What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মুসলিমরা কেন চীনে আক্রমণ করেনি যেভাবে পারস্য, রোমান সাম্রাজ্য আর ভারতবর্ষে আক্রমণ করেছিল? (1 Viewer)

NewAlien

Member
Joined
Mar 30, 2021
Threads
96
Messages
128
Credits
5,511
এর জন্য মূলত জিওগ্রাফী দায়ী। চীন ভৌগলিকভাবে অনেকটা সুরক্ষিত অঞ্চল। এর উত্তরে গোবি মরুভূমি, দক্ষিণে হিমালয় পর্বতমালা ( এছাড়াও আছে মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম), পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর - যা তৎকালীন যুগে ছিল সৈন্য চলাচলের অনুপযোগী। বাদ রইল কেবল পশ্চিম দিকের সেন্ট্রাল এশিয়া হয়ে আক্রমণ। এ ব্যাপারে মুসলিম রাজ্যগুলোর অবস্হান সংক্ষেপে দেখা যাক..

১) খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে: সেসময় মুসলিমরা পুরো সাম্রাজ পারস্য আর বায়জান্টাইন সাম্রাজ্যের বড় একটা অংশ জয় করেছিল। চীনের কাছে পৌছায় নি।

২) উমাইয়া আমলে : তখন মুসলিমরা উত্তর আফ্রিকা, আইবেরিয়া, ককেসাস, সিন্ধু জয় করলেও চীন থেকে বহু দূরে ছিল। কিন্তু তখন চীন অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় রাজ্য জয় করেই যাচ্ছিল। তারা পূর্ব ও পশ্চিম গোতুর্ক খানায়াত জয় করে মুসলিম বর্ডারের কাছে পৌছে যায়।সিল্ক রোডের কন্ট্রোল নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ৭১৫ সালে ফারগনা ভ্যালিতে প্রথম সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মুসলিমরা পরাজিত হয়। ৭১৭ সালে চায়নীজ মার্সেনারীদের সাথে সংঘর্ষে একই ফলাফল হয়।

৩) আব্বাসীয় শাসনামল: ৭৫১ সালে তালাশের যুদ্ধে আব্বাসীয়রা লক্ষাধিক সৈন্যের বিশাল চাইনীজ বাহিনীকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে। তারপর সন্ধি হয় হয়। উভয় রাষ্ট্র বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে পড়ে ও ব্যাবসা - বাণিজ্য চলতে থাকে। [ বি. দ্র : এ যুদ্ধ চীন থেকে বহু দূরে। চায়নীজরা সেন্ট্রাল এশিয়া দখল করে মুসলিম বর্ডারের কাছে পৌছেছিল]।

৪) খাওয়ারিজম শাহের সাম্রাজ্য: এ সাম্রাজ্য সেন্ট্রাল এশিয়ার অনেকটা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। আর কিছুদিন টিকে থাকলে তারা হয়তো চীন দখল করে ফেলতে পারত। কিন্তু তখনই আসে ভয়াবহ মোঙ্গল হামলা। এতে মুসলিম বিশ্ব ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

৫) তাইমুর লঙ এর শাসনামল: সেন্ট্রাল এশিয়া নৃপতি তৈমুরুরের জন্য চীন অপেক্ষাকৃত কাছে ছিল। নিজেকে চেঙ্গিস খানের উত্তারাধিকারী ভাবা তৈমুরের চেঙ্গিসের সাম্রাজ্য পু:ননির্মাণের জন্য কেবল চীনই বাকি ছিল। এটা ছিল তার সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন। ১৪০২ সালে অটোমানদের পরাজিত করার পর তৈমুর নাওয়া - খাওয়া ভুলে চীন দখলের প্রস্ততি নিতে থাকেন। সময় কম, তৈমুর বৃদ্ধ,বেলা যে পড়ে এসেছে.. মৃত্যুুর আগেই চীন জয় চাই। সময় ফুরাবার ভয়ে তৈমুর ক্যাম্পেইনিং সীজনের জন্য অপেক্ষা না করেই প্রচন্ড শীতের মধ্যে সৈন্যদের মার্চ করার নির্দেশ দেন।কাজাখাস্তানতক যাওয়ার পর দেখা গেল বরফ আর তুষারে আর সামনে যাওয়া অসম্ভব। বাধ্য হয়ে উইন্টার ক্যাম্প করতে হল। কিন্তু বুড়ো তৈমুরকে ধরে বসল ঠান্ডায়। দিন যায়,রাত আসে…পরিস্হিতি শুধু খারাপ হয়। রাজবৈদ্যের দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বুড়োকে বাঁচাতে পারল না।আর সেই সাথে বন্ধ হয়ে হয়ে গেল চীনের পথে যাত্রা…

৬. )ভারতের মুসলিম শাসনামল : ভারত চীনের পাশে হলেও মাঝে বিশাল হিমালয় পর্বতমালা, যা অতিক্রম করে আক্রমণ অসম্ভব। এদিক থেকে হিমালয় চীনকে চিরকাল সুরক্ষা দিয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের জন্য আরেকটি অপসন ছিল, তা হল মায়ানমার হয়ে আক্রমণ। কিন্তু এদিকটাও দুর্ভেদ্য পাহাড় আর জঙ্গলে ভরপুর থাকায় মুসলিম সেনাবাহিনী মায়ানমার দখল করতে যায় নি।

৭) মিসরের মামলুক শাসনামল: মামলুকদের শাসন আফ্রিকা ও মিডল ইস্টে সীমাবদ্ধ ছিল।

৮) অটোমান শাসনামল : অটোমানরা সেন্ট্রাল এশিয়ায় সাফাভীদের কারণে ঢুকতেই পারেনি।চীনতো বহুত দূরে
 

Users who are viewing this thread

Back
Top