What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল একবার বক্তৃতা করছিলেন। বলছিলেন, কীভাবে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এমন সময় এক বৃদ্ধা উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, ‘বললেই হলো? পৃথিবী আসলে গোল নয়, চ্যাপ্টা। আর পৃথিবীটা আছে একটা কচ্ছপের পিঠের ওপর। সে কথা আমরা জানি না ভেবেছ?’ বারট্রান্ড হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে ম্যাডাম, আপনার কথাই মানলাম। কিন্তু বলুন তো, যে কচ্ছপটা পিঠের ওপর পৃথিবীটা বয়ে বেড়াচ্ছে, সে কিসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে?’ বৃদ্ধা বললেন, ‘তোমার মাথায় এত বুদ্ধি, আর এটা জানো না? কচ্ছপটার নিচে আছে আরেকটা কচ্ছপ। তার নিচে আরেকটা কচ্ছপ, তার নিচে আরেকটা…!’
 
বিটলস ব্যান্ডের সদস্যদের একবার এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘আপনারা কি মাথায় পরচুলা পরেন?’ ব্যান্ডের পক্ষ থেকে জন লেনন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘না। যদি পরতাম, তাহলে আমাদের চুলই হতো বিশ্বের প্রথম নকল চুল, যাতে আসল খুশকি রয়েছে!’
 
বিখ্যাত নর্তকী ইসাডোনা ডানকান একবার জর্জ বার্নার্ডশকে লিখলেন, ‘ভাবুন তো, আপনি আর আমি যদি একটা শিশুর জন্ম দিই, ব্যাপারটা কী চমৎকারই না হবে! সে পাবে আমার রূপ, আর আপনার মতো মেধা।’ বার্নাড শ’ জবাবে লিখলেন, ‘যদি আমার রূপ আর আপনার মতো মেধা পায়, তবে…?’
 
লিও টলস্টয় একবার বক্তৃতা করছিলেন। বক্তৃতায় সব প্রাণীর প্রতি অহিংস ও সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় একজন প্রশ্ন করল, ‘বনের ভেতর একটা বাঘ যদি আমাকে আক্রমণ করে, কী করব বলুন তো?’ টলস্টয় বললেন, ‘নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। এমন ঘটনা জীবনে বারবার ঘটে না!’
 
কবিগুরুর নাতবউ কমলা একবার গল্প লিখতে বসেছেন। কবির সে কী উৎসাহ! কমলাকে তিনি বলছিলেন, ‘কেমন গল্প? গল্পের মধ্যে কটা বিয়ে আছে? নেই? বিয়ে ভাঙাও নেই? ধুর ছাই, তুমি কোনো কর্মের না। একটা বিয়ে দিতে পারলে না?’
 
একবার এক সভা শেষে ফেরার পথে কবিগুরু চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন, ‘দেখলে চারু আমার প্রায়শ্চিত্ত। আমি নাহয় গোটা কয়েক গান কবিতা লিখে অপরাধ করেছি। তাই বলে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এ রকম যন্ত্রণা দেওয়া কি ভদ্রতাসম্মত? গান হলো। কিন্তু দুজনে প্রাণপণ শক্তিতে পাল্লা দিতে লাগলেন যে কে কত বেতালে বাজাতে পারেন আর বেসুরে গাইতে পারেন। গান যায় যদি এ পথে তো বাজনা চলে তার উল্টো পথে। গায়ক-বাদকের এমন স্বাতন্ত্র্য রক্ষার চেষ্টা আমি আর কস্মিনকালেও দেখিনি। তারপর ওই একরত্তি মেয়ে, তাকে দিয়ে নাকিসুরে আমাকে শুনিয়ে না দিলেও আমার জানা ছিল যে, “তঁবু মঁরিতে হঁবে”।’ (গানের প্রথম লাইনটি ছিল ‘তবু মরিতে হবে’।)
 
রবীন্দ্রনাথকে একবার এক ভদ্রলোক লিখলেন, ‘আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন?’ কবি উত্তরে লিখলেন, ‘বিশ্বাস করি বা না করি, তাদের দৌরাত্ম্য মাঝে মাঝে টের পাই—সাহিত্যে, রাজনীতিতে সর্বত্রই একেক সময় তুমুল দাপাদাপি জুড়ে দেয় এরা। দেখেছি। দেখতে ঠিক মানুষের মতো!’
 
একবার শান্তিনিকেতনে ওজন মাপার যন্ত্র কেনা হলো। যন্ত্র দিয়ে ছেলেমেয়েদের একে একে ওজন নেওয়া হচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা লক্ষ করছিলেন। একেকজনের ওজন নেওয়া শেষ হলেই কবি তাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘কিরে তুই কত হলি?’ এর মধ্যে একটি মেয়ের ওজন হলো দুই মণ। মেয়েটির বিয়ের আলাপ চলছিল, কবি তা জানতেন। মজা করে তিনি বললেন, ‘কিরে, তুই এখনো দু মন? এখনো এক মন হলি নে!’
 
১ম বন্ধু: মার্ক জাকারবার্গ কোটিপতি হতে পেরেছেন কেন জানিস? ২য় বন্ধু: কেন? ১ম বন্ধু: কারণ, তাঁর মা কখনো তাঁকে বলেননি, ‘সারা দিন খালি ফেসবুক, ফেসবুক আর ফেসবুক! তুই কিন্তু ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় নষ্ট করছিস!’
 
স্টিভ জবস ও বিল গেটসের মধ্যে কথা হচ্ছিল। বিল গেটস: গতকাল একটু ব্যাংকে গিয়েছিলাম। স্টিভ জবস: কেন? বিল গেটস: একটা লোনের ব্যাপারে কথা বলতে। স্টিভ জবস: তাই নাকি? তা কত টাকা লোন দরকার তোমার। বিল গেটস: আমার না। ব্যাংকের দরকার!
 

Users who are viewing this thread

Back
Top