What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

গ্রাম থেকে আসা এক লোক ঢাকার মহাখালী ফ্লাই ওভার দেখে তার এক বন্ধুকে বলল, আচ্ছা, সরকারের কী মাথা খারাপ হয়ে গেল ? বন্ধু ২: কেন সরকারের মাথা খারাপ হতে যাবে ? বন্ধু ১: আমাদের কুড়ি গ্রামে অনেক খাল-নদী আছে এবং আমরা অনেক কস্ট করে ঐ সব খাল-নদী পারাপার হই, অথচ, সরকার ঐখানে ব্রীজ না করে এখানে শু্কনো রাস্তার উপর ব্রীজ দিয়ে রাখলো!
 
প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বিমলভূষণের সঙ্গে দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতের দেখা হতে বিমলভূষণ জিগ্যেস করলেন, দাদাঠাকুর, বলুন কেমন আছেন? চলেছেন কোথায়? দাদাঠাকুর রসিকতা করে বলেন, ভায়া, ঠাকুরের একটা কু। আর কুকুরের দুটো কু। মনে রাখবেন দুটোই কিন্তু পথে পথে ঘোরে। এবার বুঝুন কেমন আছি। একথা শুনে বিমলভূষণ হেসে ফেললেন।
 
দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত ট্যাকে বা চাদরের খোটে পয়সা রাখতেন। এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, আপনি আয়রণ চেস্টে টাকা পয়সা রাখেন না কেন? উত্তরে দাদাঠাকুর বলেন, বুঝলে না, যাদের চেস্ট আয়রণের মত, তারাই ইয়রণ চেস্টে টাকা রাখে। এ কথা শুনে ব্যক্তিটি হেসে ফেললেন।
 
একপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাঙ্ক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দাদাঠাকুর বললেন, ব্যাঙ্কে আমার অ্যাকাউন্ট খোলাই তো আছে। পরিচিত ব্যক্তি জানতে চাইলেন, দাদা, কোন ব্যাঙ্কের? উত্তরে দাদাঠাকুর বললেন, রিভার ব্যাঙ্কে। এই ব্যাঙ্কে কারেন্ট অ্যাকাউণ্ট করা সোজা নয়। ফ্লোটিং অ্যাকাউন্ট, সিঙ্কিং ফাণ্ড সব কিছুই আছে। এই ব্যান্ধে। এ কথা শুনে পরিচিত ব্যক্তিটি হেসে ফেললেন।
 
একবার এক বড়লোক দাদাঠাকুরকে বলেন, আপনি খালি পায়ে ঘুরে বেড়ান কেন? উত্তরে দাদাঠাকুর বলেন, বাগদাদের রাজাও তো খালিপা (অর্থাৎ খালিফা)। আমি খালিপা হলে দোষ কোথায়?
 
দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত ছিলেন এক জীবন রসিক। তিনি তার প্রখর রসবোধকে চরম শোকের মুহুর্তেও বিসর্জন দেননি। তাঁর প্রিয় পুত্র যখন ৬৪ দিন রোগ ভোগের পর মারা গেল তখনও তিনি অন্যের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন নি। মনের কষ্ট মনেই রেখে তিনি কথামত গিয়েছিলেন কল্লোল পত্রিকার দপ্তরে। সেখানে পুত্রের মৃত্যু প্রসঙ্গে নিজের স্বভাব সুলভ সরস ভঙ্গিতে মন্তব্য করেন, ৬৪ দিন অনেক কষ্টে ড্র রেখেছিলুম। কিন্তু আজ গোল দিয়ে গেল।
 
এক বন্ধু দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতকে জিগ্যেস করেন, এম এল এ-দের সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? উত্তরে দাদাঠাকুর বলেন, পরের কাছ থেকে ভাতা-ভাড়া মেলে। এ মেলে ও মেলে বলেই তো উনারা দেশের নেতা, অর্থাৎ দোতা নেহি। দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতের রঙ্গ রসিকতা একথা শুনে প্রশ্নকর্তা বন্ধুটি না হেসে পারলেন না।
 
এক পরিচিত ভদ্রলোক একদিন দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতকে জিগ্যেস করলেন, মশাই, আপনি রবি ঠাকুরকে দেখেছেন? প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে দাদাঠাকুর বললেন, না দেখিনি, তবে দেখা হলে আমি বলতুম, আপনি যেমন ঠাকুর, আমিও তেমন পণ্ডিত। এ কথা শুনে সেই ভদ্রলোক হেসে উঠলেন।
 
শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতও। সকলের সঙ্গে খেতে বসেছেন দাদাঠাকুর। সুস্বাদু বিভিন্ন পদ। তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। একজন পরিবেশক দাদাঠাকুরের পাতে ছানার ডালনা দিয়ে গেলেন। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নলিনীকান্ত বললেন, দাদাঠাকুর, গরুর ছানার ডালনা আর একটু নেবেন নাকি? সঙ্গে সঙ্গে দাদাঠাকুর বললেন, দাও ভাই, গরুর ছানার অকেশনেই তো এসেছি। এ কথা শুনে নলিনীকান্ত ও অন্যরা হেসে উঠলেন।
 
এক আড্ডার আসরে একজন ব্যক্তি রসিকতা করে দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতকে জিগ্যেস করলেন, দাদাঠাকুর, আপনার উপাধিটা কী করে পণ্ডিত হলো? প্রশ্ন শুনে মুচকি হেসে রসিক দাদাঠাকুর উত্তরে বললেন, কেন হবে না বলো, কোনও বস্তু যখন খণ্ড খণ্ড হয় তখন তাকে বলে খণ্ডিত, তেমনি আমি যখন যেখানে যাই সেখানকার সব কাজ পণ্ড করে দিই। –তাই আমি পণ্ডিত। এ রকম মজার উত্তর পেয়ে প্রশ্ন কর্তা সহ আসরের সকলে হেসে উঠলেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top