বোমাটি স্টেজের নিচে পেতে রাখা ছিল। এর পূর্বে একটি ফুলদানি মঞ্চে রাখার জন্য জালসার পিছন থেকে পাঠানো হয়েছিল, যেটিতে শক্তিশালী রাসায়নিক দ্রব্য ছিল। বোমা বিস্ফোরণের পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। লোকজনের আর্তচিৎকারে সেখানকার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। সবাই প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করছিল। ৯ জন ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়েছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন ১১৪ জন। আহত ও নিহতদের পরিস্রুত রক্তে জালসা মাঠ রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল। আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ও বিল্ডিংও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ‘জমঈয়তে আহলেহাদীছ পাকিস্তান’-এর ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা হাবীবুর রহমান ইয়াযদানী (১৯৪৭-১৯৮৭), মাওলানা আব্দুল খালেক কুদ্দূসী (১৯৩৯-১৯৮৭), ‘আহলেহাদীছ ইয়ুথ ফোর্স’ প্রধান মাওলানা মুহাম্মাদ খান নাজীব, মাওলানা মুহাম্মাদ শফীক খান, জালসার সভাপতি ইহসানুল হক, নাঈম বাদশাহ, রানা যুবায়ের, ফারূক রানা, মুহাম্মাদ আসলাম, মুহাম্মাদ আলম, আব্দুস সালাম, সেলিম ফারূকী প্রমুখ। বোমা বিস্ফোরণের পর আল্লামা যহীর ২০/৩০ মিটার দূরে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু তখনও তিনি জ্ঞান হারাননি। তাঁকে মারাত্মক আহত অবস্থায় লাহোরের কেন্দ্রীয় মিউহাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে পাঁচদিন ইন্টেনসিভ কেয়ারে (নিবিড় পর্যবেক্ষণে) চিকিৎসাধীন থাকেন। (মুহাম্মাদ ছায়েম, শুহাদাউদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়্যাহ ফিল কারনিল ইশরীন (কায়রো : দারুল ফাযীলাহ, ১৯৯২), পৃঃ ১৬৬-৬৭; মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আশ-শায়বানী, ইহসান ইলাহী যহীর : আল-জিহাদু ওয়াল ইলমু মিনাল হায়াতি ইলাল মামাত (কুয়েত : ১৪০৭ হিঃ), পৃঃ ১৮-২০; ড. যাহরানী, শায়খ ইহসান ইলাহী যহীর, পৃঃ ৬৬; মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-২, পৃঃ ১১৩-১৪; ‘আদ-দাওয়াহ’, সঊদী আরব, সংখ্যা ১১১৫, ৯ নভেম্বর ১৯৮৭, পৃঃ ৩১।)
উন্নত চিকিৎসার জন্য সঊদী আরব যাত্রা :
তাঁর আহত হওয়ার খবর জানতে পেরে শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ) বাদশাহ ফাহ্দকে সঊদীতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। ২৯ মার্চ ভোর পৌনে পাঁচটার সময় সঊদী এয়ারলাইন্স যোগে তাঁকে সঊদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তান ত্যাগের পূর্বে বিমানবন্দরে আল্লামা যহীর বলেছিলেন, ‘সঊদীতে চিকিৎসা নেয়ার পর আরো জোরেশোরে ইসলামের খেদমত করব’। সঊদীতে পৌঁছার পর তাঁকে রিয়াদের বাদশাহ ফয়সাল সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা তাঁকে তাঁর পা কেটে ফেলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে সম্মত হননি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সঊদী আরব যাত্রা :
তাঁর আহত হওয়ার খবর জানতে পেরে শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ) বাদশাহ ফাহ্দকে সঊদীতে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। ২৯ মার্চ ভোর পৌনে পাঁচটার সময় সঊদী এয়ারলাইন্স যোগে তাঁকে সঊদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তান ত্যাগের পূর্বে বিমানবন্দরে আল্লামা যহীর বলেছিলেন, ‘সঊদীতে চিকিৎসা নেয়ার পর আরো জোরেশোরে ইসলামের খেদমত করব’। সঊদীতে পৌঁছার পর তাঁকে রিয়াদের বাদশাহ ফয়সাল সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা তাঁকে তাঁর পা কেটে ফেলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে সম্মত হননি।