আগ্নেয়গিরি থেকে যে লাভা বেরিয়ে আসে সেটা আসলে কি? আসে কোথা থেকে? তরল লাভা পৃথিবীর ভিতরের তরল অংশ থেকেই বেরোয়, এমন ভাবলে নিতান্তই ভুল ভাবা হবে। পৃথিবীর ভেতরে একটি মাত্র অংশই তরল, যেটা প্রায় ৩০০০ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরতায় অবস্থিত। অনেক আগ্নেয়গিরির লাভার উৎস মাত্র ৫ থেকে ৪০ কিমি গভীরে - এর পিছনে চাপের সাথে কঠিন পাথরের গলনাঙ্কের পরিবর্তন, সেই ফিজিক্স জড়িয়ে। আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির রহস্য কিন্তু আলাদা - সে লাভা আসে প্রায় ২০০০ কিমি গভীরতা থেকে। আবার, প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার বিজ্ঞান অন্য ও চমকপ্রদ! ভূগতিবিদ্যার গবেষক জ্যোতির্ময় পাল লাভার বিস্ময়কর রহস্য উদ্ঘাটন করছেন!
মানুষের ভিড়ের পিছনে বয়ে চলেছে শ্লথ গতির লাভা স্রোত। ধোঁয়া উঠছে, চোখ জ্বলছে, তাও চোখ ফেরানো যাচ্ছে না এর থেকে। অদ্ভুত দৃশ্য! ভূবিজ্ঞানীদের কাছে এক আকাঙ্ক্ষিত সময়। গত মার্চ মাসে (২০২১) আইসল্যান্ডের ফাগ্র্যাডলসফিয়াতে (Fagradalsfjall) ৬০০০ বছর ধরে সুপ্ত থাকা আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয় [১]। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ঙ্কর সুন্দর ছবি [২,৩]। যদিও ফাগ্র্যাডেলসফিয়াত আইসল্যান্ডের রাজধানী শহর রেকিয়াভিকের (Reykjavík) ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত, এই আগ্নেয়গিরির লাভা স্রোত সেরকম বিস্ফোরক না হওয়ায় জীবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ২০১০ সালে, আইসল্যান্ডের এইয়াফিয়াতলাইয়াকাটল (Eyjafjallajökull) পাহাড়ে আরো একটি আগ্নেয়গিরি ফেটে পড়েছিল, যার ব্যাপক ধোঁয়ার নির্গমনের জন্য পৃথিবী ব্যাপী বিমান চলাচল বিক্ষিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু, তুলনায় ২০২১ এ ফাগ্র্যাডলসফিয়াতের আগ্নেয়গিরি শান্ত। কেন হয় এই অগ্ন্যুৎপাত? কোথায় হয়? আইসল্যান্ড, জাপান বা প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী দেশ গুলোতেই কেন শোনা যায় আগ্নেয়গিরির কথা?