[HIDE]
গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের হেডমাস্টারের সাথে কথা বলে বের হয়ে যেন বিশ্বাস হতে চাইছে না জেবার। ওর ছেলে কে ভর্তি করিয়ে নিবে বলেছে। আর যে পরিমাণ খাতির যত্ন করল সেটা অবিশ্বাস্য। ওর জামাই কে কিছু বললেই দৌড় দেয় আরশাদ ভাইয়ের কাছে। আরশাদ ভাই পর্যন্ত ওর জামাই এর দৌড় এটা জেবা বুঝে। তাই আরশাদ যখন তদবির করে ব্যর্থ হয়েছিল তখন খুব মন খারাপ হয়েছিল জেবার। ছেলেটাকে কি ভাল স্কুলে ভর্তি করানো হবে না? প্রথম সন্তানের উপর মায়েদের একটা মায়া থাকে। ছেলের উপর জেবার তাই একটু বেশি মায়া। বান্ধবীরা যখন সবাই যার যার ছেলে মেয়েদের ভাল স্কুলে ভর্তি করানোর গল্প করে তখন জেবা বেশি কথা বলে না। যদিও ওর মেয়ে ভিকারুননেসা স্কুলে আছে। তাও জানে মেয়ের কথা বললেই ছেলের প্রসংগ আসবে, তখন কি বলবে? ছেলে কে একটা নরমাল সরকারি স্কুলে পাঠায়? আজকে তাই যখন আরশাদের কোন সাহায্য ছাড়া ছেলে কে ভর্তি করাতে পারল তখন জেবার জি কি আনন্দ লাগছে। হেড মাস্টার কথা দিয়েছে। আগামী সাপ্তাহে পুরাতন স্কুল থেকে টিসি নিয়ে এসে এখানে চলে আসলে ভর্তি করিয়ে নেবে। জেবার সাথে মাহফুজ আছে। ছেলেটাকে কি বলে ধন্যবাদ দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। ওর স্বামী রিয়াদের এত আরশাদ ভাইয়ের ন্যাওটা হওয়া মেনে নিতে পারে না। সব বউয়ের মত জেবাও চায় ওর স্বামী মাথা উচু করে দাড়াক, সবাই বলুক কত সফল ওর জামাই। একটা এত বড় কোম্পানির এই বয়সে জিএম হয়েছে। কয় জন হতে পারে। কিন্তু না, উনি এত আরশাদ ভাইয়ের কথা শুনে যে সবাই আরশাদ ভাই কে আর বড় মনে করে। জেবার মনের ভিতর থেকে এই জিনিসটা নিয়ে ক্ষোভ যায় না। সেখানে এই মাহফুজ কেমন করে এত কম বয়স হওয়া স্বত্তেও ওর ছেলের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিল। ছেলেটা খারাপ না। এই বয়সে কেমন ব্যবসা সামলাচ্ছে, রাজনীতি করছে। আর রাজনীতিতে নিশ্চয় ভাল করছে নাহলে অল্প কয়েকদিনে কোন টাকা খরচ না করে কীভাবে ওর ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিল। ছেলেটার আরশাদ ভাইদের মত ঠাটবাট নেই, জাকজমক নেই কিন্তু কাজে একদম হান্ড্রেট পার্সেন্ট। ওর হাজব্যান্ডকে গতকাল রাতে যখন বলল একজন ওদের ছেলে কে স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে সাহায্য করবে এবং আগামীকাল সকালে সেই জন্য ওদের গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে যাওয়া লাগবে। তখন ওর হাজব্যান্ড রিয়াদ হেসেই উড়িয়ে দিল সব। বছরের মাঝখানে মন্ত্রী এমপি হওয়া ছাড়া অথবা চার পাচ লাখ টাকা ডোনেশন দেওয়া ছাড়া ছেলে কে ভর্তি করানো সম্ভব না। তাই রিয়াদ বলল তোমার ইচ্ছা হলে তুমি যাও, আমার স্কুলে গিয়ে শুধু শুধু অপমান হওয়া ইচ্ছা নেই। রিয়াদের এত আত্মবিশ্বাসে জেবার তাই মনে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল আসলেই কি পারবে মাহফুজ। আরশাদ ভাইয়ের মত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা আর ওর স্বামীর মত বড় করপোরেট কর্মকর্তা যেখানে পারে নি সেখানে মাহফুজের মত কমবয়সি একটা ছেলে কি পারবে? তাই আজকে সকালে সংশয় নিয়ে হাজির হয়েছিল স্কুলের সামনে। মাহফুজ আসতে একটু দেরি করায় ভাবছিল আজকে যদি সত্যি সত্যি মাহফুজ না আসে তাহলে পরে রিয়াদ কত হাসাহাসি করবে এটা নিয়ে। নিশ্চয় আরশাদ ভাই আর নুসাইবা আপা কে বলবে। আর তিন জন মিলে সব সময়ের মত ওকে নিয়ে হাসবে। মাহফুজ একটু পরে আসায় তাই বুকের ভিতর থেকে একটা পাথর নেমে গিয়েছিল।
স্কুলের হেডমাস্টার যখন মাহফুজের কাছে ওদের রেফারেন্সের নাম শুনল তখন যেভাবে খাতির যত্ন করল সেটাতে মাহফুজের উপর থাকা বাকি সন্দেহটুকু উবে গিয়েছিল অনায়েসে। হেডমাস্টার বললেন আগামী সাপ্তাহে টিসি নিয়ে দেখা করতে, ভর্তি হয়ে যাবে। একটা ফর্ম ধরিয়ে দিয়েছে অলরেডি কিছু জরুরি তথ্য পূরণ করে রেখে যাবার জন্য। অর্থাৎ ব্যাপারটা অফিসিয়াল। এখন তাই স্কুল থেকে বের হবার পর মনে হচ্ছে যেন আকাশা উড়ছে। হেডমাস্টারের অফিস থেকে বের হয়েই হাজবেন্ড কে ফোন দিয়েছিল। রিয়াদ শুনে বিশ্বাস করতে চাইল না, মেসেঞ্জারে তাই সংগে সংগে ফর্মের ছবি তুলে পাঠাল। রিয়াদ যেন একদম অবাক হয়ে গেল। রিয়াদ কে মাহফুজের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিল। রিয়াদ বার বার ধন্যবাদ দিচ্ছিল এই উপকারের জন্য। এই যুগে সহজে কেউ কার উপকার করতে চায় না সেখানে এত স্বল্প পরিচিত একজন এই উপকার টুকু করেছে এটাই যেন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল রিয়াদের। এখনো তাহলে পৃথিবীতে ভাল লোকেরা বাস করে। বার বার করে ফোনে বলল ওদের বাসায় আসতে। জামাই এর সাথে কথা বলে মাহফুজ কে তাই এখন ধানমন্ডি দুইয়ের স্টার কাবাবে নিয়ে আসছে জেবা। মাহফুজ প্রথমে না না করলেও পরে মেনে নিল কারণ জেবার কাছ থেকে কথা বের করতে হলে আর বেশি সময় কাটাতে হবে জেবার সাথে।
স্টার কাবাবে যখন এসে ঢুকল তখন দুপুর বারটা। ঠিক লাঞ্চের ভীড়টা শুরু হয় নি। অনেকে লেট ব্রেকফাস্ট করে বের হচ্ছে। ঢাকায় অনেক বছর ধরে অল্প দামে যে কয়টা রেস্টুরেন্ট মান ধরে রেখেছে তার একটা এই স্টার কাবাব। লাল জামা পড়া ওয়েটার এসে কোণার একটা টেবিলে বসিয়ে দিয়ে গেল। মাহফুজ নিল লেগরোস্ট আর পরোটা আর জেবা নিল কাচ্চি। ওয়েটার বলে গেল বিশ মিনিটের মত লাগবে খাবার আসতে। এর মধ্যে দুই জনে দুইটা কোকের বোতলে চুমুক দিতে দিতে কথা বলছে। ছেলের এডমিশন করাতে পেরে জেবার মনে আজকে আনন্দের ধারা। মাহফুজ তাই সুযোগ বুঝে একটা খোচা দিল। আপনি না বললেন এর আগে অনেক চেষ্টা করেছেন, আমি তো কয়েকদিনেই ভর্তি করিয়ে দিলাম। জেবা বলে আসলে আমি কি করব বলেন, আমি তো চেষ্টা করেছি। আর আমাদের চেষ্টা মানে তো বুঝেন আরশাদ ভাই। আরশাদ ভাইয়ের জানাশোনা তো কম নেই। আগেই বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জিনিসে হেল্প করেছে কিন্তু এইবার পারে নি। মাহফুজ যেন কথা প্রসংগে কথা বলছে এমন ভাবেই জিজ্ঞেস করে, আরশাদ সাহেবের কি আসলেই বেশ ভাল জানাশোনা লোকজন আছে। জেবা বলে আপনি এমনি দেখলে বিশ্বাস করবেন না, তবে উনার জানাশোনার পরিধি অনেক ভাল। নাহলে চিন্তা করেন আমার হাজব্যান্ডের মালিকের সাথে উনার খাতির হয়। উত্তরটা জানা থাকলেও শিওউর হওয়ার জন্য মাহফুজ জিজ্ঞেস করে আপনার হাজব্যান্ড জানি কোথায় জব করেন। জেবা বেশ গর্ব ভরে বলে, সানরাইজ গ্রুপে। মাহফুজ জানে সানরাইজ গ্রুপ দেশের বেশ প্রভাবশালী একটা শিল্প গ্রুপ। গত দশ বছরে এদের বেশ বড় একটা ব্যবসায়িক উত্থান হয়েছে।
[/HIDE]
গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের হেডমাস্টারের সাথে কথা বলে বের হয়ে যেন বিশ্বাস হতে চাইছে না জেবার। ওর ছেলে কে ভর্তি করিয়ে নিবে বলেছে। আর যে পরিমাণ খাতির যত্ন করল সেটা অবিশ্বাস্য। ওর জামাই কে কিছু বললেই দৌড় দেয় আরশাদ ভাইয়ের কাছে। আরশাদ ভাই পর্যন্ত ওর জামাই এর দৌড় এটা জেবা বুঝে। তাই আরশাদ যখন তদবির করে ব্যর্থ হয়েছিল তখন খুব মন খারাপ হয়েছিল জেবার। ছেলেটাকে কি ভাল স্কুলে ভর্তি করানো হবে না? প্রথম সন্তানের উপর মায়েদের একটা মায়া থাকে। ছেলের উপর জেবার তাই একটু বেশি মায়া। বান্ধবীরা যখন সবাই যার যার ছেলে মেয়েদের ভাল স্কুলে ভর্তি করানোর গল্প করে তখন জেবা বেশি কথা বলে না। যদিও ওর মেয়ে ভিকারুননেসা স্কুলে আছে। তাও জানে মেয়ের কথা বললেই ছেলের প্রসংগ আসবে, তখন কি বলবে? ছেলে কে একটা নরমাল সরকারি স্কুলে পাঠায়? আজকে তাই যখন আরশাদের কোন সাহায্য ছাড়া ছেলে কে ভর্তি করাতে পারল তখন জেবার জি কি আনন্দ লাগছে। হেড মাস্টার কথা দিয়েছে। আগামী সাপ্তাহে পুরাতন স্কুল থেকে টিসি নিয়ে এসে এখানে চলে আসলে ভর্তি করিয়ে নেবে। জেবার সাথে মাহফুজ আছে। ছেলেটাকে কি বলে ধন্যবাদ দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। ওর স্বামী রিয়াদের এত আরশাদ ভাইয়ের ন্যাওটা হওয়া মেনে নিতে পারে না। সব বউয়ের মত জেবাও চায় ওর স্বামী মাথা উচু করে দাড়াক, সবাই বলুক কত সফল ওর জামাই। একটা এত বড় কোম্পানির এই বয়সে জিএম হয়েছে। কয় জন হতে পারে। কিন্তু না, উনি এত আরশাদ ভাইয়ের কথা শুনে যে সবাই আরশাদ ভাই কে আর বড় মনে করে। জেবার মনের ভিতর থেকে এই জিনিসটা নিয়ে ক্ষোভ যায় না। সেখানে এই মাহফুজ কেমন করে এত কম বয়স হওয়া স্বত্তেও ওর ছেলের ভর্তির ব্যবস্থা করে দিল। ছেলেটা খারাপ না। এই বয়সে কেমন ব্যবসা সামলাচ্ছে, রাজনীতি করছে। আর রাজনীতিতে নিশ্চয় ভাল করছে নাহলে অল্প কয়েকদিনে কোন টাকা খরচ না করে কীভাবে ওর ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিল। ছেলেটার আরশাদ ভাইদের মত ঠাটবাট নেই, জাকজমক নেই কিন্তু কাজে একদম হান্ড্রেট পার্সেন্ট। ওর হাজব্যান্ডকে গতকাল রাতে যখন বলল একজন ওদের ছেলে কে স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে সাহায্য করবে এবং আগামীকাল সকালে সেই জন্য ওদের গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে যাওয়া লাগবে। তখন ওর হাজব্যান্ড রিয়াদ হেসেই উড়িয়ে দিল সব। বছরের মাঝখানে মন্ত্রী এমপি হওয়া ছাড়া অথবা চার পাচ লাখ টাকা ডোনেশন দেওয়া ছাড়া ছেলে কে ভর্তি করানো সম্ভব না। তাই রিয়াদ বলল তোমার ইচ্ছা হলে তুমি যাও, আমার স্কুলে গিয়ে শুধু শুধু অপমান হওয়া ইচ্ছা নেই। রিয়াদের এত আত্মবিশ্বাসে জেবার তাই মনে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল আসলেই কি পারবে মাহফুজ। আরশাদ ভাইয়ের মত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা আর ওর স্বামীর মত বড় করপোরেট কর্মকর্তা যেখানে পারে নি সেখানে মাহফুজের মত কমবয়সি একটা ছেলে কি পারবে? তাই আজকে সকালে সংশয় নিয়ে হাজির হয়েছিল স্কুলের সামনে। মাহফুজ আসতে একটু দেরি করায় ভাবছিল আজকে যদি সত্যি সত্যি মাহফুজ না আসে তাহলে পরে রিয়াদ কত হাসাহাসি করবে এটা নিয়ে। নিশ্চয় আরশাদ ভাই আর নুসাইবা আপা কে বলবে। আর তিন জন মিলে সব সময়ের মত ওকে নিয়ে হাসবে। মাহফুজ একটু পরে আসায় তাই বুকের ভিতর থেকে একটা পাথর নেমে গিয়েছিল।
স্কুলের হেডমাস্টার যখন মাহফুজের কাছে ওদের রেফারেন্সের নাম শুনল তখন যেভাবে খাতির যত্ন করল সেটাতে মাহফুজের উপর থাকা বাকি সন্দেহটুকু উবে গিয়েছিল অনায়েসে। হেডমাস্টার বললেন আগামী সাপ্তাহে টিসি নিয়ে দেখা করতে, ভর্তি হয়ে যাবে। একটা ফর্ম ধরিয়ে দিয়েছে অলরেডি কিছু জরুরি তথ্য পূরণ করে রেখে যাবার জন্য। অর্থাৎ ব্যাপারটা অফিসিয়াল। এখন তাই স্কুল থেকে বের হবার পর মনে হচ্ছে যেন আকাশা উড়ছে। হেডমাস্টারের অফিস থেকে বের হয়েই হাজবেন্ড কে ফোন দিয়েছিল। রিয়াদ শুনে বিশ্বাস করতে চাইল না, মেসেঞ্জারে তাই সংগে সংগে ফর্মের ছবি তুলে পাঠাল। রিয়াদ যেন একদম অবাক হয়ে গেল। রিয়াদ কে মাহফুজের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিল। রিয়াদ বার বার ধন্যবাদ দিচ্ছিল এই উপকারের জন্য। এই যুগে সহজে কেউ কার উপকার করতে চায় না সেখানে এত স্বল্প পরিচিত একজন এই উপকার টুকু করেছে এটাই যেন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল রিয়াদের। এখনো তাহলে পৃথিবীতে ভাল লোকেরা বাস করে। বার বার করে ফোনে বলল ওদের বাসায় আসতে। জামাই এর সাথে কথা বলে মাহফুজ কে তাই এখন ধানমন্ডি দুইয়ের স্টার কাবাবে নিয়ে আসছে জেবা। মাহফুজ প্রথমে না না করলেও পরে মেনে নিল কারণ জেবার কাছ থেকে কথা বের করতে হলে আর বেশি সময় কাটাতে হবে জেবার সাথে।
স্টার কাবাবে যখন এসে ঢুকল তখন দুপুর বারটা। ঠিক লাঞ্চের ভীড়টা শুরু হয় নি। অনেকে লেট ব্রেকফাস্ট করে বের হচ্ছে। ঢাকায় অনেক বছর ধরে অল্প দামে যে কয়টা রেস্টুরেন্ট মান ধরে রেখেছে তার একটা এই স্টার কাবাব। লাল জামা পড়া ওয়েটার এসে কোণার একটা টেবিলে বসিয়ে দিয়ে গেল। মাহফুজ নিল লেগরোস্ট আর পরোটা আর জেবা নিল কাচ্চি। ওয়েটার বলে গেল বিশ মিনিটের মত লাগবে খাবার আসতে। এর মধ্যে দুই জনে দুইটা কোকের বোতলে চুমুক দিতে দিতে কথা বলছে। ছেলের এডমিশন করাতে পেরে জেবার মনে আজকে আনন্দের ধারা। মাহফুজ তাই সুযোগ বুঝে একটা খোচা দিল। আপনি না বললেন এর আগে অনেক চেষ্টা করেছেন, আমি তো কয়েকদিনেই ভর্তি করিয়ে দিলাম। জেবা বলে আসলে আমি কি করব বলেন, আমি তো চেষ্টা করেছি। আর আমাদের চেষ্টা মানে তো বুঝেন আরশাদ ভাই। আরশাদ ভাইয়ের জানাশোনা তো কম নেই। আগেই বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জিনিসে হেল্প করেছে কিন্তু এইবার পারে নি। মাহফুজ যেন কথা প্রসংগে কথা বলছে এমন ভাবেই জিজ্ঞেস করে, আরশাদ সাহেবের কি আসলেই বেশ ভাল জানাশোনা লোকজন আছে। জেবা বলে আপনি এমনি দেখলে বিশ্বাস করবেন না, তবে উনার জানাশোনার পরিধি অনেক ভাল। নাহলে চিন্তা করেন আমার হাজব্যান্ডের মালিকের সাথে উনার খাতির হয়। উত্তরটা জানা থাকলেও শিওউর হওয়ার জন্য মাহফুজ জিজ্ঞেস করে আপনার হাজব্যান্ড জানি কোথায় জব করেন। জেবা বেশ গর্ব ভরে বলে, সানরাইজ গ্রুপে। মাহফুজ জানে সানরাইজ গ্রুপ দেশের বেশ প্রভাবশালী একটা শিল্প গ্রুপ। গত দশ বছরে এদের বেশ বড় একটা ব্যবসায়িক উত্থান হয়েছে।
[/HIDE]