এ ঘটনার পর আল্লামা যহীরও তাঁর বন্ধুরা বাহাইয়াদের মাহফিল, খৃষ্টানদের ইনস্টিটিউট সমূহ এবং কাদিয়ানীদের কেন্দ্র সমূহে যাতায়াতের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। এমনকি তিনি কাদিয়ানীদের কেন্দ্র ‘রাবওয়া’তে গিয়েও তাদের সাথে বিতর্ক করে বিজয়ী হন। (আল-কাদিয়ানিয়্যাহ, পৃঃ ৮-৯।)পরবর্তীতে তিনি প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার শিয়ালকোটে যেতেন এবং কাদিয়ানী সেন্টারে গিয়ে তাদের সাথে বিতর্ক করতেন ও তাদের বইপত্র সংগ্রহ করে আনতেন। (ড. যাহরানী, প্রাগুক্ত পৃঃ ২১৭।)
মাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনা করার সময় একদিন তিনি বাহাইয়াদের একটি সভার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বক্তারা আক্বীদা সম্পর্কিত একটি বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি সেই সভায় গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনেন। ইতিপূর্বে তাদের সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিল না। তিনি ৮ দিন ঐ সভায় গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনে তাদের আক্বীদা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে অবগত হন এবং জনগণকে এবিষয়ে সজাগ করেন। ফলে সেই সভা বন্ধ করে দেয়া হয়। (‘আল-আরাবিয়্যাহ’, সঊদী আরব, সংখ্যা ৮৭, রবীউছ ছানী, ১৪০৫ হিঃ, পৃঃ ৯১।)
দেশে লেখাপড়া শেষ করার পর আল্লামা যহীর উচ্চ শিক্ষার জন্য মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে ধর্মতত্ত্বে শিক্ষকদের জ্ঞানের অপ্রতুলতা লক্ষ্য করে তিনি এ বিষয়ে লেখালেখি শুরু করেন। সেখানে অধ্যয়নকালেالقاديانيةعمليةللاستعمارশিরোনামে আরবীতে প্রথম তাঁর একটি প্রবন্ধ দামেশকের ‘হাযারাতুল ইসলাম’ পত্রিকার ১৩৮৬ হিজরীর তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিদ্বানমহলে সাড়া পড়ে যায়। বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকবৃন্দ তাঁকে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে এ জাতীয় প্রবন্ধ লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। ফলে তিনি আরবীতে এ বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা অব্যাহত রাখেন। (আল-কাদিয়ানিয়্যাহ, পৃঃ ৯-১০।)মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরে তিনি দ্বীনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। এসময় তিনি বক্তৃতা জগতে সুদৃঢ়ভাবে পদচারণা অব্যাহত রাখেন এবং বিভিন্ন বাতিল ফিরকার ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস জনসম্মুখে তুলে ধরা তাঁর বক্তব্যের অবিচ্ছেদ্য উপজীব্য হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য বক্তব্যের প্রয়োজনে তাঁকে এ বিষয়ে ব্যাপক পড়াশুনা করতে হয় বলে মাহবূব জাবেদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৪৬-৪৭।)
মাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনা করার সময় একদিন তিনি বাহাইয়াদের একটি সভার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বক্তারা আক্বীদা সম্পর্কিত একটি বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি সেই সভায় গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনেন। ইতিপূর্বে তাদের সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিল না। তিনি ৮ দিন ঐ সভায় গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনে তাদের আক্বীদা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে অবগত হন এবং জনগণকে এবিষয়ে সজাগ করেন। ফলে সেই সভা বন্ধ করে দেয়া হয়। (‘আল-আরাবিয়্যাহ’, সঊদী আরব, সংখ্যা ৮৭, রবীউছ ছানী, ১৪০৫ হিঃ, পৃঃ ৯১।)
দেশে লেখাপড়া শেষ করার পর আল্লামা যহীর উচ্চ শিক্ষার জন্য মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে ধর্মতত্ত্বে শিক্ষকদের জ্ঞানের অপ্রতুলতা লক্ষ্য করে তিনি এ বিষয়ে লেখালেখি শুরু করেন। সেখানে অধ্যয়নকালেالقاديانيةعمليةللاستعمارশিরোনামে আরবীতে প্রথম তাঁর একটি প্রবন্ধ দামেশকের ‘হাযারাতুল ইসলাম’ পত্রিকার ১৩৮৬ হিজরীর তৃতীয় সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিদ্বানমহলে সাড়া পড়ে যায়। বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকবৃন্দ তাঁকে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে এ জাতীয় প্রবন্ধ লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। ফলে তিনি আরবীতে এ বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা অব্যাহত রাখেন। (আল-কাদিয়ানিয়্যাহ, পৃঃ ৯-১০।)মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরে তিনি দ্বীনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। এসময় তিনি বক্তৃতা জগতে সুদৃঢ়ভাবে পদচারণা অব্যাহত রাখেন এবং বিভিন্ন বাতিল ফিরকার ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস জনসম্মুখে তুলে ধরা তাঁর বক্তব্যের অবিচ্ছেদ্য উপজীব্য হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য বক্তব্যের প্রয়োজনে তাঁকে এ বিষয়ে ব্যাপক পড়াশুনা করতে হয় বলে মাহবূব জাবেদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৪৬-৪৭।)