[HIDE]
জেমসের গানে নাচতে থাকা দর্শকদের ভীড় ঠেলে ঠেলে কোন রকমে মাহফুজ সাবরিনা পোর্টেবল টয়লেট গুলোর সামনে এসে পৌছাল। প্রত্যেক টয়লেটের সামনে বেশ লম্বা লাইন। মেয়েদের জন্য দুইটা টয়লেট আলাদা করা, প্রত্যেক টয়লেটের সামনে প্রায় সাত আটজন করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই লাইন দেখে সাবরিনা দমে গেল। সামনেই টয়লেট আছে এই ভেবে একটু হাফ ছেড়েছিল। আপনি দেখবেন যখন এরকম প্রচন্ড টয়লেট চাপে তখন টয়লেট সামনে দেখলে যেন আর প্রবল বেগে চেপে আসে। এই লাইন পেরিয়ে আগামি বিশ মিনিটে ভিতরে ঢুকা যাবে বলে মনে হয় না। লাইনে দাঁড়িয়ে গরমে ঘামতে থাকা সাবরিনা যেন এখন আর বেশি ঘামতে থাকে। কপালের পাশ দিয়ে দর দর করে ঘাম নামছে। মুখ নরম হয়ে গেছে। পেটের চাপে খালি পা নাড়াচ্ছে, স্থির হয়ে থাকতে পারছে না। জেমস নতুন গান ধরেছে “দুখিনি দুঃখ করো না, ভুল যদি হয়ে থাকে কর ক্ষমা”। স্লো বিটের গান। দর্শক হাত নাড়িয়ে গান গাইছে। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ চারিদিকে। সাবরিনা কিছুই উপভোগ করতে পারছে না, ঘামছে দরদর করে। পেটের ভিতর চাপ বাড়ছে, এত পানি খাওয়ার জন্য নিজেকে নিজেই গাল পাড়ছে মনে মনে। বার বার পায়ের উপর ভর বদল করছে, একবার ডান পা আরেকবার বাম পা। হিসু ধরলে এমন করলে একটু বেগ কমে। কিছুই যেন বেগ কমাতে পারছে না। ঐদিকে জেমস গাইছে “ভুল যদি হয় তবে কর ক্ষমা”। উফ, অসহ্য।
সাবরিনার চোখে পানি চলে আসছে। কি অসহ্য চাপ পেটে। মনে হচ্ছে একটু নিয়ন্ত্রণ ছাড়লেই বুঝি বন্যা বয়ে যাবে। এত কিছুর মাঝেও ওর গত শুক্রবারের আয়নার সামনের দৃশ্যের কথা মনে পড়ে। জীবনে প্রথমবারের মত সেদিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল নিজের উপর, পা বেয়ে গরম পানির ঝর্ণাধারা যেন ওর মনে পড়ে গেল। এইসব সময়ে আপনি যা যা মনে না করতে চাইবেন আপনার মন যেন তাই তাই আপনাকে বেশি মনে করিয়ে দিবে। সাবরিনার মনে হয় ছি, কেমন ঘরের মেঝের উপর সেদিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিতরের পানিটা উগড়ে দিয়েছিল। সেটা মনে পরতেই পেটের উপর যেন চাপ আর বাড়ে। পেটের ভিতর জমে থাকা পানি যেন বের হবার রাস্তা খুজছে। এই সময় মাহফুজ কে সাবরিনার চোখে পড়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ওয়াকিটকিতে কথা বলছে। এই লোকটা যত নষ্টের গোড়া। মাহফুজ না থাকলে সাবরিনা কে এই কনসার্টে লিয়াজো বানানো হত না। তাহলে আজকে এই দূর্দশা হত না ওর। জেমস গান বদল করেছে। এখন গাইছে, “কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না”। জেমস, নিজের অফিস, এই কনসার্ট সবার উপর সাবরিনার রাগ ধরে যায়। বিশেষ করে মাহফুজ। লাইন থেকে বেরিয়ে মাহফুজের কাছে গিয়ে সাবরিনা ঝাড়ি দেয় কিছু একটা করেন, আমি আপনাদের গেস্ট। সাবরিনার ঝাড়িতে মাহফুজ একটু বিব্রত হয়, রাগও হয়। লাইনে দাঁড়ানো মেয়ে গুলো মুচকি মুচকি হাসে। মাহফুজ রাগ হলেও প্রকাশ করে না। জিজ্ঞেস করে, খুব ইমার্জেন্সি? প্রশ্ন শুনে সাবরিনার রাগ আর বেড়ে যায়। কি বোকার মত প্রশ্ন, ইমার্জেন্সি না হলে হিসুর মত একটা ব্যক্তিগত ব্যাপারে মাহফুজের সাথে ও কথা বলতে আসে, কেমন মেয়ে ভাবে মাহফুজ ওকে। চোখ পাকিয়ে তাকায় সাবরিনা। মাহফুজ বুঝে এবার ওর কিছু একটা করতে হবে। তাই সে তার অর্গানাইজার কার্ড খেলে।
মাহফুজ সাবরিনা কে নিয়ে একদম লাইনের সামনে যায়। একজন টয়লেট থেকে বের হতেই মাহফুজ টয়লেটের দরজা ধরে সাবরিনা কে ঠেলে দেয়। সবাই হই হই করে উঠে, এটা কি হল। আমরা লাইনে আছি। মেয়েদের সাথে তাদের বয়ফ্রেন্ড বা বন্ধুরা এসেছে, তারা হয়ত লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। তারাও আর জোরে চিতকার করে উঠে এটা কি হচ্ছে। হিরো গিরির এমন সুযোগ কে ছাড়ে বলুন। মাহফুজ এবার কড়া কন্ঠে ছেলে গুলো কে ধমকে দেয়। হাতের ওয়াকিটকি আর গলার অর্গানাইজার কার্ড দেখিয়ে বলে বেশি কথা বললে মেরে একদম শুইয়ে দিব। মাহফুজের আগ্রাসী মনোভাব আর ওয়াকিটকি দেখে ছেলে গুলো ভাবে ও বুঝি পুলিশের লোক তাই চুপ মেরে যায়, কে চায় বাবা পুলিশের সাথে অহেতুক ঝামেলা। মেয়ে গুলো চুপ করে না। লাইনে দাঁড়িয়ে চেচিয়ে উঠে। সাবরিনার তখন কাতর অবস্থা, এভাবে লাইন ভেংগে নিজে কখনো কোথাও আগে যায় না, আর যারা যায় ওদের একদম দেখতে পারে না। তবে আজকে ওর অবস্থা সংগীন। নিয়ম ভাংগতেই হবে। মাহফুজ এবার কৌশলী হয়। মেয়েদের দিকে তাকিয়ে গলা নামিয়ে বলে, আপু প্লিজ যেতে দেন, বেশি ইমার্জেন্সি। মাহফুজের কথা শুনে সাবরিনার কান লাল হয়ে যায়। মেয়ে গুলো সব ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কয়েকজন মুচকি হাসছে। ওর পেটের খবর যেন জেনে গেছে সবাই। মেয়ে গুলো তাকিয় আছে, মাহফুজ আবার বলে আপুরা প্লিজ, খুব ইমার্জেন্সি। এবার মেয়েরা একটু নরম হয়, একজন বলে তাড়াতাড়ি যান। সাবরিনা হাফ ছেড়ে ভিতরে ঢুকতেই একটা অসহ্য নোংরা বোটকা গন্ধ নাকে লাগে। পাবলিক টয়লেটে দিনশেষে যেমন গন্ধ হয় তেমন। সাবরিনার পেট উলটে বমি আসতে থাকে। তার উপর টয়লেট সিটটা দারুণ নোংরা। ছি। হালকা হলুদ পানি লেগে আছে, জিনিস টা কি বুঝতে অসুবিধা হয় না সাবরিনার। নাক চেপে তাই প্রায় সংগে সংগে বের হয়ে আসে। মাহফুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, কি হলো? সাবরিনা কোন রকমে উত্তর দেয় এই টয়লেট আমার পক্ষে ইউজ করা সম্ভব না। লাইনে সামনে থাকা একজন ফোড়ন কাটে, আসছে আমার রাজরাণী। জেমস গাইছে এদিকে, “আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব”। লাইনে পেছনে থাকা আরেকজন জিজ্ঞেস করে কি হল আপু, আপনার না বলে ইমার্জেন্সি। লাইনে সামনে থাকা আরেকজন সাবরিনার হয়ে যেন উত্তর দিল, উনি নাকি এইসব টয়লেট ইউজ করবে না, নোংরা। লাইনের মাঝে একজন জোরেই বলল, আপু কি হোটেলে শেরাটনের সুইট ভাবছিলেন নাকি। একটা হাসির রোল উঠে লাইনে। মাহফুজ বুঝে এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো ঠিক হবে না। মাহফুজ তাই শেষবারের মত জিজ্ঞেস করে, ট্রাই করে দেখেন। সাবরিনা একবার তাকায় টয়লেটের দিকে, সংগে সংগে সেই নাড়ি উলটানো গন্ধের কথা মনে আসে। কাদো কাদো চোখে সাবরিনা না সূচক মাথা নাড়ায়। মাহফুজ ভাবতে থাকে কি করা যায়। একটা বুদ্ধি আসে মাথায়। সাবরিনার হাত ধরে টান দেয়, বলে চলেন। লাইনে দাঁড়ানো, একজন ওদের চলে যেতে দেখে বলে, বয়ফ্রেন্ড সাথে থাকলে মেয়েরা যে নিজেদের কি ভাবে, দেখি দুইজন কই যায়। আশেপাশে তো শেরাটন হোটেল দেখি না। আবার লাইনে হাসির রোল উঠে।
[/HIDE]
জেমসের গানে নাচতে থাকা দর্শকদের ভীড় ঠেলে ঠেলে কোন রকমে মাহফুজ সাবরিনা পোর্টেবল টয়লেট গুলোর সামনে এসে পৌছাল। প্রত্যেক টয়লেটের সামনে বেশ লম্বা লাইন। মেয়েদের জন্য দুইটা টয়লেট আলাদা করা, প্রত্যেক টয়লেটের সামনে প্রায় সাত আটজন করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই লাইন দেখে সাবরিনা দমে গেল। সামনেই টয়লেট আছে এই ভেবে একটু হাফ ছেড়েছিল। আপনি দেখবেন যখন এরকম প্রচন্ড টয়লেট চাপে তখন টয়লেট সামনে দেখলে যেন আর প্রবল বেগে চেপে আসে। এই লাইন পেরিয়ে আগামি বিশ মিনিটে ভিতরে ঢুকা যাবে বলে মনে হয় না। লাইনে দাঁড়িয়ে গরমে ঘামতে থাকা সাবরিনা যেন এখন আর বেশি ঘামতে থাকে। কপালের পাশ দিয়ে দর দর করে ঘাম নামছে। মুখ নরম হয়ে গেছে। পেটের চাপে খালি পা নাড়াচ্ছে, স্থির হয়ে থাকতে পারছে না। জেমস নতুন গান ধরেছে “দুখিনি দুঃখ করো না, ভুল যদি হয়ে থাকে কর ক্ষমা”। স্লো বিটের গান। দর্শক হাত নাড়িয়ে গান গাইছে। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ চারিদিকে। সাবরিনা কিছুই উপভোগ করতে পারছে না, ঘামছে দরদর করে। পেটের ভিতর চাপ বাড়ছে, এত পানি খাওয়ার জন্য নিজেকে নিজেই গাল পাড়ছে মনে মনে। বার বার পায়ের উপর ভর বদল করছে, একবার ডান পা আরেকবার বাম পা। হিসু ধরলে এমন করলে একটু বেগ কমে। কিছুই যেন বেগ কমাতে পারছে না। ঐদিকে জেমস গাইছে “ভুল যদি হয় তবে কর ক্ষমা”। উফ, অসহ্য।
সাবরিনার চোখে পানি চলে আসছে। কি অসহ্য চাপ পেটে। মনে হচ্ছে একটু নিয়ন্ত্রণ ছাড়লেই বুঝি বন্যা বয়ে যাবে। এত কিছুর মাঝেও ওর গত শুক্রবারের আয়নার সামনের দৃশ্যের কথা মনে পড়ে। জীবনে প্রথমবারের মত সেদিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল নিজের উপর, পা বেয়ে গরম পানির ঝর্ণাধারা যেন ওর মনে পড়ে গেল। এইসব সময়ে আপনি যা যা মনে না করতে চাইবেন আপনার মন যেন তাই তাই আপনাকে বেশি মনে করিয়ে দিবে। সাবরিনার মনে হয় ছি, কেমন ঘরের মেঝের উপর সেদিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিতরের পানিটা উগড়ে দিয়েছিল। সেটা মনে পরতেই পেটের উপর যেন চাপ আর বাড়ে। পেটের ভিতর জমে থাকা পানি যেন বের হবার রাস্তা খুজছে। এই সময় মাহফুজ কে সাবরিনার চোখে পড়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ওয়াকিটকিতে কথা বলছে। এই লোকটা যত নষ্টের গোড়া। মাহফুজ না থাকলে সাবরিনা কে এই কনসার্টে লিয়াজো বানানো হত না। তাহলে আজকে এই দূর্দশা হত না ওর। জেমস গান বদল করেছে। এখন গাইছে, “কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না”। জেমস, নিজের অফিস, এই কনসার্ট সবার উপর সাবরিনার রাগ ধরে যায়। বিশেষ করে মাহফুজ। লাইন থেকে বেরিয়ে মাহফুজের কাছে গিয়ে সাবরিনা ঝাড়ি দেয় কিছু একটা করেন, আমি আপনাদের গেস্ট। সাবরিনার ঝাড়িতে মাহফুজ একটু বিব্রত হয়, রাগও হয়। লাইনে দাঁড়ানো মেয়ে গুলো মুচকি মুচকি হাসে। মাহফুজ রাগ হলেও প্রকাশ করে না। জিজ্ঞেস করে, খুব ইমার্জেন্সি? প্রশ্ন শুনে সাবরিনার রাগ আর বেড়ে যায়। কি বোকার মত প্রশ্ন, ইমার্জেন্সি না হলে হিসুর মত একটা ব্যক্তিগত ব্যাপারে মাহফুজের সাথে ও কথা বলতে আসে, কেমন মেয়ে ভাবে মাহফুজ ওকে। চোখ পাকিয়ে তাকায় সাবরিনা। মাহফুজ বুঝে এবার ওর কিছু একটা করতে হবে। তাই সে তার অর্গানাইজার কার্ড খেলে।
মাহফুজ সাবরিনা কে নিয়ে একদম লাইনের সামনে যায়। একজন টয়লেট থেকে বের হতেই মাহফুজ টয়লেটের দরজা ধরে সাবরিনা কে ঠেলে দেয়। সবাই হই হই করে উঠে, এটা কি হল। আমরা লাইনে আছি। মেয়েদের সাথে তাদের বয়ফ্রেন্ড বা বন্ধুরা এসেছে, তারা হয়ত লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। তারাও আর জোরে চিতকার করে উঠে এটা কি হচ্ছে। হিরো গিরির এমন সুযোগ কে ছাড়ে বলুন। মাহফুজ এবার কড়া কন্ঠে ছেলে গুলো কে ধমকে দেয়। হাতের ওয়াকিটকি আর গলার অর্গানাইজার কার্ড দেখিয়ে বলে বেশি কথা বললে মেরে একদম শুইয়ে দিব। মাহফুজের আগ্রাসী মনোভাব আর ওয়াকিটকি দেখে ছেলে গুলো ভাবে ও বুঝি পুলিশের লোক তাই চুপ মেরে যায়, কে চায় বাবা পুলিশের সাথে অহেতুক ঝামেলা। মেয়ে গুলো চুপ করে না। লাইনে দাঁড়িয়ে চেচিয়ে উঠে। সাবরিনার তখন কাতর অবস্থা, এভাবে লাইন ভেংগে নিজে কখনো কোথাও আগে যায় না, আর যারা যায় ওদের একদম দেখতে পারে না। তবে আজকে ওর অবস্থা সংগীন। নিয়ম ভাংগতেই হবে। মাহফুজ এবার কৌশলী হয়। মেয়েদের দিকে তাকিয়ে গলা নামিয়ে বলে, আপু প্লিজ যেতে দেন, বেশি ইমার্জেন্সি। মাহফুজের কথা শুনে সাবরিনার কান লাল হয়ে যায়। মেয়ে গুলো সব ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কয়েকজন মুচকি হাসছে। ওর পেটের খবর যেন জেনে গেছে সবাই। মেয়ে গুলো তাকিয় আছে, মাহফুজ আবার বলে আপুরা প্লিজ, খুব ইমার্জেন্সি। এবার মেয়েরা একটু নরম হয়, একজন বলে তাড়াতাড়ি যান। সাবরিনা হাফ ছেড়ে ভিতরে ঢুকতেই একটা অসহ্য নোংরা বোটকা গন্ধ নাকে লাগে। পাবলিক টয়লেটে দিনশেষে যেমন গন্ধ হয় তেমন। সাবরিনার পেট উলটে বমি আসতে থাকে। তার উপর টয়লেট সিটটা দারুণ নোংরা। ছি। হালকা হলুদ পানি লেগে আছে, জিনিস টা কি বুঝতে অসুবিধা হয় না সাবরিনার। নাক চেপে তাই প্রায় সংগে সংগে বের হয়ে আসে। মাহফুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, কি হলো? সাবরিনা কোন রকমে উত্তর দেয় এই টয়লেট আমার পক্ষে ইউজ করা সম্ভব না। লাইনে সামনে থাকা একজন ফোড়ন কাটে, আসছে আমার রাজরাণী। জেমস গাইছে এদিকে, “আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব”। লাইনে পেছনে থাকা আরেকজন জিজ্ঞেস করে কি হল আপু, আপনার না বলে ইমার্জেন্সি। লাইনে সামনে থাকা আরেকজন সাবরিনার হয়ে যেন উত্তর দিল, উনি নাকি এইসব টয়লেট ইউজ করবে না, নোংরা। লাইনের মাঝে একজন জোরেই বলল, আপু কি হোটেলে শেরাটনের সুইট ভাবছিলেন নাকি। একটা হাসির রোল উঠে লাইনে। মাহফুজ বুঝে এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো ঠিক হবে না। মাহফুজ তাই শেষবারের মত জিজ্ঞেস করে, ট্রাই করে দেখেন। সাবরিনা একবার তাকায় টয়লেটের দিকে, সংগে সংগে সেই নাড়ি উলটানো গন্ধের কথা মনে আসে। কাদো কাদো চোখে সাবরিনা না সূচক মাথা নাড়ায়। মাহফুজ ভাবতে থাকে কি করা যায়। একটা বুদ্ধি আসে মাথায়। সাবরিনার হাত ধরে টান দেয়, বলে চলেন। লাইনে দাঁড়ানো, একজন ওদের চলে যেতে দেখে বলে, বয়ফ্রেন্ড সাথে থাকলে মেয়েরা যে নিজেদের কি ভাবে, দেখি দুইজন কই যায়। আশেপাশে তো শেরাটন হোটেল দেখি না। আবার লাইনে হাসির রোল উঠে।
[/HIDE]