What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

বিদ্যাসাগর খেতে ও খাওয়াতে খুবই ভালবাসতেন। কখনো কখনো তিনি অতিথিদের নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতেন। খাদ্যসামগ্ৰী পরিবেশনের সময় তিনি ছড়া কেটে বলতেন: ‘হুঁ হুঁ দেয়ং হাঁ হাঁ দেয়ং দেয়ঞ্চ করকম্পনে শিরসি চালনে দেয়াং ন দেয়ং ব্যাঘ্ৰঝম্পনে ৷’ অতিথিরা স্বভাবতই বিদ্যাসাগরের এই রসিকতায় মজা পেতেন !
 
পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিদ্যালয়ের এক পণ্ডিত একবার কতগুলি নিম্নমানের নীতিকথা জাতীয় কবিতা রচনা করে বিদ্যাসাগরকে দেখান। কবিতাগুলি পড়ে বিদ্যাসাগর বিরক্ত হন। কেমন লাগল। কবিতাগুলি ? সেই পণ্ডিতের প্রশ্ন শুনে কবিতাগুলির শেষে রসিকতা করে বিদ্যাসাগর লিখে দিলেন– ‘জেনে রেখে এ জগতে সকলেই গরু যে যারে ঠেকাতে পারে সেই তার গুরু।’ এই দু লাইন পড়ে সেই পণ্ডিত বুঝে গেলেন কবিতাগুলি সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের মনোভাব।
 
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে একবার রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন নাটকের মহড়া চলছিল। নাটকে রঘুপতি সেজেছিলেন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর জয়সিংহের ভূমিকায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। একটা দৃশ্য ছিল এমন, জয়সিংহের মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে শোকবিহ্বল রঘুপতি। দৃশ্যটার মহড়া চলছিল বারবার। দীনেন্দ্রনাথ বাবু ছিলেন কিছুটা স্থূলকায়। বারবার তাঁর ভার বহন করা কবিগুরুর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। একবার দীনেন্দ্রনাথ একটু বেকায়দায় রবিঠাকুরের ওপর আছড়ে পড়লেন। রবীন্দ্রনাথ কঁকিয়ে উঠে বললেন, ‘ওহে দিনু, মনে করিস নে আমি সত্যি সত্যিই মারা গেছি!’
 
একবার ট্রেনে ওঠার সময় মহাত্মা গান্ধীর পায়ের এক পাটি জুতো খুলে পড়ে গেল। ট্রেন ততক্ষণে চলতে শুরু করেছে। নেমে জুতোটা তুলে নেওয়ার উপায়ও নেই। গান্ধী চটজলদি তাঁর আরেক পায়ের জুতোও খুলে ফেলে দিলেন। সহযাত্রীরা অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চাইলেন। গান্ধী বললেন, ‘কোনো গরিব লোক হয়তো জুতোটা খুুঁজে পাবে। এক পায়ের জুতো পেয়ে তো তাঁর কোনো লাভ নেই। তাই দুই পায়েরটাই দিয়ে গেলাম।’
 
একবার ভুলবশত একটি পত্রিকায় প্রখ্যাত লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হলো। পরদিন রুডইয়ার্ড পত্রিকা অফিসে ফোন করে বললেন, ‘আপনাদের পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম, আমার মৃত্যু হয়েছে। অতএব দয়া করা আগামীকাল থেকে আপনাদের পত্রিকার গ্রাহক-তালিকা থেকে আমার নামটা বাদ দেবেন।’
 
একবার ভুলবশত একটি পত্রিকায় প্রখ্যাত লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হলো। পরদিন রুডইয়ার্ড পত্রিকা অফিসে ফোন করে বললেন, ‘আপনাদের পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম, আমার মৃত্যু হয়েছে। অতএব দয়া করা আগামীকাল থেকে আপনাদের পত্রিকার গ্রাহক-তালিকা থেকে আমার নামটা বাদ দেবেন।’
 
মঞ্চনাটক দেখতে গিয়ে একবার এক কিশোরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হলেন আর্থার কোনান ডয়েল। ছেলেটিকে কাছে ডেকে বললেন, ‘চালিয়ে যাও। তোমার মধ্যে প্রতিভা আছে। অনেক নাম হবে তোমার।’ শুনে ছেলেটি প্রস্তাব করল, ‘আপনি আর আমি কি একসঙ্গে কাজ করতে পারি? দুজনের আয় নাহয় সমান ভাগে ভাগ করে নেব।’ এমন ধৃষ্টতা দেখে কিছুটা বিরক্তই হয়েছিলেন ডয়েল। বাচ্চা ছেলের আবদার ভেবে তিনি খুব একটা পাত্তা দেননি। বড় হয়ে সেই কিশোর সত্যিই দুনিয়া মাতিয়েছিল। আমরা তাকে চার্লি চ্যাপলিন নামে চিনি!
 
জার্মান লেখক এবং রাজনীতিবিদ জোহান ওল্ফগ্যাং একবার বন্ধুর কাছে বিশাল এক চিঠি লিখলেন। চিঠির শেষে ‘বি. দ্র.’ দিয়ে লেখা ছিল, ‘দুঃখিত। সময়স্বল্পতার কারণে চিঠিটা অল্প কথায় লিখতে পারলাম না।’
 
মার্ক টোয়েন একবার ট্রেনে চড়েছেন। একে তো ট্রেন এসেছিল দেরি করে, তার ওপর ট্রেনটি চলছিলও খুব ধীরগতিতে। এমন সময় কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলেন। টোয়েন তাঁর হাতে অর্ধেক ভাড়া ধরিয়ে দিলেন। কন্ডাক্টর রাগতস্বরে বললেন, ‘অর্ধেক ভাড়া দিলেন কেন মশাই? অর্ধেক ভাড়া তো শিশুদের জন্য। আপনি কি শিশু?’ টোয়েন উত্তর করলেন, ‘না, শিশু নই। তবে তোমার ট্রেনে যখন উঠেছিলাম, তখন মনে হয় শিশুই ছিলাম।’
 
প্লেটো একবার বললেন, ‘মানুষ হলো একটি পালকবিহীন দুই পাবিশিষ্ট প্রাণী।’ এর কিছুদিন পর এক গবেষক একটি পালকবিহীন মুরগি নিয়ে প্লেটোর ক্লাসে হাজির হলেন। বললেন, ‘দেখো দেখো! এই হলো প্লেটোর মানুষ!’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top