নবী (সাঃ) বলেছেন- ছাদাক্বা গরীবদের হক্ক! যেহেতু যারা ছাদাক্বা করে থাকেন, তারা বেশীরভাগই বিত্তশালী হয়ে থাকেন, তাই কোনভাবেই সেই ছাদাক্বাকৃত পশুর গোশ্ত নিজেরা খেতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। একটা জিনিষ কি খেয়াল করে দেখেছেন? উচ্চবিত্তদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে পরিমান খাবার অবহেলায় নষ্ট হয়, সেটা অতিরিক্ত আকারে কিংবা উচ্ছিস্টাকারেই হউক- তা দিয়ে অনায়াসে গরীব পরিবারের বেশ কয়েক পরিবারের দুবেলা অনায়াসে চালানো যেতো। সে উচ্ছিষ্ট যখন অনুষ্ঠান শেষে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়, সেখান থেকে অনেক টোকাই সেগুলো সংগ্রহ করে নিজেদের খাবার জন্য নিয়ে যায়। তারা সেগুলো খাবার পর খুব ভালোভাবেই তাদের পেটে সয়ে যায়। কিন্তু সে একই খাবার যদি কোন উচ্চবিত্তদের খেতে দেয়া হয়, তবে কি অবস্থা হবে? আমার তো মনে হয় খাবার পর ডায়রিয়া বা পেটের পীড়া হবে না এমন কোনো উচ্চবিত্ত একজনও পাওয়া যাবে না। তার মানে হলো- আল্লাহ তাদেরকে (গরীবদেরকে) এই খাবার খেয়ে হজম করার শক্তি দিয়েছেন, যা উচ্চবিত্তদের দেননি! এথেকেই আমরা একটা শিক্ষা নিতে পারি- দুনিয়াতে এমন কিছু বিষয় আছে, উচ্চবিত্তদের জন্য যা উপযুগী নয়, কিন্তু গরীবদের জন্য উপযুক্ত! যেমন যাকাত, ফিতরা, ছাদাক্বা ইত্যাদী। এই সমস্ত কিছুই গরীবদের হক্ব। সুতরাং গরীবদের এই হক্বে কোনোভাবেই ধনীদের অধিকার কিংবা গ্রহণ করার যোগ্যতা নেই।
আল্লাহ আমাদের যেনো যার যার হক্ব আদায়ের তওফিক দেন, সে প্রার্থনা করছি...
আল্লাহ আমাদের যেনো যার যার হক্ব আদায়ের তওফিক দেন, সে প্রার্থনা করছি...