What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কেন ঘুমাব, কখন ঘুমাব, কতক্ষণ ঘুমাব (1 Viewer)

ঘুম। একটা আরামদায়ক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। রাত ১২টা। আরে, এ তো সবে সন্ধ্যা। দুইটা। একটু রাত রাত ভাব। ভোর। এখন ঘুমাতে যাওয়ার সময়। দেরি করে বা ভোরে ঘুমাতে যাওয়া আর সকাল ১০টা থেকে ২টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা, এটাই যেন আধুনিক তারুণ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আবার অনেকের কাছে কম ঘুমানো একটা ফ্যাশন। অনেকেই চার থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমান। অনেকে আবার এলার্ম দিয়ে রাখেন যাতে বন্ধ করে আবার ঘুমাতে পারেন।

vWRHbiI.jpg


অনেকে আবার এলার্ম দিয়ে রাখেন যাতে বন্ধ করে আবার ঘুমানোর জন্য।

কেন ঘুমাব?

ঘুম আমাদের মেটাবলিজম সিস্টেম আর ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। জীবনে স্থিতি দেয়। ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। হৃদ্‌রোগের সম্ভাবনা কমায়। লং আর শর্ট টার্ম মেমোরি গুছিয়ে রাখে। স্মৃতিশক্তি গুছিয়ে জড়ো করে রাখে। শারীরিক, মানসিক ও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জীবনের মোট সময়ের তিন ভাগের এক ভাগ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। আট ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে সবচেয়ে ভালো রাখে। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তখন এমন কিছু কার্যক্রম চালু হয়, যেগুলো জীবনের জন্য খুবই জরুরি। শরীর ও মনের ঠিকভাবে ফাংশনের জন্য, 'কোয়ালিটি লাইফ'–এর জন্য প্রতিদিন তাই আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

R0rVEiS.jpg


সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি

কতক্ষণ ঘুমাব?

সাধারণভাবে বলা হয় আট ঘণ্টা। তবে বয়সভেদে এটা আবার কমবেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারও কারও নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুম হলেই চলে। চল্লিশোর্ধ্ব অনেকে আবার ছয় ঘণ্টা ঘুমিয়েও দিব্যি চলতে পারেন। তবে এর কম ঘুম হলে সেটা উদ্বেগজনক, ক্ষতিকর।

mCsH05P.jpg


পর্যাপ্ত না ঘুমালে নানা জটিলতা

পর্যাপ্ত না ঘুমালে কী হয়?

ঘুমের অভাবে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের অসুখ, অনিয়মিত হার্টবিট, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। ঘুম কম হলে কার্টিসল নামের একটা হরমোন নিঃসরণ হয়। এটা ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ফেলে। যাঁরা দিনে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। কম ঘুমানোর সঙ্গে অবসাদগ্রস্ততার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলা, ভুলে যাওয়া রোগ, ইনসোমনিয়া, হ্যালুসিনেশনসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।

sIfCjfQ.jpg


রাতেই ঘুমাতে হবে, ছবি: উইকিপিডিয়া

রাতের ঘুম রাতেই ঘুমাতে হবে

অনেকেই ভোর চারটা থেকে ছয়টায় ঘুমাতে যান। উঠেন ১২টা থেকে ২টার মধ্যে। এতে তিনি ঘুমান ঠিকই। কিন্তু সেই ঘুম রাতের ঘুমের সমান হয় না কিছুতেই। তিনি ঘুমাচ্ছেন তাঁর নিয়মে। কিন্তু তাঁর সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড চলে প্রকৃতির নিয়মে। তিনি সঠিকভাবে ব্রেকফাস্ট করেন না। ফুড সার্কেল নষ্ট হয়। তাঁর সারা দিনের কাজের সিস্টেমে গোলযোগ হয়। সূর্যের আলোর মাধ্যমে ভিটামিন ডি থেকে বঞ্চিত হন। শুধু তা–ই নয়, ভিটামিন এ, ই থেকেও বঞ্চিত হন। দিনে ঘুমিয়ে রাত জাগলে মুখের টোনিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডার্ক সার্কেল পড়তে পারে। মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। ওজন বাড়তে পারে। তা ছাড়া রাতে ঘুমের যেমন পরিবেশ, দিনে অনেক ক্ষেত্রেই সেটি পাওয়া যায় না। তাই দিনের ঘুম রাতের মতো গভীর হয় না। ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা, রাতে দিনের মতো হাঁটাচলা হয় না। কিন্তু জাংক ফুড, ইরিটেটিং ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এসব কারণে রাতের ঘুমই সেরা। দিনে ঘুমানো মন্দের ভালো।
 
কথা গুলান সত্যি ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের মানব শরীরে
 

Users who are viewing this thread

Back
Top