What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভেবেচিন্তে নিতে হবে সিদ্ধান্ত (1 Viewer)

fo2XN0J.jpg


জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপের একটি হচ্ছে বিয়ে। আর এ বিয়ে নিয়ে সবারই থাকে অনেক পরিকল্পনা। তবে সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে পরিকল্পনামাফিক বিয়ে করতে গিয়ে হিমশিম খান কিংবা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
অনেকেই বিয়ে করতে চান না, নিজের মতো করে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান। কারণ, তাঁদের মাথায় ঘুরতে থাকে বিয়ের পর একটার পর একটা লিস্ট তৈরি রয়েছে। আজ বিয়ে করো, কালকের মধ্যে সন্তান ধারণ করো, পরশু তাকে স্কুলে ভর্তি করো—এ রকমই পরপর প্রত্যাশার চাপ থেকে অনেকের মধ্যেই বিয়ে করব কি না, এ রকম একটি দ্বিধা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাতে একধরনের ভয় তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, এর বেশির ভাগই বাইরে থেকে চাপানো একধরনের চাপ। এসব কিছু সামাল দেওয়ার জন্যই মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এই তিন বিষয়ই মানুষের জীবনে অজানা থাকে। তবে জন্ম ও মৃত্যু নিয়ে মানুষ যতটা না ভাবে, বিয়ে নিয়ে তার চেয়ে বেশি ভাবে। আর এ বিয়ে আর বিবাহিত জীবন নিয়ে একেকজনের ভাবনা একেক রকম। কেউ বিয়ে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন, কেউ দেখেন নেতিবাচক হিসেবে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় বিয়ে ব্যাপারটি কারও কাছে প্রকৃতিগত মানসিক, শারীরিক বা সামাজিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে একজন পুরুষ ও নারীর সম্পর্কের স্বীকৃত বন্ধন। বিয়েটা কারও কাছে যেমন ভয়ের কারণ, আবার কারও কাছে আনন্দের। সবকিছু নির্ভর করছে বিয়ে সম্পর্কটির ব্যাপারে কে কতটা শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল, তার ওপর। বিবাহিত জীবন কেমন হবে, তা নির্ভর করে স্বামী–স্ত্রী উভয়ের ওপর। এত কিছুর পরও আমাদের জীবনে বিয়ে একটি অন্যতম অধ্যায়। তবে জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টির শুরু করতে সামাজিক বা পারিবারিক চাপে পড়ে মনের বিরুদ্ধে বিয়ে করছেন না তো?

পারিবারিক চাপ

বেশির ভাগ ছেলে–মেয়েকে পারিবারিক চাপের মুখে মা-বাবাকে খুশি করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত না হয়েই বিয়ে করতে হয়। যেটা হয়তো তাঁদের জীবনে সুখকর ফল বয়ে আনে না। এসব ক্ষেত্রে ছেলে–মেয়েকে অবশ্যই উচিত পরিবারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। প্রয়োজনে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে কাউন্সেলিং করা।

Rzf5N3v.jpg


কম বয়সী মেয়েদের ভালো বর

প্রায় পরিবারেই কম বয়সী মেয়েদের মা-বাবা বিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ, তাঁদের ধারণা, বয়স কম থাকলেই মেয়েদের জন্য ভালো আর প্রতিষ্ঠিত পাত্র পাওয়া যায়। আবার এ–ও ভাবে যে পরে ভালো কোনো বিয়ে না–ও আসতে পারে। আবার ছেলে বা ছেলের পরিবারও ভাবেন যে ঘরে কম বয়সী বউ আনলে তাঁরা বাধ্য আর ভালো বউ হবে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বয়সে বিস্তর পার্থক্য থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের মধ্যেই মনের মিল হয় না, একটা দূরত্ব থেকেই যায়। আর এতে তাঁরা সংসারজীবনে সুখী হতে পারেন না। আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। বরং দুজন প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতির বিবাহিত জীবনে বোঝাপড়া ভালো হয় এবং তারা ব্যক্তিজীবনে সুখে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন একান্ত জরুরি।

প্রতিবেশীদের সমালোচনা

মেয়েরা যদি বিয়েটা তাড়াতাড়ি না করে পড়াশুনা আর ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেয়, দেখা যায়, আশপাশের লোকজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সমালোচনা করতে থাকে। বয়স হয়ে যাচ্ছে, কেন বিয়ে করছে না প্রভৃতি অযৌক্তিক সমালোচনা প্রতিনিয়ত শুনতে হয়। মনে রাখবেন, জীবনটা একান্তই নিজের। সুতরাং অন্য কারও কানকথায় ভুল করে বসলে বাকি জীবনে এর মূল্যও আপনাকেই দিতে হবে। বেশির ভাগ ছেলেরাই চান, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়ে বিয়ে করতে, আর এতে অনেকেরই বিয়ে করতে দেরি হয়ে যায়। পাড়া–প্রতিবেশী কী বলবে, সে কথায় কান না দিয়ে নিজেকে যোগ্য বানিয়ে বিয়ে করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ue7iJh6.jpg


বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা

অনেকেই বোকার মতো নিজের বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করে নিজের জীবনেও বিয়ের ক্ষেত্রে একইরকম সিদ্ধান্ত নিতে চান। কখনোই কারও সঙ্গে তুলনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ, একেকজনের জীবনের প্রেক্ষাপট একেক রকম।

আবেগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত

অনেক ছেলে–মেয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রলোভনে পড়ে কোনো কিছু চিন্তা না করেই হুট করে বিয়ে করে ফেলেন। অথবা ভুল কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই আবেগতাড়িত হয়ে বিয়ে করে ফেলেন। অতি আবেগের বশে এ ভুল সিদ্ধান্তে ছেলে–মেয়ে কেউই ভালো থাকেন না। কাজেই আবেগতাড়িত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।

oplu6dX.jpg


জৈবিক চাহিদা

প্রাপ্তবয়স্ক হলে নারী–পুরুষের মধ্যে শারীরিক চাহিদা তৈরি হয়, যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। বৈবাহিক সম্পর্ক সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের বৈধতা আনে। কিন্তু যদি শুধু শারীরিক ব্যাপার মাথায় রেখে বিয়ে করা হয়, তবে সেটা হবে চরম ভুল। কারণ, শারীরিক মোহ দ্রুত কেটে যায়, আবার অনেক সময় বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য, কোনো দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। কাজেই সম্পর্কে ভালোবাসাটাই মুখ্য। সুতরাং কেবল বায়োলজিক্যাল নিড মেটানোর জন্য বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই নেওয়া উচিত নয়।

লেখক: সাহিদা আক্তার
 

Users who are viewing this thread

Back
Top