আদর্শ যুবকের কতিপয় বৈশিষ্ট্য
যুবকরা যেকোন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স্ক লোকদের নিকট যে কাজটা কঠিন, সে কাজটা যুবকদের নিকট সহজ। যুবকদের মূল্যবান সময়টা বিভিন্ন খারাপ কাজে অতিবাহিত না করে, কল্যাণকর কাজে অতিবাহিত করতে হবে। যাতে করে ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে জওয়াব দেওয়া সহজ হয়। কতিপয় গুণাবলী অর্জন করতে পারলে ইহকালে শান্তি মিলবে এবং পরকালেও পাওয়া যাবে নাজাত। আর এই গুণাবলী সম্পন্ন যুবককে আদর্শ যুবক বলে অভিহিত করা যায়। নিম্নে আদর্শ যুবকের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গুণ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ'ল।-
আল্লাহকে ভয় করা :
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيْمٌ، يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيْدٌ. 'হে মানব মন্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে। নিঃসন্দেহে ক্বিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেইদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী বিস্মৃত হবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে। মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ, যদিও তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্ত্ততঃ আল্লাহর শাস্তি কঠিন' (হজ্জ ২২/১-২)।
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেন, 'হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা প্রকৃত ভীতি সহকারে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না' (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, 'হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক যে, আগামীকালের জন্য সে কি অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত' (হাশর ৫৯/১৮)।