What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

শরৎচন্দ্র একবার সবান্ধব নিমন্ত্রিত হয়ে গেছেন চন্দননগরের হরিহর শেঠের বাড়িতে। হরিহর ছিলেন ধনী, সদাশয়, মহানুভব ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি ঠিক যেন রাজপ্রাসাদ। । ঘরে দামী আসবাবপত্র, ঘর সাজানোর জিনিস। অতিথিরা ঘুরে দেখছেন। একটি হল ঘরে বিপরীতমুখী দুটি দেওয়ালে দুটি বিশাল আয়না লাগানো। তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন, বাবা! কত বড় আয়না! আমার সামনে দিক ও পিছনের দিক এক সঙ্গে দেখা যাচ্ছে! বেশ মজা তো! ভাগ্যিস এসেছিলুম এখানে। তাই এরকম মজার আয়না দেখতে পেলুম। শরৎচন্দ্রের কথা শুনে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ না হেসে পারলেন না।
 
শরৎচন্দ্র একবার হোয়াইট এ ওয়ে লোডেল কোম্পানীর সেলে তিন টাকা পনের আনায় একটি হাত ঘড়ি কিনেছিলেন। কেনার পর ঘড়িটা পুবার মেরামত করতে হয়। তৃতীয়বার ঘড়িটি খারাপ হলে তিনি একগ্লাস কেরোসিন তেলে ঘড়িটি ডুবিয়ে রাখেন। আশ্চর্য! ঘড়িটি এর ফলে ঠিক হয়ে যায়। এর পর থেকে যখনই কারো ঘড়ি খারাপ হওয়ার কথা শুনতেন তখনই তাঁদের ঘড়িটি কেরোসিন তেলে ডুবিয়ে রাখার পরামর্শ দিতেন। তবে কেউ তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী কেরোসিনে ঘড়ি ডুবিয়ে উপকৃত হয়েছেন কিনা তা তিনি জানতে পারেন নি।
 
শরৎচন্দ্র তার ভাগ্না-ভাগ্নীদের সঙ্গে খুব মজা করতেন। একবার তিনি তাঁর স্নেহের ভাগ্নী পারুললতাকে মজা করে বলেন, এই পারু, তুই এখানে বসে আছিস, ওদিকে আশালতা আমাকে খুব বড়ো একটা মাছের মুড়ো খেতে দিয়েছে। যা গিয়ে দেখে আয়। একথা শুনে দৌড় লাগাল পারুললিতা, গিয়ে দেখল। সব মিথ্যা, মাছের মুড়ো নেই! ফিরে এসে বড় মামা শরৎচন্দ্ৰকে একথা বলতে তিনি হেসে উঠে বললেন, কী রে। পারু, কেমন ঠকালাম!
 
রাজশাহীর বাড়িতে রজনীকান্ত একদিন কতগুলি হাঁসের ডিম এনে ঘরের এক কুলুঙ্গিতে রেখে দেন। এবং সেটা কাউকে না জানিয়েই। পরের দিন কবি তার স্ত্রীর কাছে ডিম চাইলেন। স্ত্রী জানতে চাইলেন, হ্যাঁ গো, ডিমগুলো কোথায়? রজনীকান্ত হেসে উত্তর দিলেন, উঁচুতে রেখেছি, যাও ডিম পেড়ে আনো।
 
রাম ভাদুড়ী মহাশয় একদিন কান্তকবি রজনীকান্তকে বললেন, ও রজনী, শুনলাম তুমি নাকি কাল কোন একটা বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলে। বিয়েতে যে গেলে, তা দিলে কী? খেলেই বা কী? পেলেই বা কী? উত্তরে রজনীকান্ত হোসে রসিকতা করে বললেন, আজ্ঞে, দৌড় দিলাম, আছাড় খেলাম, ব্যথা পেলাম! এ কথা শুনে রাম ভাদুড়ী হোসে উঠলেন।
 
একবার এক কুলীন বন্ধুর বিবাহে বরযাত্রী হয়ে যান কবি রজনীকান্ত সেন। বন্ধুর এটি ছিল দ্বিতীয় বিবাহ। বিবাহের পরের দিন সকালে বর নধবধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন রজনীকান্তও সঙ্গে ছিলেন। মাঝপথে নববধূ প্রবল জুরে আক্রাস্ত হলেন। জ্বর প্রায় ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠল। বরের মুখে নববধূর ১০৩ ডিগ্রি জুরের কথা শুনে রজনীকান্ত রসিকতা করে ছড়া কেটে বললেন, নববধূর বাড়িতেও এক সতীন, আবার পথেও ১০৩! এ কথা শুনি রজনীকান্তর বর বন্ধু এই পরিস্থিতিতেও না হেসে পারলেন না!
 
কবি রজনীকান্ত একবার রোগ শয্যায় শুয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। কবি রসময় লাহা তার আরাম গ্ৰন্থখানি সেই সময় রজনীকান্তকে উপহার দিয়ে যান। উপহার পেয়ে খুশি হয়ে রজনীকান্ত রসময়কে মজা করে বলেব, আমার এই ব্যারামে বেশ আরাম দিলেন।
 
কবি রজনীকান্ত সেন এক সকালে বসে কবিতা লিখছিলেন। সেই সময় তার বাড়িতে এলেন আর এক কবি রসময় লাহা। রসময় তার সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ছাইভস্ম রজনীকান্তকে উপহার দিয়ে বললেন, এই নিন, আমার ছাইভষ্ম। রজনীকান্তর অমৃত নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সবে মাত্র বেরিয়েছে। ছাইভম্ম বইটি নিয়ে রজনীকান্ত তাঁর অমৃত বইটি রসময় লাহাকে উপহার দিয়ে রসিকতা করে বললেন, ছাইভন্ম দিয়ে অমৃত নিয়ে যান।
 
স্বামী বিবেকানন্দ সাইকেল চড়া শেখাচ্ছিলেন সারদানন্দকে। সারদানন্দ স্বামী ছিলেন স্থূলকায় পুরুষ। ইচ্ছা ছিলনা, একপ্রকার বিবেকানন্দের চাপে পড়ে সাইকেলে চড়লেন বটে, তবে দুপাশে দুজনকে রাখলেন, যাতে পড়ে না যান! দূর থেকে এক মালী এ দৃশ্য দেখে হাসছিল। বিবেকানন্দ রসিকতা করে বললেন, আমাদের সাইকেলে চড়া দেখে মালী ছোড়া যে হাস করছে! তাদের বল হাস করছস ক্যান? বিবেকানন্দের কথা শুনে নার্ভাস সারদানন্দও হেসে ফেললেন।
 
এক সাহেব দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে বলেন, আমার ইচ্ছে ইংরেজরা ভারতবর্ষ থেকে চলে যায়, আর এক জাতি এসে বাঙালিকে ছিন্নভিন্ন করে। তারা যেমন ইংরেজ বিরূপ, ইংরেজ বিদ্বেষী, তেমন ফল পাবে, বেশ হবে!’ চটজলদি দ্বিজেন্দ্রলাল সাহেবের মুখের ওপর উত্তর দিলেন, ‘আমিও দেখব। ইংরেজ সাহেবেরা ভারতবর্ষ ছেড়ে গেলে কেমন অনাহারে মরবে, বেশ হবে!’ সাহেবের আর উত্তর দেওয়ার মুখ রইল না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top