What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

গরমে কী খাবেন (1 Viewer)

77JYwLR.jpg


প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। অত্যধিক তাপ অবসাদগ্রস্ত করে তোলে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় ও নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তন আনলে এই অসহনীয় গরম আবহাওয়াতেও অনেকটা সতেজ থাকা সম্ভব। গরমের তাই খাবারদাবার নির্বাচনে হতে হবে কৌশলী।

গরমে শরীর ভালো রাখতে

গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। সে জন্য গ্রীষ্মের এই গরমে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, লেবুপানি বা কচি ডাবের পানি পান করতে পারেন। গরমের প্রকোপ বেড়ে যাওয়াতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পথের ধারে লেবুসহ বিভিন্ন ফলের শরবত বিক্রি করতে দেখা যায়। এই শরবতগুলো একেবারে বর্জন করে চলতে হবে। কারণ, সেগুলো নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। জ্যৈষ্ঠ মাসে বিভিন্ন ফল পাকতে শুরু করে। এই ঋতুতে প্রচুর পানিযুক্ত ফল, যেমন আম, জাম, তরমুজ, জামরুল, তালশাঁস, বাঙ্গি, পাকা পেঁপে, বেল খেতে পারেন। বিভিন্ন ফলের রস বা স্মুদি তৈরি করে মধ্য সকাল বা বিকেলের নাশতা হিসেবে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। গ্রীষ্মের এ সময় শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, লাল মাংস, তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে মৌসুমি শাকসবজি, ফলমূল, মাছ ও মুরগির মাংসকে খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য দিতে হবে।

কোন বেলায় কেমন খাবেন

V4xCiss.jpg


বেশি তেল মসলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

সকালের নাশতায় বা দুপুরের খাবারের তালিকায় কম তেল–মসলা দিয়ে রান্না করা মিশ্র সবজি বা সেদ্ধ করা সবজি রাখতে পারেন। আবার রাতে কম তেল–মসলা দিয়ে তৈরি সবজির স্যুপ, চিকেন স্যুপ বা সবজি–চিকেন স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকেলের নাশতায় সালাদ রাখতে হবে। শসা, পুদিনাপাতা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি টক দইও কার্যকর খাবার। তাই শসার সালাদে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। রাতের খাবারের পর 'বেড টাইম স্ন্যাকস' হিসেবে খেতে পারেন টক দই। সকালে রুটি সবজির পরিবর্তে দই, চিড়া, কলা খেতে পারেন। গরমে খিচুড়ি, তেলে ভাজা পরোটা, পোলাও, বিরিয়ানির পরিবর্তে সাদা ভাত খাওয়া ভালো। সঙ্গে পাতলা ডাল, মাছ বা মাংসের সঙ্গে সবজি দিয়ে রান্না করা পাতলা ঝোল ও সালাদকে প্রাধান্য দিতে হবে।

গরম থেকে বাঁচতে আরও যা মেনে চলা দরকার

  • চা-কফি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সে জন্য গরমে অতিরিক্ত চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো। বাইরে বের হলেও ছায়াযুক্ত স্থানে চলাফেরার চেষ্টা করুন। সঙ্গে রাখুন ছাতা।
  • একবারে বেশি খাবার গ্রহণ করা যাবে না। কারণ, গরমে একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে হাঁসফাঁস লাগতে পারে। সে জন্য অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • অস্বাস্থ্যকর পানীয়, চিনিযুক্ত জুস বা কোমল পানীয় পান করা যাবে না। বাড়িতে ফলের রস বা স্মুদি বানালে অতিরিক্ত চিনি বা কোনো সিরাপ যোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • অপ্রয়োজনীয় শারীরিক পরিশ্রম করা হতে বিরত থাকুন। কর্মক্ষম থাকতে ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন, তাঁরা শুধু সময়ের পরিবর্তন করলেই চলবে অর্থাৎ যাঁরা সকালে হাঁটতেন, তাঁরা সকালে সূর্য ওঠার আগে হেঁটে নিন আর যাঁরা বিকেলে হাঁটতেন, তাঁরা সূর্যাস্তের পরে সন্ধ্যার সময় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
  • আরামদায়ক ও হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন এবং দুবারের বেশি গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।
  • গরমে বাইরে থেকে ঘরে এসে অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত থাকার কারণে তৎক্ষণাৎ অনেকেই প্রচণ্ড ঠান্ডা পানি, কোল্ড ড্রিংকস বা ঠান্ডা শরবত পান করে থাকেন। এগুলো একেবারেই অনুচিত, এতে ঠান্ডাজনিত সমস্যা হতে পারে।

* নাহিদা আহমেদ | পুষ্টিবিদ, ঢাকা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top