্তরে মজা করে লিখলেন, ‘ঠিকই তো, কই ডিমের গায়ের আঁশ দেখেছি বলে তো মনে হয় না। কেমন সুন্দর দিব্যি গোলগাল-খাসা আলুর মত।’ রসিক রবীন্দ্রনাথের উত্তর পেয়ে ছোট ছেলেটি খুবই আনন্দ পায়।
 
নিত্যানন্দ বিনোদ গোস্বামী শান্তিনিকেতনে নতুন অধ্যাপক হয়ে এসেছেন। তিনি যেমন পণ্ডিত, তাঁর চেহারাটাও তেমনি বিশাল। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্ৰথম দেখা করতে গেলে গুরুদেব তাকে ‘আপনি’ সম্বোধন করে কথা বলেন। এতে নিত্যানন্দ বড়ই বিব্রিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রঙ্গ রসিকতা বড়ই বিব্রত হন। কারণ তিনি গুরুদেবের থেকে বয়সে অনেক ছোট। একদিন তিনি বাধ্য হয়েই রবীন্দ্রনাথকে বললেন, ‘গুরুদেব, আপনি আমাকে আপনি আপনি বলছেন কেন? তুমি বলবেন।’ একথা শুনে পরিহাসপ্রিয় রবীন্দ্রনাথ হাসতে হাসতে বললেন, ‘কী করি বাপু, তোমার যে বপুখানি। অন্তত তার মর্যাদা তো দিতেই হবে।’ এ কথা শুনে নিত্যানন্দ হেসে ফেললেন।
 
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্ৰনাথ একজনকে গল্প করতে করতে বলেছিলেন, ‘একটি লোক আমার কাছে এসে দশ টাকা ধার নিয়ে গিয়েছিল। নেবার সময় বলেছিল—গুরুদেব, আমি আপনার কাছে চিরঞ্চণী রইলাম। এ কথা বলে রবীন্দ্রনাথ কিছুক্ষণ চুপ থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন, ‘লোকটা কিন্তু সত্যবাদী ছিল, সে চিরঋণীই রয়ে গেল। দশটাকা সে আর আমাকে ফেরত দিয়ে গেল না।’
 
সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, যাঁর ছদ্মনাম বনফুল, এক সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তাঁর বক্তৃতা শেষ হলে সবাই তাঁর বলার প্রশংসা করলেন। সভায় উপস্থিত রবীন্দ্রনাথও তাঁর বক্তৃতার প্রশংসা করে বললেন, ‘একটা কথা আপনারা সবাই ভুলে যাচ্ছেন কেন–বলাই তো ভালই বক্তৃতা দেবে, ওর নামই যে বলাই! বলাই তো ওর কাজ।’ কবিগুরুর মুখে এই কথা শুনে সভায় হাসির রোল উঠল।
 
ব্যারিস্টার মাইকেল মধুসূদন একদিন হাইকোর্টে যাবার জন্য ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান এবং বেশ আঘাত পান। বেশ কিছুদিন কবিকে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয়। সিউড়ির জমিদার দাক্ষিণারঞ্জণ মুখোপাধ্যায় একদিন কবি-ব্যারিস্টার মধুসূদনকে দেখতে গিয়ে জিগ্যেস করেন, ‘কী হয়েছে?’ শয্যাশায়ী মধুসূদন হেসে উত্তর দিলেন, ‘ভগ্নউরু! কুরুক্ষেত্র রণে।’ কবির রসিকতায় জমিদার হেসে উঠলেন ও কবির দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন।
 
মধুসূদনের বাড়িতে নিয়মিত আড্ডার আসর বসত। একদিন কবি তার বাড়িতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের কবিদের কথা আলোচনা করছিলেন। মধুকবির অত্যন্ত শ্রদ্ধা ছিল কবি কাশীরাম দাসের ওপর। আলোচনা প্রসেঙ্গ কাশীরাম দাসের কথা উঠলে মধুসূদন বলেন, ‘কাশীরাম দাসের সমান কবি আমাদের দেশে আর নাই। দেখ, ওঁর রচিত মহাভারত তে-তলাতেও পড়া হচ্ছে, দে-তলাতেও পড়া হচ্ছে। আবার দোকানে এবং গাছতলাতেও সাধারণ লোকে সুর করে পড়ছে।’ এরপর কবি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের প্রসঙ্গ উঠতে মধুসূদন বলেন, ‘উনি বকুল ফুলের কবি।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top