What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পাসপোর্টধারী ফেরাউন : দ্বিতীয় রামেসিস (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
DsFvi2O.jpg


রামেসিস দ্যা সেকেন্ড পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ফেরাউন, যাকে মিশরের সরকার পাসপোর্ট ইস্যু করেছে এবং পাসপোর্টে তার পেশা দেখানো হয়েছে একজন রাজা হিসাবে। শুধু তাই নয়, মিশররের কায়রো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত তার দেহে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হলে চিকিৎসার জন্যে যখন তাকে প্যারিসে পাঠানো হয় তখন ফ্রান্স সরকার তাকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে গ্রহন করে, বর্তমান সময়ের একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে যেভাবে গ্রহন করা হয় ঠিক সেই ভাবেই এবং চিকিৎসা শেষে একই মর্যাদায় ফেরত পাঠায়। তবে আমাদের গল্পের শুরু ঠিক তার পর থেকেই!

রামেসিস এর পরিচিতি

পশ্চিমাদের কাছে তিনি পরিচিত গ্রেট কিং অব ইজিপ্ট হিসাবে, মিসরীয়দের কাছে পরিচিত ১৯তম ডাইনেস্টির কিং রামিসিস দ্যা সেকেন্ড আর বাইবেল অনুসারীদের কাছে তিনি নীলনদের ভেলিতে মুসা (আঃ) কে দৌড়ানি দেওয়া কিং তবে মুসলমানদের কাছে তিনি পরিচিত শুধুমাত্র অভিশপ্ত ফেরাউন হিসাবে ! মিশরে তৎকালীন সময়ের সকল রাজারা পরিচিত ছিলেন ফেরাউন হিসাবে যার বহুবচন ফারাও তবে আল কোরআনে বর্ণীত এই ফেরাউনই রামেসিস দ্যা সেকেন্ড!ফেরাউন মূলত কারো নাম নয়। বনি ইসরাইলিদের যুগের ধর্ম যাজক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের উপাধি। পরবর্তীতে বনি ইসরাইলিরা যখন রাজ্য শাসনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন যারা ওই অঞ্চলের রাজা হতো তাদেরকে ফেরাউন বলে সম্বোধন করা হতো।তার জন্ম ১৩০৩ খৃষ্ট পূর্বে এবং মৃত্যু ১২১৩ খৃষ্ট পূর্বে। ১২৭৯ থেকে ১২১৩ খৃষ্ট পূর্ব পর্যন্ত তিনি মিসরের শাসক ছিলেন। তিনি বেশ কিছু যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং বিজয় লাভ করেন। তার সন্তান সংখ্যা ২০০ এর উপরে। তিনি এতই ক্ষমতাধর ছিলেন যে তার মৃত্যুর পরে আরও নয় জন ফারাও রাজা তার নাম উপাধি হিসাবে গ্রহন করেছিলেন। তার সময়ে মিশরে প্রচুর ভাস্কর্য এবং স্থাপত্ব নির্মাণ করা হয়েছিল যার নিদর্শন এখনও পর্যন্ত বিদ্যামন। তার মত অন্য কোন রাজা এত স্থাপত্ব নির্মাণ করেননি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় তিনি কতটা সফল শাসক ছিলেন।

Zj4go6h.jpg


ফেরাউনের পাসপোর্ট

মমির ইতিহাস

রামিসিস দ্যা সেকেন্ড তখনও অতটা পরিচিত নন পৃথিবীর মানুষের কাছে। মিশরের লুক্সারের ভ্যালি অব দ্যা কিং এর KV5 থেকে চোরদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে তাকে দার আল বাহরি'র TT320 এবং পরে প্রত্নতত্ত্ববিদগন তার দেহ সেখান থেকে সংগ্রহ করে প্রদর্শনের জন্যে কায়রো মিউজিয়ামে সরক্ষন করেন। ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে রামেসিস বলতে মূলত একটি শহর বা স্থানকে বুঝানো হয়েছে। সেই সাথে তার পরিণতি বা তার মৃতদেহ নিয়ে কিছু বলা হয়নি!

তবে আল কোরআনে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে স্পষ্ট করেই –

'আজ আমি (আল্লাহ) তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল। (ইউনুস, ১০:৯২)

তবে এত কিছুর পরেও প্যারিসে পাঠানোর পূর্ব পর্যন্ত কেউই জানতো না এই সেই ফেরাউন! যার কথা আল্লাহ তওরাত আর আল কোরআনে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সে মমি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পড়ে যে টিমের উপর তার প্রধান ছিলেন তৎকালীন ইউরুপের নামকরা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মরিস বুকাইলি! অন্যরা যেখানে মমি নিয়ে কাজ শেষ করে ফিরছিলেন বাসায় সেখানে সারা রাত ল্যাবে মরিস বুকাইলি ব্যাস্ত থাক ছিলেন আরেকটা বিষয় নিয়ে! কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল তার? এই কি সেই মমি যার কথা বাইবেলে বলা হয়েছে? সময়ের হিসাবে এটাই সেই মমি যে মুসা আঃ এর সময়ে শাসক ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মমি ফেরত দিতে হবে কাজেই তাকে কাজ করতে হচ্ছিল সময়ের বিপরিতে।

গবেষণার ফল আসতে লাগলো দ্রুত! শরিরে লবনের পরিমান থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার। আবার মমিফিকেশনের পরিক্ষা থেকে জানা গেল খুব তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে মমিফিকেশনের কাজ। এই থেকে তিনি সিদ্ধান্তে আসলেন মৃত্যুর পর তার দেহ বেশ পরে পানি থেকে তুলে দেহ সংরক্ষনের জন্যে অনেকটা দ্রুত মমিফিকেশন করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায় আরেকটি। পানিতে তার দেহ নষ্ট হয়ে জায়নি কেন? এর মধ্যে একজন তাকে জানালেন মুসলমানরা জানে এই মমি সম্পর্কে! প্রথমে বিশ্বস না করলেও পরে জানলেন আল কোরআনে বলা হয়েছে তার সম্পর্কে! মুসলমানদের ধর্ম মতে পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার। শুধু তাই নয় আল্লাহ নিজে তার দেহ সংরক্ষনের কথা বলেছেন আল কোরআনে! ব্যাস জট খুলে গেল সহজেই!

কিং রামেসিস দ্যা সেকেন্ড ছিলেন মিশরের তৎকালীন শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ফেরাউন। তার দীর্ঘ সময়ের শাসনকালে মিশর পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি তার ক্ষমতা নিয়ে এতই অহংকারী ছিলেন যে একসময় নিজেকে লিভিং গড হিসাবে ঘোষনা করেন!ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে রামেসিস বলতে মূলত একটি শহর বা স্থানকে বুঝানো হয়েছে। সেই সাথে তার পরিণতি বা তার মৃতদেহ নিয়ে কিছু বলা হয়নি!তবে আল কোরআনে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে স্পষ্ট করেই-

'আজ আমি (আল্লাহ) তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল। (ইউনুস, ১০:৯২)। তবে এত কিছুর পরেও প্যারিসে পাঠানোর পূর্ব পর্যন্ত কেউই জানতো না এই সেই ফেরাউন! যার কথা আল্লাহ তওরাত আর আল কোরআনে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সে মমি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পড়ে যে টিমের উপর তার প্রধান ছিলেন তৎকালীন ইউরুপের নামকরা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মরিস বুকাইলি! অন্যরা যেখানে মমি নিয়ে কাজ শেষ করে ফিরছিলেন বাসায় সেখানে সারা রাত ল্যাবে মরিস বুকাইলি ব্যাস্ত থাক ছিলেন আরেকটা বিষয় নিয়ে! কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল তার? এই কি সেই মমি যার কথা বাইবেলে বলা হয়েছে? সময়ের হিসাবে এটাই সেই মমি যে মুসা আঃ এর সময়ে শাসক ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মমি ফেরত দিতে হবে কাজেই তাকে কাজ করতে হচ্ছিল সময়ের বিপরিতে।

গবেষণার ফল আসতে লাগলো দ্রুত! শরিরে লবনের পরিমান থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার। আবার মমিফিকেশনের পরিক্ষা থেকে জানা গেল খুব তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে মমিফিকেশনের কাজ। এই থেকে তিনি সিদ্ধান্তে আসলেন মৃত্যুর পর তার দেহ বেশ পরে পানি থেকে তুলে দেহ সংরক্ষনের জন্যে অনেকটা দ্রুত মমিফিকেশন করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায় আরেকটি। পানিতে তার দেহ নষ্ট হয়ে জায়নি কেন? এর মধ্যে একজন তাকে জানালেন মুসলমানরা জানে এই মমি সম্পর্কে! প্রথমে বিশ্বস না করলেও পরে জানলেন আল কোরআনে বলা হয়েছে তার সম্পর্কে! মুসলমানদের ধর্ম মতে পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার। শুধু তাই নয় আল্লাহ নিজে তার দেহ সংরক্ষনের কথা বলেছেন আল কোরআনে! ব্যাস জট খুলে গেল সহজেই!

কিং রামেসিস দ্যা সেকেন্ড ছিলেন মিশরের তৎকালীন শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ফেরাউন। তার দীর্ঘ সময়ের শাসনকালে মিশর পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি তার ক্ষমতা নিয়ে এতই অহংকারী ছিলেন যে একসময় নিজেকে লিভিং গড হিসাবে ঘোষনা করেন! একসময়কার স্বঘোষিত লিভিং গড অধুনা শতাব্দিতে এসে অন্য এক দেশে প্রবেশ করতে স্থান নেন পাসপোর্টের পাতায় ১৯৭৬ সালে। যেখানে মৃত গডের পেশায় লেখা ছিল 'রাজা'….
 

Users who are viewing this thread

Back
Top