What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

লাসাকে কেন নিষিদ্ধ শহর বলা হত বা হয়? (1 Viewer)

NewAlien

Member
Joined
Mar 30, 2021
Threads
96
Messages
128
Credits
5,511
লাসা ৯ম শতাব্দী থেকে তিব্বতের ধর্মীয় কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৬৪২ সালে এটি তিব্বতের রাজধানী হয়ে ওঠে।১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ দালাইলামা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল তিব্বত। যদিও চীন ও তিব্বতের কিছু মানুষ প্রায়শই তিব্বতকে নিজেদের অংশ বলেই দাবি করেন। এটাও সত্যি সেখানকার অনেক তিব্বতীয় আবার এই অঞ্চলকে চীনের অংশ মানতে রাজি নয়। ১৯৫১ সালে যখন চীনা কমিউনিস্টরা অঞ্চলটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল তখন লাসা তিব্বতের রাজধানী ছিল। ১৯৫৯ সালে গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতিরা স্বাধিকার আন্দোলন করেছিল। লাসাকে ১৯৬৫ সালে তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। অনেকগুলো প্রাচীন মন্দির আর প্রাচীন স্থানগুলি যা তিব্বতের পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। দালাই লামার শীতকালীন আবাস, বিভিন্ন মঠ, এবং পোটলা প্রাসাদ তিব্বতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ধর্মীয় নেতারা লাসায় বাস করতেন এবং তাই শহরটিতে সবার জন্য প্রবেশাধিকার ছিল না। এটিকে প্রকৃতিগতভাবেও দুর্গম অঞ্চল হিসাবে মনে করা হতো তাই এটিকে 'নিষিদ্ধ শহর বলা হতো।

আসলেই তিব্বত খুবই দুর্গম। প্রকৃতি চোখ ধাঁধিয়ে দিলেও সেখানে পৌঁছানো খুব কঠিন। কিছুক্ষেত্রে জীবন ধারণ করা রীতিমতো ভয়ঙ্কর। প্রাণ শঙ্কার কথা যদি ওঠে তবে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়তে হয়। একটু ভেবে দেখুন লাসার চারদিক। যে তিব্বতের রাজধানী লাসা সে তিব্বত নিজেই একটা বিশাল মালভূমির মতো। তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ পুরোটাই হিমালয় পর্বতমালায় ঘেরা, উত্তরে তারিম বেসিনের কুনলুন পর্বতমালা (এর উত্তরে আবার তাকলামাকান মরুভূমি), উত্তরপূর্বে রয়েছে কাইদাম বেসিনের কিলিয়ান পর্বতমালা (এর অনেকটা উত্তরে আবার গোবি মরুভূমি)।

main-qimg-a3d016a170a6128e5f646c5adb2ecb90
এসব পেরিয়ে তিব্বতে আসা সত্যিকার অর্থেই প্রাণঘাতী। দুর্গম পাহাড় পেরোনোর তো প্রশ্নই ওঠে না। যে কারণে শত শত বছর মানুষ তিব্বতকে এড়িয়ে চলেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তিব্বতের উচ্চতা। পাহাড় ঘেরা তিব্বত যেন পৃথিবীবাসীর কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে রেখেছে। তিব্বতের বেশিরভাগ ভূ-ভাগ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬ হাজার ফুটেরও ওপরে অবস্থিত। এই উচ্চতার স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালানো মোটেই সম্ভব নয়। বাইরের জগতের মানুষের কাছে সেটি এড়িয়ে যাওয়াটাই প্রথম ও একমাত্র সিদ্ধান্ত। এই উচ্চতায় বসবাস করা সম্ভব নয় বলেই লাসার দিকে পা বাড়ায়নি কেউ। লাসা এতই উঁচু যে, একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়ে থাকে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top