What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কিত বিবিধ মাসায়েল (1 Viewer)

ব্যবহারিক পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের হুকুম :

ব্যবহারিক পানি অর্থাৎ ওযূ অথবা গোসল করার সময় ওযূর অঙ্গসমূহ থেকে গড়িয়ে পড়া পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ। তবে শর্ত হ’ল রং, স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকতে হবে।
হাদীছে এসেছে,
قَالَ عُرْوَةُ عَنِ الْمِسْوَرِ وَغَيْرِهِ يُصَدِّقُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ وَإِذَا تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَادُوْا يَقْتَتِلُوْنَ عَلَى وَضُوْئِهِ.

উরওয়া (রহঃ) মিসওয়ার (রহঃ) প্রমুখের নিকট হ’তে হাদীছ বর্ণনা করেন। এ উভয় বর্ণনা একটি অন্যটির সত্যায়ন স্বরূপ। নবী (ছাঃ) যখন ওযূ করতেন তখন তাঁর ব্যবহৃত পানির উপর তাঁরা (ছাহাবায়ে কেরাম) যেন হুমড়ি খেয়ে পড়তেন’। (বুখারী, ‘ওযূর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার’ অনুচ্ছেদ, হা/১৮৯, বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১০৯।)
 
অন্য হাদীছে এসেছে,
وَقَالَ أَبُو مُوْسَى دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحٍ فِيْهِ مَاءٌ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيْهِ ثُمَّ قَالَ لَهُمَا اشْرَبَا مِنْهُ وَأَفْرِغَا عَلَى وُجُوْهِكُمَا وَنُحُوْرِكُمَا-
আবু মূসা (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) একটি পাত্র আনালেন যাতে পানি ছিল। অতঃপর তিনি তার মধ্যে উভয় হাত ও মুখমন্ডল ধেŠত করলেন এবং তার দ্বারা কুলি করলেন। অতঃপর তাদের দু’জন [আবু মূসা ও বেলাল (রাঃ)]-কে বললেন, তোমরা এ থেকে পান কর এবং তোমাদের মুখমন্ডলে ও বুকে ঢাল।
(বুখারী, ‘ওযূর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার’ অধ্যায়, হা/১৮৮, বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১০৯।)

অতএব যদি ব্যবহারিক পানি পবিত্র না হ’ত তাহ’লে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন নির্দেশ দিতেন না এবং ছাহাবায়ে কেরাম এমন কাজ করতেন না। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এবং তাঁর ছাহাবীগণ তাঁদের স্ত্রীদের সাথে একত্রে একই পাত্র হ’তে ওযূ করতেন। যেমন হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَتَوَضَّئُوْنَ فِيْ زَمَانِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمِيْعًا-

আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল-এর সময় পুরুষ এবং মহিলা একত্রে (এক পাত্র হ’তে) ওযূ করতেন। (বুখারী, ‘ওযূর অবশিষ্ট পানি ব্যবহার’ অনুচ্ছেদ, হা/১৯৩, বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১১১।)
 
মানুষ এবং গৃহপালিত পশুর উচ্ছিষ্ট পবিত্র কি?

প্রথমত: মানুষের উচ্ছিষ্ট, অর্থাৎ খাওয়া ও পান করার পরে যা অবশিষ্ট থাকে তা পবিত্র। হাদীছে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَشْرَبُ وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِىَّ فَيَشْرَبُ وَأَتَعَرَّقُ الْعَرْقَ وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعُ فَاهُ عَلَى مَوْضِعِ فِىَّ-

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি হায়েয অবস্থায় পান করতাম, অতঃপর তা নবী (ছাঃ)-কে দিতাম, আর তিনি আমার মুখের জায়গায় মুখ রেখেই পান করতেন। আর কখনও আমি হায়েয অবস্থায় হাড়ের গোশত খেতাম, অতঃপর তা আমি নবী (ছাঃ)-কে দিতাম, আর তিনি আমার মুখের জায়গায় মুখ রেখে খেতেন। (মুসলিম, হা/৩০০, মিশকাত, ‘হায়েয’ অধ্যায়, হা/৫০২, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া ২/১৪২।) অতএব মানুষের উচ্ছিষ্ট সর্বাবস্থায়ই পবিত্র।
 
দ্বিতীয়ত: পশুর উচ্ছিষ্ট : গৃহপালিত পশু যার গোশ্ত খাওয়া হালাল তার উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যা ওলামায়ে কেরামের ঐক্যমত দ্বারা প্রমাণিত।
পক্ষান্তরে যে সকল পশুর গোশত খাওয়া হারাম সে সকল পশুর উচ্ছিষ্ট পবিত্র অথবা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। তবে ছহীহ মত হ’ল, কুকুর এবং শুকুর ব্যতীত অন্য সকল পশুর উচ্ছিষ্ট পবিত্র।
হাদীছে এসেছে,
عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِىْ قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ دَخَلَ فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوْءًا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَشَرِبَتْ مِنْهُ فَأَصْغَى لَهَا الإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِى أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَتَعْجَبِيْنَ يَا ابْنَةَ أَخِىْ فَقُلْتُ نَعَمْ. فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِيْنَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ -
কাবশা বিনতে কা’ব ইবনে মালেক যিনি আবু কাতাদার পুত্রবধূ ছিলেন। তার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা (তার শ্বশুর) আবু কাতাদা তাঁর নিকট গেলেন। তিনি তাঁর জন্য ওযূর পানি ঢাললেন। তখন একটি বিড়াল আসল এবং তা হ’তে পান করতে লাগল, আর তিনি পাত্রটি বিড়ালটির জন্য কাত করে ধরলেন, যে পর্যন্ত না সে পান করল। কাবশা বলেন, তখন তিনি আমাকে দেখলেন, আমি তাঁর দিকে চেয়ে রয়েছি। এটা দেখে তিনি বললেন, হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। তা তোমাদের পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী অথবা বিচরণকারিণী। (সুতরাং এর উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়)।
(আবু দাউদ, ‘বিড়ালের উচ্ছিষ্ট’ অনুচ্ছে, হা/৭৫, তিরমিযী, হা/৯২, মিশকাত, হা/৪৫১, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয় ২/১১৭।)

তবে পানির পরিমাণ যদি দুই কুল্লা-এর কম হয় এবং ঐ সকল পশুর খাওয়া ও পান করার ফলে রং, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহ’লে তা অপবিত্র হবে।
 
হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ : سُئِلَ عَنِ الْمَاءِ يَكُوْنُ بِالْفَلاَةِ مِنَ الأَرْضِ وَمَا يَنُوْبُهُ مِنَ الدَّوَابِّ وَالسِّبَاعِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ : إِذَا بَلَغَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يُنَجِّسْهُ شَيْءٌ-
ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল সেই পানি সম্পর্কে, যা মাঠে-বিয়াবানে জমে থাকে। আর পর পর তা হ’তে নানা ধরনের বন্য জীব-জন্তু ও হিংস্র পশু পানি পান করতে থাকে। উত্তরে তিনি বললেন, ‘পানি যখন দুই কুল্লা পরিমাণ হয়, তখন তা নাপাক হয় না’।
(মুসনাদে আহমাদ, ২/২৭, আবু দাউদ, হা/৬৩, মিশকাত, হা/৪৪৭, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া ২/১১৪।)

আর কুকুর এবং শূকরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى اللهُ عليْه وسلم طُهُوْرُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيْهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ أُوْلاَهُنَّ بِالتُّرَابِ-
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তাকে সাতবার ধৌত কর এবং প্রথমবার মাটি দ্বারা’।
(বুখারী, হা/১৭২, মুসলিম, হা/২৭৯, মিশকাত, হা/৪৫৮, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া ২/১২১।)

অতএব কুকুরের উচ্ছিষ্ট অপবিত্র না হ’লে রাসূল (ছাঃ) সাতবার ধৌত করার নির্দেশ দিতেন না। আর শূকরের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, فَإِنَّهُ رِجْسٌ‘নিশ্চয়ই তা অপবিত্র’ ( আন‘আম ১৪৫)।
 
রমাজান মাসে খুবই কাজের পোষ্ট আশাকরি সবার কাজে লাগবে।
 
রমাজান মাসে খুবই কাজের পোষ্ট আশাকরি সবার কাজে লাগবে।
কারো যদি ন্যূনতম কাজে লাগে তবে পরিশ্রম স্বার্থক ভাববো।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !
 
পাত্র বিষয়ক মাসআলা

الآنية -এর পরিচিতি : যে পাত্রে পানি অথবা অন্য কোন খাদ্য সংরক্ষণ করা হয় তাকে الآنية বলা হয়। এর আসল বা মূল হ’ল হালাল হওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا ‘তিনি যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (বাক্বারাহ ২৯)। আর পাত্র আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টি সমূহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব পাত্র যতক্ষণ পর্যন্ত অপবিত্র হওয়ার যথাযথ দলীল পাওয়া না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত তা পবিত্র।
 
স্বর্ণ ও রৌপ্যের তৈরী পাত্রের ব্যবহার এবং তাতে রক্ষিত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের হুকুম :

স্বর্ণ ও রৌপ্যের তৈরী পাত্রে শুধুমাত্র খাওয়া ও পান করা হারাম। এছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয। হাদীছে এসেছে,
عَنِ ابْنِ أَبِيْ لَيْلَى قَالَ خَرَجْنَا مَعَ حُذَيْفَةَ وَذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : لاََ تَشْرَبُوْا فِيْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَلاَ تَلْبَسُوْا الْحَرِيْرَ وَالدِّيْبَاجَ فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَكُمْ فِي الآخِرَةِ.
ইবনু আবি লায়লা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা হুযায়ফা (রাঃ)-এর সঙ্গে বাইরে বের হ’লাম। এ সময় তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর কথা আলোচনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তোমরা স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করবে না। আর মোটা বা পাতলা রেশম বস্ত্র পরিধান করবে না। কেননা এগুলো দুনিয়াতে তাদের (অমুসলিমদের) জন্য। আর তোমাদের জন্য রয়েছে আখিরাতে।
(বুখারী, ‘স্বর্ণের পাত্রে পানি পান করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৫৬৩৩; বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ৫/২৯৩।) অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ : الَّذِيْ يَشْرَبُ فِيْ إِنَاءِ الْفِضَّةِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِيْ بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ.
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সহধর্মিনী উম্মু সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রৌপ্যের পাত্রে পান করে সে তো তার উদরে জাহান্নামের অগ্নি প্রবিষ্ট করায়’।
(বুখারী, ‘স্বর্ণের পাত্রে পানি পান করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৫৬৩৪; বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ৫/২৯৩।)

উল্লেখিত হাদীছদ্বয়ে স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্র শুধুমাত্র খাওয়া এবং পান করার কাজে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয। এসব পাত্রে রাখা পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাও জায়েয। কেননা যদি অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবহার অবৈধ হ’ত তাহ’লে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) শুধুমাত্র নির্দিষ্টভাবে খাওয়া ও পান করতে নিষেধ করতেন না। (মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন, শারহুল মুমতে আলা যাদিল মসতাকনে ১/৭৫; ফিক্বহুল মুয়াস্সার, পৃঃ ৬।)
 
কাফিরদের পাত্র ব্যবহার করার হুকুম :

যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, কাফিরদের ব্যবহারিক পাত্রে কোন অপবিত্র বস্ত্ত তোলা হয়নি, তাহ’লে তা ব্যবহার করা হালাল। আর যদি জানা যায় যে, তাতে অপবিত্র বস্ত্ত তোলা হয়েছে এবং সে পাত্র ছাড়া অন্য কোন পাত্র পাওয়া না যায়, তাহ’লে তা ভালভাবে ধৌত করে ব্যবহার করা জায়েয। হাদীছে এসেছে, আবু ছা‘লাবা খুশানী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বাস করি, তাদের পাত্রে আহার করি। আর আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি, শিকার করি তীর ধনুক দিয়ে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে এবং প্রশিক্ষণ বিহীন কুকুর দিয়েও। অতএব আমাকে বলে দিন, এর মধ্যে আমাদের জন্য কোন্টি হালাল? তিনি বললেন, তুমি উল্লেখ করেছ যে, তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস কর, তাদের পাত্রে খানা খাও। তবে যদি তাদের পাত্র ব্যতীত অন্য পাত্র পাও, তাহ’লে তাদের পাত্রে আহার করো না। আর যদি না পাও, তাহ’লে ঐগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার করবে। আর তুমি উল্লেখ করেছ যে তুমি শিকারের অঞ্চলে থাক। তুমি যা তীর ধনুক দ্বারা শিকার কর, তাতে তুমি বিসমিল্লাহ পড়বে এবং তা খাবে। তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে যা শিকার কর, তাতে বিসমিল্লাহ পড়বে এবং তা খাবে। আর তুমি যদি প্রশিক্ষণ বিহীন কুকুর দ্বারা শিকার কর, সেক্ষেত্রে যদি যবেহ করা যায়, তাহ’লে খেতে পার’। (বুখারী, ‘শিকার’ অধ্যায়, হা/৫৪৮৮; বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ৫/২৩০।)

পক্ষান্তরে যদি জানা না যায় যে, কাফিরদের পাত্রে কোন অপবিত্র বস্ত্ত তোলা হয়েছে কি-না? তাহ’লে তা ব্যবহার করা জায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের একজন মুশরিক মহিলার মশক হ’তে পানি নিয়েছিলেন এবং তা পান করেছিলেন ও ওযূ করেছিলেন। (বুখারী, হা/৩৪৪; বাংলা অনুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১৭৪; ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ ৭।)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top