[HIDE]
সাবরিনা টের পায় ওর পুসিতে জোয়ার আসছে, ভিজে যাচ্ছে। জোয়ার আসায় সাদমানের পেনিস আর সহজে যাতায়ত করতে থাকে ভিতরে বাইরে। উত্তেজনায় সাদমান আর গতি বাড়ায়। সাদমানকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরে সাবরিনা। চোখ বন্ধ করে খালি এই মূহুর্ত টা অনুভব করতে চায়, সব পাপবোধ মন থেকে ঝেড়ে শরীর কে শুদ্ধ করতে চায়। সাবরিনা টের পায় সাদমানের হয়ে আসছে। তাই পা দুইটা দিয়ে সাদমানের কোমড় বেড়ির মত আকড়ে ধরে আর হাত দিয়ে পিঠ। সাদমান এখন সর্বশক্তিতে কোমড় নাড়াচ্ছে, মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বর বের হচ্ছে। সাবরিনা চোখ বন্ধ করে সব কিছু মুছে ফেলতে চায়। সাদমান সাবরিনার কানের কাছে বলে, আমার হবে। প্রতিবার যেন সাদমান ওর রিলিজের আগে পারমিশন চায়, একদম নিয়ম মেনে। হাউ প্রেডিক্টেবল। এটা মাথায় আসতেই যেন ঝটকা দিয়ে আবার বন্ধ চোখের কল্পনায় মাহফুজ এসে হাজির হয়। মাহফুজ যেন হাসতে হাসতে বলছে সো প্রেডেক্টেবল। মাহফুজ কে মাথা থেকে তাড়াতে আর জোরে হাত পা দিয়ে সাদমান কে চেপে ধরে সাবরিনা। সাবরিনার চেপে ধরায় সাদমান আর জোশে থাপাতে থাকে। মাহফুজ এবার আর জোরে হেসে যেন মাথার ভিতর বলে দ্যাটস মাই গার্ল। মাহফুজের ভারী কন্ঠস্বর চিন্তা করে যেন সাবরিনার শরীরে আগুন ধরে যায়। ওর পুসির ভিতর সাদমানের পেনিস কে যেন জাপটে ধরে ভ্যাজাইনার ভিতরের দেয়াল। উত্তেজনায় আর পারে না সাদমান, আহহহহহ করে ভিতরে সব ঢেলে দেয়। ভিতরে সাদমানের বীর্যের উতক্ষেপন টের পেয়ে যেন সাবরিনারও রিলিজ হয়। আহহহহহহ। আর কানের ভিতর যেন মাহফুজ বলছে দ্যাটস মাই গার্ল। তুমি আমাকে যত দূরে ঠেলার চেষ্টা কর না কেন, আই উইল বি অলওয়েজ উইথ ইউ।
সোলায়মান শেখ সেগুনবাচিয়ায় ট্যাক্স অফিসের সামনে একটা চায়ের দোকানে বসে বসে সিগারেট টানছে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে চারপাশে। এই এলাকায় বেশ কয়েকটা সরকারী অফিস আছে তাই দিনের বেলা এইসব চায়ের দোকানে অনেক ভীড় হয়। বিকাল পাচটায় অফিস ছুটির পর এইসব ভিড় কমে যেতে থাকে। এখন সন্ধ্যা সাতটা, দোকানে লোক নেই বললেই চলে। একটু পরে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। সোলায়মান অপেক্ষা করছে একটা পাজেরো জিপের জন্য। গত কয়েকদিন ধরে একটা জিনিস সোলায়মান শেখ কে ভাবাচ্ছে। ডিবির ইন্সপেক্টর হিসেবে অনেক রকম মানুষ, অনেক রকম কেসের সাথে ডিল করছে গত অনেক বছর। এইসব ডিল করতে করতে ভিতরে ভিতরে একটা সেন্স গড়ে উঠেছে তার, অনেকটা গাট ফিলিংস টাইপ। অনেক সময় কিছু জিনিস দেখে তার মনে হয় এটা আসলে যা দেখা যাচ্ছে সেটাই পুরা চিত্র না, হয়ত সামনে কোন প্রমাণ নেই কিন্তু তারপরেও হয়ত এটা পুরো সত্য না। এত বছর চাকরি করে নিজের এই সেন্সের উপর একটা আস্থা গড়ে উঠেছে। মাহফুজের কাছে গত সাপ্তাহে একটা কাজ পেয়েছিল, একজন ট্যাক্স ক্যাডারের কমিশনারের খবর বের করতে হবে। সাধারণত বড় সরকারি অফিসারদের পিছনে গোয়ান্দাগিরি সে করে না যদি না সরকারি আদেশ থাকে বা মাসুদ ভাইয়ের মত বড় কোন নেতা পার্সনালি কোন নির্দেশ দেয়। কেননা বড় সরকারি অফিসারের পিছনে গোয়ান্দাগিরি করা সব সময় বিপদজনক, কোন ভাবে উনারা টের পেলে এরপর ঝড় বইয়ে দিবেন তখন পিছনে ভাল ব্যাকিং না থাকলে বা উপযুক্ত কারণ না থাকলে চাকরির খেল খতম।
মাহফুজ ছেলেটাকে আগে থেকে চিনে সোলায়মান শেখ ছেলেটার নানার সূত্রে। পুলিশে চাকরি পাবার পর ঢাকায় পোস্টিং পাবার ব্যাপারে হেল্প করেছিল, এছাড়া শুরুর দিকে সব পলিটিক্যাল নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ওর নানা। মাহফুজের বাবার সাথেও ভাল খাতির। মাহফুজ এখন চলে মাসুদ ভাইয়ের সাথে আর মাসুদ ভাই হচ্ছে সোলায়মান শেখের মেইন পলিটিক্যাল ব্যাকিং। মাঝে মাঝে এর বদলে মাসুদ ভাই কিছু কাজ দেয়, নিজ দল বা প্রতিপক্ষের কার খোজ বের করে দেওয়া, কি যায়, কি করে এইসব। ডিবির চাকরির কারণে এইসব কাজ করা ইজি সোলায়মান শেখের কাছে। তবে ছোটখাট কার কাজ নেয় না সোলায়মান শেখ। মাহফুজের কাজটা নিল ওর ফ্যামিলির প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ছেলেটার ভবিষ্যত চিন্তা করে। ছেলেটা বুদ্ধিমান আর জানে কোথায় কি করতে হবে। বয়স অনুযায়ী পলিটিক্সে এগিয়ে আছে আবার এমন কিছু করে না যাতে সবার চক্ষুশূল হবে। তার উপর তাকে যখন কাজটা বুঝিয়ে বলল তখন সোলায়মান শেখ সত্য কথা বলতে এক ধরণের কৌতুহল বোধ করলেন। মাহফুজ সরকারি দলের ঢাকা দক্ষিণের যুব সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। যথেষ্ট ক্ষমতাশালী পোস্ট, বয়স মাত্র ৩১/৩২ হবে। এই পোস্টে আগে যে ছিল হেলাল, ওর এই পোস্টে আসতে ৩৮/৩৯ বছর লেগে গিয়েছিল। সাধারণত মাহফুজের লেভেলের নেতারা ধান্দায় থাকে টেন্ডারে টাকায় কিভাবে বড় নেতাদের থেকে কিছু ভাগ পাওয়া যায়, দুই একটা ছোটখাট সাবকন্ট্রাক্ট বাগানো, এলাকা ভিত্তিক চাদা তোলা এইসব। সেখানে মাহফুজ একজন ট্যাক্স কমিশনার লেভেলের অফিসারের খবর বের করতে চাচ্ছে, কারণ হিসেবে বলেছে এই তথ্য দিয়ে নাকি সেই অফিসারের সাথে ডিল করবে। এই ছেলের সাহস এবং বুদ্ধি আছে। যে কাজ মাসুদ ভাইয়ের মত বড় নেতারা করে সে কাজ এই ছেলে এই বয়সে করার সাহস দেখাচ্ছে। হাসত হাসত সোলায়মান জিজ্ঞস করেছিল, ধর তোমারে এই ইনফরমেশন আমি যোগাড় করে দিলাম তা তুমি এই জিনিস দিয়া কি করাব? হাসতে হাসত জিজ্ঞস করলেও মনের ভিতর একটা চিন্তা ছিল সোলায়মানের যদি এই তথ্য দিয়ে সরাসরি ব্লাকমেইল জাতীয় কিছু করত যায় তাহলে এতবড় অফিসার সহজে ভড়কে না যেতে পারে এবং বরং খোজ লাগিয়ে বের করে ফেলতে পারে যে কীভাবে মাহফুজ তথ্য পেল, তখন মাহফুজ আর সোলায়মান দুইজন কে দৌড় দেওয়াতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না এই আরশাদ সাহেবের। ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এ যে লোক ৬/৭ বছর ধরে আছে তার খুটির জোর কম হওয়ার কথা না। মাহফুজের উত্তরে অবশ্য সোলায়মান মুগ্ধ হল, বয়সের তুলনায় ছেলেটা ম্যাচিওর এবং ভাল ধূর্ত। মাহফুজ উত্তর দিল, ব্লাকমেইল হল লাস্ট উপায়। বোকারা ব্লাকমেইল করে সরাসরি। আগে আমার তথ্য দরকার সব ভাল করে, ঘুষ খায় কিনা, খেলে কেমন খায়, ঘুষের টাকা কই রাখে। এরপর এই তথ্য অনুযায়ী প্ল্যান হবে। সোলায়মান বলে, কি প্ল্যান বানাবেন? মাহফুজ উত্তর দেয়, শোনেন সোলায়মান ভাই, মানুষ কে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ করার আর সারা জীবনের জন্য ঋণী করার উপায় হল তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা। এখন যে বিপদে নাই তাকে আপনি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন কিভাবে। তাই একটা উপায় হল আড়াল থেকে আপনার টার্গেট কে বিপদে ফেলেন এরপর যখন বিপদে পড়ে হাবুঢুবু খাবে তখন উদ্ধার করার জন্য হাজির হন। দেখবেন সারাজীবন কিভাবে আপনার অনুগত থাকে। সোলায়মান মনে মনে ভাবে এই ছেলে অনেক ধূর্ত এবং চালাক। আর জোরে জোরে বলে আপনার থেকে সাবধান থাকত হবে দেখা যায়, এই বলে হেসে উঠে। মাহফুজও একটা হাসি দেয়।
[/HIDE]
সাবরিনা টের পায় ওর পুসিতে জোয়ার আসছে, ভিজে যাচ্ছে। জোয়ার আসায় সাদমানের পেনিস আর সহজে যাতায়ত করতে থাকে ভিতরে বাইরে। উত্তেজনায় সাদমান আর গতি বাড়ায়। সাদমানকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরে সাবরিনা। চোখ বন্ধ করে খালি এই মূহুর্ত টা অনুভব করতে চায়, সব পাপবোধ মন থেকে ঝেড়ে শরীর কে শুদ্ধ করতে চায়। সাবরিনা টের পায় সাদমানের হয়ে আসছে। তাই পা দুইটা দিয়ে সাদমানের কোমড় বেড়ির মত আকড়ে ধরে আর হাত দিয়ে পিঠ। সাদমান এখন সর্বশক্তিতে কোমড় নাড়াচ্ছে, মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বর বের হচ্ছে। সাবরিনা চোখ বন্ধ করে সব কিছু মুছে ফেলতে চায়। সাদমান সাবরিনার কানের কাছে বলে, আমার হবে। প্রতিবার যেন সাদমান ওর রিলিজের আগে পারমিশন চায়, একদম নিয়ম মেনে। হাউ প্রেডিক্টেবল। এটা মাথায় আসতেই যেন ঝটকা দিয়ে আবার বন্ধ চোখের কল্পনায় মাহফুজ এসে হাজির হয়। মাহফুজ যেন হাসতে হাসতে বলছে সো প্রেডেক্টেবল। মাহফুজ কে মাথা থেকে তাড়াতে আর জোরে হাত পা দিয়ে সাদমান কে চেপে ধরে সাবরিনা। সাবরিনার চেপে ধরায় সাদমান আর জোশে থাপাতে থাকে। মাহফুজ এবার আর জোরে হেসে যেন মাথার ভিতর বলে দ্যাটস মাই গার্ল। মাহফুজের ভারী কন্ঠস্বর চিন্তা করে যেন সাবরিনার শরীরে আগুন ধরে যায়। ওর পুসির ভিতর সাদমানের পেনিস কে যেন জাপটে ধরে ভ্যাজাইনার ভিতরের দেয়াল। উত্তেজনায় আর পারে না সাদমান, আহহহহহ করে ভিতরে সব ঢেলে দেয়। ভিতরে সাদমানের বীর্যের উতক্ষেপন টের পেয়ে যেন সাবরিনারও রিলিজ হয়। আহহহহহহ। আর কানের ভিতর যেন মাহফুজ বলছে দ্যাটস মাই গার্ল। তুমি আমাকে যত দূরে ঠেলার চেষ্টা কর না কেন, আই উইল বি অলওয়েজ উইথ ইউ।
সোলায়মান শেখ সেগুনবাচিয়ায় ট্যাক্স অফিসের সামনে একটা চায়ের দোকানে বসে বসে সিগারেট টানছে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে চারপাশে। এই এলাকায় বেশ কয়েকটা সরকারী অফিস আছে তাই দিনের বেলা এইসব চায়ের দোকানে অনেক ভীড় হয়। বিকাল পাচটায় অফিস ছুটির পর এইসব ভিড় কমে যেতে থাকে। এখন সন্ধ্যা সাতটা, দোকানে লোক নেই বললেই চলে। একটু পরে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। সোলায়মান অপেক্ষা করছে একটা পাজেরো জিপের জন্য। গত কয়েকদিন ধরে একটা জিনিস সোলায়মান শেখ কে ভাবাচ্ছে। ডিবির ইন্সপেক্টর হিসেবে অনেক রকম মানুষ, অনেক রকম কেসের সাথে ডিল করছে গত অনেক বছর। এইসব ডিল করতে করতে ভিতরে ভিতরে একটা সেন্স গড়ে উঠেছে তার, অনেকটা গাট ফিলিংস টাইপ। অনেক সময় কিছু জিনিস দেখে তার মনে হয় এটা আসলে যা দেখা যাচ্ছে সেটাই পুরা চিত্র না, হয়ত সামনে কোন প্রমাণ নেই কিন্তু তারপরেও হয়ত এটা পুরো সত্য না। এত বছর চাকরি করে নিজের এই সেন্সের উপর একটা আস্থা গড়ে উঠেছে। মাহফুজের কাছে গত সাপ্তাহে একটা কাজ পেয়েছিল, একজন ট্যাক্স ক্যাডারের কমিশনারের খবর বের করতে হবে। সাধারণত বড় সরকারি অফিসারদের পিছনে গোয়ান্দাগিরি সে করে না যদি না সরকারি আদেশ থাকে বা মাসুদ ভাইয়ের মত বড় কোন নেতা পার্সনালি কোন নির্দেশ দেয়। কেননা বড় সরকারি অফিসারের পিছনে গোয়ান্দাগিরি করা সব সময় বিপদজনক, কোন ভাবে উনারা টের পেলে এরপর ঝড় বইয়ে দিবেন তখন পিছনে ভাল ব্যাকিং না থাকলে বা উপযুক্ত কারণ না থাকলে চাকরির খেল খতম।
মাহফুজ ছেলেটাকে আগে থেকে চিনে সোলায়মান শেখ ছেলেটার নানার সূত্রে। পুলিশে চাকরি পাবার পর ঢাকায় পোস্টিং পাবার ব্যাপারে হেল্প করেছিল, এছাড়া শুরুর দিকে সব পলিটিক্যাল নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ওর নানা। মাহফুজের বাবার সাথেও ভাল খাতির। মাহফুজ এখন চলে মাসুদ ভাইয়ের সাথে আর মাসুদ ভাই হচ্ছে সোলায়মান শেখের মেইন পলিটিক্যাল ব্যাকিং। মাঝে মাঝে এর বদলে মাসুদ ভাই কিছু কাজ দেয়, নিজ দল বা প্রতিপক্ষের কার খোজ বের করে দেওয়া, কি যায়, কি করে এইসব। ডিবির চাকরির কারণে এইসব কাজ করা ইজি সোলায়মান শেখের কাছে। তবে ছোটখাট কার কাজ নেয় না সোলায়মান শেখ। মাহফুজের কাজটা নিল ওর ফ্যামিলির প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ছেলেটার ভবিষ্যত চিন্তা করে। ছেলেটা বুদ্ধিমান আর জানে কোথায় কি করতে হবে। বয়স অনুযায়ী পলিটিক্সে এগিয়ে আছে আবার এমন কিছু করে না যাতে সবার চক্ষুশূল হবে। তার উপর তাকে যখন কাজটা বুঝিয়ে বলল তখন সোলায়মান শেখ সত্য কথা বলতে এক ধরণের কৌতুহল বোধ করলেন। মাহফুজ সরকারি দলের ঢাকা দক্ষিণের যুব সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। যথেষ্ট ক্ষমতাশালী পোস্ট, বয়স মাত্র ৩১/৩২ হবে। এই পোস্টে আগে যে ছিল হেলাল, ওর এই পোস্টে আসতে ৩৮/৩৯ বছর লেগে গিয়েছিল। সাধারণত মাহফুজের লেভেলের নেতারা ধান্দায় থাকে টেন্ডারে টাকায় কিভাবে বড় নেতাদের থেকে কিছু ভাগ পাওয়া যায়, দুই একটা ছোটখাট সাবকন্ট্রাক্ট বাগানো, এলাকা ভিত্তিক চাদা তোলা এইসব। সেখানে মাহফুজ একজন ট্যাক্স কমিশনার লেভেলের অফিসারের খবর বের করতে চাচ্ছে, কারণ হিসেবে বলেছে এই তথ্য দিয়ে নাকি সেই অফিসারের সাথে ডিল করবে। এই ছেলের সাহস এবং বুদ্ধি আছে। যে কাজ মাসুদ ভাইয়ের মত বড় নেতারা করে সে কাজ এই ছেলে এই বয়সে করার সাহস দেখাচ্ছে। হাসত হাসত সোলায়মান জিজ্ঞস করেছিল, ধর তোমারে এই ইনফরমেশন আমি যোগাড় করে দিলাম তা তুমি এই জিনিস দিয়া কি করাব? হাসতে হাসত জিজ্ঞস করলেও মনের ভিতর একটা চিন্তা ছিল সোলায়মানের যদি এই তথ্য দিয়ে সরাসরি ব্লাকমেইল জাতীয় কিছু করত যায় তাহলে এতবড় অফিসার সহজে ভড়কে না যেতে পারে এবং বরং খোজ লাগিয়ে বের করে ফেলতে পারে যে কীভাবে মাহফুজ তথ্য পেল, তখন মাহফুজ আর সোলায়মান দুইজন কে দৌড় দেওয়াতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না এই আরশাদ সাহেবের। ঢাকা কর অঞ্চল-৭ এ যে লোক ৬/৭ বছর ধরে আছে তার খুটির জোর কম হওয়ার কথা না। মাহফুজের উত্তরে অবশ্য সোলায়মান মুগ্ধ হল, বয়সের তুলনায় ছেলেটা ম্যাচিওর এবং ভাল ধূর্ত। মাহফুজ উত্তর দিল, ব্লাকমেইল হল লাস্ট উপায়। বোকারা ব্লাকমেইল করে সরাসরি। আগে আমার তথ্য দরকার সব ভাল করে, ঘুষ খায় কিনা, খেলে কেমন খায়, ঘুষের টাকা কই রাখে। এরপর এই তথ্য অনুযায়ী প্ল্যান হবে। সোলায়মান বলে, কি প্ল্যান বানাবেন? মাহফুজ উত্তর দেয়, শোনেন সোলায়মান ভাই, মানুষ কে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ করার আর সারা জীবনের জন্য ঋণী করার উপায় হল তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা। এখন যে বিপদে নাই তাকে আপনি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন কিভাবে। তাই একটা উপায় হল আড়াল থেকে আপনার টার্গেট কে বিপদে ফেলেন এরপর যখন বিপদে পড়ে হাবুঢুবু খাবে তখন উদ্ধার করার জন্য হাজির হন। দেখবেন সারাজীবন কিভাবে আপনার অনুগত থাকে। সোলায়মান মনে মনে ভাবে এই ছেলে অনেক ধূর্ত এবং চালাক। আর জোরে জোরে বলে আপনার থেকে সাবধান থাকত হবে দেখা যায়, এই বলে হেসে উঠে। মাহফুজও একটা হাসি দেয়।
[/HIDE]