What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নিষিদ্ধ সেতু (1 Viewer)

Bimal57

Active Member
Joined
Dec 8, 2018
Threads
13
Messages
303
Credits
40,642
নিষিদ্ধ সেতু/কামদেব

দিপালি স্কুল হতে ফিরে স্নান করতে ঢুকল বাথরুমে।উলঙ্গ হয়ে সাবান ঘষতে ঘষতে হঠাৎ আবিস্কার করল শুয়োপোকার রোমের মত রেশমি লোম যোনীর চার পাশে বস্তি প্রদেশে গজিয়েছে কচি ঘাসের মত।মনের মধ্যে শুরু হল তুমুল আলোড়ন।কোমর বেকিয়ে বস্তিদেশ মেলে ধরে শাওয়ারের নীচে।উপর হতে ছরছর করে পড়ে জলধারা।দু-আঙ্গুলে ধরে মৃদু টান দিতে অনুভব করে শিহরন। কি সুন্দর নরম রেশমের মত!আস্তে আস্তে হাত বোলায় যোণীর চার পাশে।সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে অনির্বচনীয় সুখানুভুতি।

বুকের নীচে শ্বাস আটকে আছে, হাসফাস করে মন।ঘটনাটা একজন কাউকে শেয়ার না-করা পর্যন্ত স্বস্তি হয় না।স্নান করে বেরিয়ে আসে দিপালি।মনে পড়ে প্রানের বন্ধু নুপুরের কথা।অনেক কিছু জানে নুপুর।দুজনের কথা হয় খোলাখুলি।সব গোপন কথা বলে দিপালিকে যা সবাইকে বলা যায় না।ওর লাভার যেদিন নুপুরকে কিস করেছিল প্রথম সেকথা বলেছিল দিপালিকে।নুপুরেরও কি তার মত হয়েছে? নুপুরের বুক দিপালির চেয়ে উচু তাহলে নিশ্চয়ই হয়েছে। কতক্ষনে দেখা হবে নুপুরের সঙ্গে?কাল স্কুলের আগে সম্ভব নয়।ইচ্ছে করছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কেমন লাগছে দেখতে কিন্তু মিতালি যে কোন সময় চলে আসতে পারে।কখন নুপুরের সঙ্গে দেখা হবে সব কথা ওকে বলবে সেই চিন্তায় তর সইছেনা।

ডাক্তার দেবাঞ্জন বোসের দুই মেয়ে,দিপালি এবং মিতালি।দিপালি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে,মিতালি সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হল।দুজনেই মেধাবী ভাল ফলাফল করে ক্লাসে ওঠে।ভাল ডাক্তার হলেও সাংসারিক ব্যাপারে একেবারে আনাড়ি।সে দায়িত্ব সামলাতে হয় স্ত্রী দেবারতিকে।স্বাভাবিকভাবে তিনি স্ত্রীর অতিশয় অনুগত।স্কুলে বেরোবার আগে মিতালি এসে বলে,দিদিভাই অঙ্কটা একটু দেখিয়ে দিবি?

--আমার এখন সময় নেই।দিপালি বোনকে হতাশ করে বলে।

এবার মিতুর অঙ্ক বীজগণিত শুরু হবে।দেবারতি টিউটরের খোজ করছেন।দিপুকে দিয়ে হবে না তা ছাড়া ওর কদিন পরে পরীক্ষা।হীরুবাবুকে বলেছেন একজন ভাল শিক্ষকের জন্য।ভদ্রলোক দিপুর গানের শিক্ষক, পাড়ায় বেশ পরিচিতি।দেবারতি বিদুষী আধুনিকা মহিলা,সাজগোজেই তার অধিকতর রুচি।পাড়ার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা কম।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাজগোজ করছে দিপালি।হঠাৎ মনে হল বকুলতলায় কি আজ দাঁড়াবে ছেলেটা? সেই নাইন হতে দেখে আসছে বকুলতলায় দাঁড়িয়ে থাকে উদাস দৃষ্টি মেলে।অন্যসব ছেলেরা স্কুলের গেটের কাছে দাড়ায়।সুদিপও নুপুরের সঙ্গে প্রেম হবার আগে গেটের কাছেই দাড়াত।কিন্তু এই ছেলেটা গেট হতে অনেকটা দূরে বকুলতলায় অতল দিঘীর মত চোখ মেলে দাঁড়িয়ে থাকে।ওর নাম নীল অঞ্চলে উচ্চ-মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।সবাই বলে পাড়ার গর্ব।গর্ব না হাঁদারাম।

নুপুর বলেছিল,দিপা তোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে।বকুলতলা অতিক্রম করতে গিয়ে দম চেপে কান খাড়া করে রেখেছে, প্রতিদিন ভাবতো এইবুঝি ছেলেটা এগিয়ে এসে কিছু বলবে।বকুলতলা পার হতে বুক ঢিপঢিপ করতো।দিনেরপর দিন যায় কিন্তু কিছু বলার কোন লক্ষন নেই।কি ভাবে নীল নিজেকে? দিপালি উপযাচক

হয়ে তার সঙ্গে কথা বলবে? ওর মা লোকের বাড়িতে কাজ করে,কিসের এত অহংকার?

এখন ঘড়িতে সাড়ে-ছটা,সাতটায় ক্লাস। যদিও নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না,কিছু স্পেশাল ক্লাস হয় মেয়েরাও আসে কম।তবু পৌছাতে হবে সময়মত।নুপুর আসে সুদিপের জন্য।সুদিপ নাকি ওকে বলেছে নুপুরকে না-দেখলে ঘুম আসে না।আদিখ্যেতা,যেন ওরাই প্রেম করছে আর কেউ করে না।দুর হতে নজরে পড়ে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটা।কোন বাড়ির ট্রাঞ্জিষ্টার হতে গান ভেসে আসছে--'গোলাপের অলি আছে ফাগুনের আছে বাহার সকলের সাথী আছে কেউ নেই আমার...।'এই একটা ব্যাপারে নুপুরের চেয়ে নিজেকে ছোট মনে হয়।নীলের প্রতি রাগ হয় ,এরকম মেনিমুখো ছেলে তার ভাল লাগে না।থাকো তুমি ঐভাবে দাঁড়িয়ে যতক্ষন ইচ্ছে যত দিন ইচ্ছে।অভিমানে চোখে জল এসে যায়।

নুপুর হাফাতে হাফাতে এসে জিজ্ঞেস করে ,কিরে কি ভাবছিলি?তখন থেকে ডাকছি,শুনতে পাসনি?

--ও তুই একদম খেয়াল করিনি।

--সেই মালটা বকুল গাছের নীচে দাঁড়িয়েছিল দেখেছিস?নুপুর হাসতে হাসতে বলে।

--কে ওই ক্যাবলাকান্ত?আমার দেখতে বয়ে গেছে।

--আরে টেম্পুরারি কাজ ভালা না।নুপুর মজা করে বলে।

দিপালির এমনিতে ছেলেটার প্রতি রাগে গা জ্বলছিল,নুপুরের কথায় মনটা চিড়বিড়িয়ে ওঠে,তোর দরকার হয় তুই চালা।

--আমার তো সুদেব আছে,না হলে দেখতাম।গর্বিত গলায় বলে নুপুর।

নুপুরের প্রতি হিংসা হয়।যখন সুদেবের গল্প করে মনে হয় পৃথিবীতে ওর মত সুখী কেউ নেই।সুদেবকে দেখেছে দিপালি।

আহামরি কিছু দেখতে নয়।নুপুর বলে শাহরুকের মত দেখতে।কোন কলেজে বি.এ পড়ে।নীলের সঙ্গেই পাস করেছে।অবশ্য নীল ওর চেয়ে হাজার গুন ভাল লেখাপড়ায়।ময়লা মাজা রং,মাথায় ঝাকড়া এলোমেলো চুল।

--তোকে একটা কথা বলবো--খুব প্রাইভেট।দিপালি বলে।

নুপুর অবাক হয়ে তাকায়,দিপাকে কেমন অন্যরকম মনে হচ্ছে।কিছু হয়েছে নাকি বকুলতলায়?কি কথা বলতে চায় দিপা?

প্রতিদিন ভোরে মর্নিং ওয়াক করতে বেরোয় নীলকণ্ঠ সেন।সঙ্গে থাকে তার সহপাঠি শিবেন।শিবেন অবস্থাপন্ন পরিবারের ছেলে।নীলের মা লোকের বাড়ি কাজ করলেও শিবেন ওর মাকে খুব সম্মানের সঙ্গে মাসীমা বলে ডাকে।তারপর পৌনে সাতটা নাগাদ বকুলতলায় দাঁড়িয়ে বিশ্রাম করে।দীপুকে দেখতে ওর খুব ভাল লাগে।দুরে একঝাক মেয়ের মধ্যে যখন থাকে চিনতে অসুবিধে হয় না এত ফর্সা।পাকা পেয়ারার মত গায়ের রং।কেউ দীপুকে টিটকিরি দিলে নীলের বুকে বাজে।কিন্তু স্বপ্নেও দীপুকে নিজের বলে ভাবতে পারে না।শিবেন যথেষ্ট উৎসাহ দিলেও সেসব ভাবতে সাহস হয়নি।ওর বাবা ডাক্তার সমাজে প্রতিষ্ঠিত, বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি।কিসে আর কিসে?



যতক্ষন দীপাকে দেখা যাচ্ছিল নীল তাকিয়ে থাকে অপলক।বেলা হল আবার কলেজ যেতে হবে।দীপা স্কুলে ঢুকে গেলে বাড়ির দিকে পা বাড়ায়।

দীপার কাছে সবটা শুনে নুপুর বলে ,চল বাথরুমে যাই।

ক্লাসে বইয়ের ব্যাগ রেখে বাথরুমে গেল দুই বন্ধু।দীপার প্যাণ্ট নামিয়ে যোণীর উপর হাত রাখে নুপুর।সত্যি খুব মোলায়েম।রুদ্ধশ্বাসে দীপা মাথা নীচু করে দেখছে নুপুরের কাণ্ড।আচমকা চেরার মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিল নুপুর।

দীপা শিউরে উঠে বলে,এ্যাই কি করছিস?

--ভাল লাগছে না?নুপুর জিজ্ঞেস করে।

--তুই না ভীষণ অসভ্য।তোর কোন ঘেন্না-পিত্তি নেই।মনে মনে খুশি হলেও দীপা প্রকাশ করে না।

--তুই এত ফর্সা তাই কচিবাল এত সুন্দর লাগছে।পরে দেখবি বিরক্তিকর লাগবে।

--কেন?

নুপুরের যতটা জ্ঞান আছে সেই মত বোঝাবার চেষ্টা করে।মাসিক হলে রক্তে ভিজে জট পাকিয়ে যাবে।যখন কেউ চুষতে যাবে মুখে বাল ঢুকে--।দীপা চোখ বড় করে শুনছে নুপুরের কথা।

--ছেলেরা ওইখানে মুখ দেয় কি করে জানলি?সুদিপ কি--?

--পাগল? এখন ঐসব না,আমি সুদিপকে বলে দিয়েছি বিয়ের আগে পর্যন্ত কষ্ট করতে হবে।তোকে কামদেবের একটা বই দেবো।গোপনে পড়বি,অনেক কিছু জানতে পারবি।

--এখন না,পরীক্ষার পরে দিস।

সন্ধ্যেবেলা কোচিং হতে বেরিয়ে রিক্সাস্ট্যাণ্ডে আসতে রিক্সাওয়ালা ভাড়া বেশি চায়।সঙ্গে নুপুরও ছিল।

--আমরা কি নতুন নাকি? রোজ আসছি--।

--এ্যাই নেমসাবকে লে যা।

নুপুর মিচকি হাসে।দীপা তাকিয়ে দেখে একটি সুদর্শন ছেলে পাশে এসে দাড়িয়েছে।জিন্সের প্যাণ্ট টি-শার্ট গায়ে,চুলের মাঝখানে সিথি কাটা,হিন্দি সিনেমার হিরোর মত দেখতে।

--চলিয়ে মেমেসাব।রিক্সাওয়ালা বলে।

--কত ভাড়া? দীপা জিজ্ঞেস করে।পরে ভাড়া নিয়ে গোলমাল তার পছন্দ নয়।

--যা দিবেন।

এই চমৎকারি ফলে অবাক হয় দীপা।দুজনে রিক্সায় ওঠে।

--কিরে কি ভাবছিস?জিজ্ঞেস করে নুপুর।

--ছেলেটা কে বলতো?



--ওর নাম বলু।সকলে ওকে খুব ভয় পায়।দেখলি না রিক্সাওয়ালা কেমন জোকের মুখে নুন পড়ার মত কুচকে গেল।

--যাই হোক ছেলেটা বেশ ভদ্র।দীপা বলে।এদের জন্য সবাই বাদরামি করতে পারে না।

--তোর পছন্দ হয়েছে বল।

--ধ্যাৎ খালি বাজে কথা।দীপা বলে, যা সত্যি তাই বললাম।ন্যাকা মার্কা ছেলে আমি দু-চক্ষে দেখতে পারি না।

কথাটা সম্ভবত নীলের কথা ভেবে বলল।বটতলার কাছে আসতে নুপুর নেমে যায়।নামার আগে জিজ্ঞেস করে,কাল স্কুলে আসবি?

--না আর স্কুলে যাব না।দীপা বলে।



বাস্তব বোধ আর আবেগের সম্পর্ক মধুর ছিল না কোনদিন।বাস্তব পথ চলে অঙ্ক কষে সতর্ক পদক্ষেপে,আবেগ তীব্র গতিপ্রবন, কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না।প্রতিপদে তার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বাস্তব বোধ।বাস্তবকে বলা যায় আবেগের অভিভাবক।অবাধ্য সন্তান অনেক সময় অভিভাবকের বিরুদ্ধে চলে যায় তেমনি আবেগও অস্বীকার করে কখনও বাস্তবের খবরদারি।নীল এসব একেবারে ভাবে না আ নয়।কিন্তু প্রতিদিন এসময় এই বকুলগাছের নীচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে।ডাক্তারবাবুর মেয়েকে একপলক না দেখলে স্বস্তি পায় না।নিজেকে বুঝিয়েছে,

অন্যের বাড়ি কাজ করে তার মা।যত কেন মর্যাদা বোধ থাকুক, সবার কাছে 'কাজের লোক' বই অন্য কিছু না।দিপালির বাবা ডাক্তার সমাজে মান্যগন্য।এতো আকাশ কুসুম কল্পনা! ম্লান হয়ে আসে নীলের মুখ।

একটু আগে দিপালি স্কুলে গেল তার দিকে উপেক্ষার দৃষ্টি ছুড়ে দিয়ে।হীরেণ বাবুর সঙ্গে কথা বলছিল তখন নীলু।হিরেনবাবু মুখ চেনা,আলাপ ছিল না।ডাক্তার বাবু ডেকেছেন।চেম্বারে দেখা করবে বলতে হীরেন বাবু বললেন,না, বাড়িতে এসো।ওর স্ত্রী কথা বলবেন।

দিপালি কি কিছু বলেছে বাড়িতে?কথাটা একবার ঝিলিক দিয়ে যায়।কি বলবে? সেতো কোনদিন দিপাকে অসম্মান করেনি।তবে কি বানিয়ে বানিয়ে কিছু বলে থাকবে?

--আচ্ছা উনি কি আমাকে চেনেন? আমাকে কেন ডাকলেন? নীলু প্রশ্ন করে।

--এ অঞ্চলে তোমাকে চেনে না এমন কেউ আছে নাকি? তুমি অঞ্চলের গর্ব।হেসে হীরেন বাবু বলেন।

গর্ব? কে হতে চায় গর্ব? শুধু দিপালি যদি তার প্রতি সদয় হত?মনে মনে ভাবে নীলু,ম্লান হেসে হীরেন বাবুকে বলে,ঠিক আছে বিকেল বেলা যাবো।

হীরেন বাবু চলে যাবার পর শিবেন এল।নীলুর সঙ্গে পড়ে এক কলেজে।শিবেনের বাবা ভাল চাকরি করেন,অবস্থা ভাল।নীলের মা লোকের বাড়ি কাজ করে বলে তাকে অন্যচোখে দেখে না।শিবেন মাকে মাসীমা বলে ডাকে।মাও ওকে খুব স্নেহ করে।

--ওই ভদ্রলোকের নাম হীরেন বাবু।

--আমি চিনি।ডা.বোসের মেয়েকে গান শেখায়।আমার কাছে তোর খোজ করছিল,আমিই তো পাঠিয়েদিলাম।কি বলছিল রে?

--ডাক্তার বোসের বউ ডেকে পাঠিয়েছে।নীল বলে।

--এইতো মওকা গুরু ,চলে যা।শিবুর কথায় মৃদু হাসি ফোটে নীলের মুখে।কি বলবে শিবুকে,ও অতশত বুঝতে চায় না।

--বেলা হল,চল বাড়ি যাই।দুজনে বাড়ির দিকে পা বাড়ায়।নীলুর মুখ-চোখ দেখে শিবু আর কোন উচ্চবাচ্য করে না।

একসময় ভেবেছিল নীল জয়েণ্ট পরীক্ষায় বসবে।যদি ডাক্তারিতে সুযোগ পায়ও পড়া চালাবার টাকা কোথায়? টাকার জন্য পড়া হবে না জানলে মা কষ্ট পাবে।সরমা কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসেছে,ছেলে ফিরল তার ঘণ্টা খানেক পর।বাড়ি ঢুকতে মা জিজ্ঞেস করে,কি রে এত বেলা অবধি ছিলি কোথায়?
 

Users who are viewing this thread

Back
Top