হঠাত একটা চিঠি
(কৌশলগত কারনেই হয়তো কবি তাঁর ফেসবুকের ওয়ালে শিরোনাম প্রকাশ করেননি। তাই আমি একটু দুঃসাহস দেখালাম, এজন্য কবির কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী)
কবিঃ শামিম রেজা
আমি বহুদিন কারো চিঠির জন্যে অপেক্ষা করিনি।
চিঠিবেলার সেইসব দিনগুলিতে একেকটা হলুদ খাম খুললেই
অক্ষরগুলো বের হয়ে আসতো গুটি গুটি পায়ে
ছড়িয়ে পড়তো ঘরময়, বিছানা বালিশে আর পড়ার টেবিলে।
বই এর মলাটের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা সেইসব চ্যাপ্টা চিঠি
এতোটাই ছড়াতো মদির সুবাস
লোক জানাজানি হয়ে যেতো গোপন আবাস।
বুড়ো ডাকপিয়নের মৃত্যুর পর, তোমার জন্যে
আমি বহুদিন ঝুলবারান্দায় গ্রিল ধরে অপেক্ষা পোহাইনি।
আজ হঠাতই এলো এক চিঠি
ভোরের দরজা খুলতেই দেখি
ভ্যালির রুক্ষ এই শহর জুড়ে বিস্তীর্ণ এক তুষার চিঠি
সারারাত ধরে ঝরা আদিগন্ত ঢাকা সফেদ তুষারের উপর
ভোরের সূর্যের সলতে জ্বলা হ্যারিকেনের হলদে আলোয়
আঙ্গুল ডুবিয়ে কেউ একজন লিখেছে সে চিঠি।
কিছুই ছিলোনা লেখা তাতে
কেবল আমার ডাকনামের আদ্যক্ষর ছাড়া
হঠাত একটা চিঠি-
উত্তরাধুনিক কবিতার মত দুর্বোধ্য
মারকেজের গল্পের মত মায়াবাস্তব।
(কৌশলগত কারনেই হয়তো কবি তাঁর ফেসবুকের ওয়ালে শিরোনাম প্রকাশ করেননি। তাই আমি একটু দুঃসাহস দেখালাম, এজন্য কবির কাছে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী)
কবিঃ শামিম রেজা
আমি বহুদিন কারো চিঠির জন্যে অপেক্ষা করিনি।
চিঠিবেলার সেইসব দিনগুলিতে একেকটা হলুদ খাম খুললেই
অক্ষরগুলো বের হয়ে আসতো গুটি গুটি পায়ে
ছড়িয়ে পড়তো ঘরময়, বিছানা বালিশে আর পড়ার টেবিলে।
বই এর মলাটের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা সেইসব চ্যাপ্টা চিঠি
এতোটাই ছড়াতো মদির সুবাস
লোক জানাজানি হয়ে যেতো গোপন আবাস।
বুড়ো ডাকপিয়নের মৃত্যুর পর, তোমার জন্যে
আমি বহুদিন ঝুলবারান্দায় গ্রিল ধরে অপেক্ষা পোহাইনি।
আজ হঠাতই এলো এক চিঠি
ভোরের দরজা খুলতেই দেখি
ভ্যালির রুক্ষ এই শহর জুড়ে বিস্তীর্ণ এক তুষার চিঠি
সারারাত ধরে ঝরা আদিগন্ত ঢাকা সফেদ তুষারের উপর
ভোরের সূর্যের সলতে জ্বলা হ্যারিকেনের হলদে আলোয়
আঙ্গুল ডুবিয়ে কেউ একজন লিখেছে সে চিঠি।
কিছুই ছিলোনা লেখা তাতে
কেবল আমার ডাকনামের আদ্যক্ষর ছাড়া
হঠাত একটা চিঠি-
উত্তরাধুনিক কবিতার মত দুর্বোধ্য
মারকেজের গল্পের মত মায়াবাস্তব।