আপনি ঘুম থেকে উঠলেন দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই আপনার রাগ হতে থাকল। সেই রাগটা যে ঠিক কী কারণে, কার ওপর, সেটাও আপনি বুঝে উঠতে পারলেন না। হতে পারে এক কাপ ধূমায়িত কফির ঘ্রাণ আপনার মন ভালো করে দেয়, কিন্তু সেটিও ভালো লাগছে না। এককথায়, কিছুতেই কিছু ভালো লাগছে না। যে যা বলছে, তাতেই রাগ হচ্ছে। ইনকামিং কলে প্রিয় বন্ধুর নাম দেখেও বিরক্ত লাগছে।
কিছু কিছু ফুডের সঙ্গে মুডের রয়েছে গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক
ভালো মন নিয়ে পড়তে বসলেন। হঠাৎ মনে হলো, এসব পড়ে হবেটা কী। সবকিছুই যেন কেমন অর্থহীন লাগা শুরু হলো। অনেক হাতড়েও কোনো কিছুর যেন ঠিক কোনো মানে খুঁজে পেলেন না। মেয়েদের পিরিয়ডের আগে দিয়ে বা পিরিয়ডকালে এমন সব ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। হরমোনের ওঠানামার কারণে ঘটা এই মুড সুইংকে বলে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রম বা পিএমএস। আবার বিশেষ কোনো কারণেও আপনি মানসিকভাবে চাপ অনুভব করতে পারেন। কারও আচরণে বা কোনো ঘটনায় মনটা খিটমিট করতে পারে। জেনে নেওয়া যাক মন ভালো করা কিছু খাবারের খবর।
মুড সুইংয়ের লক্ষণ
ওপরেই মুড সুইংয়ের নানা লক্ষণের কথা ইতিমধ্যে বলা হয়ে গেছে। এ ছাড়া মুড সুইংয়ে কিন্তু পেট ফুলে যেতে পারে। হজমে সমস্যা হতে পারে। কিচ্ছু খেতে ইচ্ছা করছে না, এটা একটা কমন লক্ষণ। বিরক্তি, দুশ্চিন্তা, ঘুম না হওয়া, ঘুমিয়ে উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখা, অবসাদগ্রস্ততা, হতাশা—এগুলো মুড সুইংয়ের লক্ষণ।
এইসব খাবার মন ভালো করে দেয়
যা খেলে মন হবে ফুরফুরে
একাধিক গবেষণায় জানা গেছে, কিছু কিছু ফুডের সঙ্গে মুডের গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মুড সুইং ব্যাপারটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাখ্যাতীত, তবে এর একটা কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন বি৬ আর ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। চিনাবাদাম, আলু, মাছ, মাছের তেল, শস্যদানা এগুলোতে থাকে ভিটামিন বি৬ আর ম্যাগনেশিয়াম। প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ আর ২৫০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করা উচিত। প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খেলে শরীর আর মন দুই–ই ভালো থাকবে।
তাজা ফল আর টাটকা সবজি খেলেও মন ভালো থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, মুড সুইংয়ের সময় সবচেয়ে বেশি তুলে নেওয়া খাবার দুটি হলো আইসক্রিম আর ডার্ক চকলেট। এরপর রয়েছে ফলের তৈরি পাই আর স্মুদি। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
স্যামন ফিশ ফ্রাই
ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা দূর করে। মাছ, সি–ফিশ, সি–ফুড, বিশেষ করে ইলিশ, টুনা, সার্ডিন, স্যামন, ট্রাউট, হেরিং, কড, পাংগাস, পাবদা, রুই, ইলিশের তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। শস্যের বীজ আর বাদামেও থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, সেখান থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাদাম খুব ভালো
ঘুরেফিরে আবার সেই বাদামের কথা। ব্রাজিল নাটে থাকে সেলেনিয়াম নামের এক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। মানসিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে, মন ভালো করতে সেলেনিয়ামের জুড়ি নেই। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এক টুকরা ব্রাজিল নাট সারা দিনের সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এদিকে দুধ খেলেও দুশ্চিন্তা দূর হয়। কলা খেলেও মানসিক চাপ কমে। দ্য আমেরিকান জার্নাল অব মেডিসিন এসবের সঙ্গে স্যামন মাছ, মাশরুম আর আঙুরকেও যুক্ত করেছে মন ভালো করা খাবারের প্রেসক্রাইবশনে।
কিছু কিছু ফুডের সঙ্গে মুডের রয়েছে গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক
ভালো মন নিয়ে পড়তে বসলেন। হঠাৎ মনে হলো, এসব পড়ে হবেটা কী। সবকিছুই যেন কেমন অর্থহীন লাগা শুরু হলো। অনেক হাতড়েও কোনো কিছুর যেন ঠিক কোনো মানে খুঁজে পেলেন না। মেয়েদের পিরিয়ডের আগে দিয়ে বা পিরিয়ডকালে এমন সব ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। হরমোনের ওঠানামার কারণে ঘটা এই মুড সুইংকে বলে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রম বা পিএমএস। আবার বিশেষ কোনো কারণেও আপনি মানসিকভাবে চাপ অনুভব করতে পারেন। কারও আচরণে বা কোনো ঘটনায় মনটা খিটমিট করতে পারে। জেনে নেওয়া যাক মন ভালো করা কিছু খাবারের খবর।
মুড সুইংয়ের লক্ষণ
ওপরেই মুড সুইংয়ের নানা লক্ষণের কথা ইতিমধ্যে বলা হয়ে গেছে। এ ছাড়া মুড সুইংয়ে কিন্তু পেট ফুলে যেতে পারে। হজমে সমস্যা হতে পারে। কিচ্ছু খেতে ইচ্ছা করছে না, এটা একটা কমন লক্ষণ। বিরক্তি, দুশ্চিন্তা, ঘুম না হওয়া, ঘুমিয়ে উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখা, অবসাদগ্রস্ততা, হতাশা—এগুলো মুড সুইংয়ের লক্ষণ।
এইসব খাবার মন ভালো করে দেয়
যা খেলে মন হবে ফুরফুরে
একাধিক গবেষণায় জানা গেছে, কিছু কিছু ফুডের সঙ্গে মুডের গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মুড সুইং ব্যাপারটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাখ্যাতীত, তবে এর একটা কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন বি৬ আর ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। চিনাবাদাম, আলু, মাছ, মাছের তেল, শস্যদানা এগুলোতে থাকে ভিটামিন বি৬ আর ম্যাগনেশিয়াম। প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ আর ২৫০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করা উচিত। প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খেলে শরীর আর মন দুই–ই ভালো থাকবে।
তাজা ফল আর টাটকা সবজি খেলেও মন ভালো থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, মুড সুইংয়ের সময় সবচেয়ে বেশি তুলে নেওয়া খাবার দুটি হলো আইসক্রিম আর ডার্ক চকলেট। এরপর রয়েছে ফলের তৈরি পাই আর স্মুদি। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
স্যামন ফিশ ফ্রাই
ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা দূর করে। মাছ, সি–ফিশ, সি–ফুড, বিশেষ করে ইলিশ, টুনা, সার্ডিন, স্যামন, ট্রাউট, হেরিং, কড, পাংগাস, পাবদা, রুই, ইলিশের তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। শস্যের বীজ আর বাদামেও থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই, সেখান থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাদাম খুব ভালো
ঘুরেফিরে আবার সেই বাদামের কথা। ব্রাজিল নাটে থাকে সেলেনিয়াম নামের এক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। মানসিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে, মন ভালো করতে সেলেনিয়ামের জুড়ি নেই। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এক টুকরা ব্রাজিল নাট সারা দিনের সেলেনিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এদিকে দুধ খেলেও দুশ্চিন্তা দূর হয়। কলা খেলেও মানসিক চাপ কমে। দ্য আমেরিকান জার্নাল অব মেডিসিন এসবের সঙ্গে স্যামন মাছ, মাশরুম আর আঙুরকেও যুক্ত করেছে মন ভালো করা খাবারের প্রেসক্রাইবশনে।