রাজনীতির ময়দানে যহীর :
১৯৬৮ সালে লাহোরে ঈদের মাঠে আইয়ূব খানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর যে জ্বালাময়ী বক্তব্য প্রদান করেছিলেন তা তাঁকে রাজনীতির দৃশ্যপটে আবির্ভূত হ’তে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছালাতের খুৎবায় আমি যে বক্তব্য প্রদান করি তাকে আমার প্রথম রাজনৈতিক ভাষণও বলা যেতে পারে’। তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাগ্মী আগাসুরেশ কাশ্মীরী বলেছিলেন, ‘তুমি যদি ভবিষ্যতে বক্তৃতা দেয়া ছেড়েও দাও তাহ’লে তোমার এই এক বক্তৃতার দ্বারাই তোমাকে পাক-ভারতের কতিপয় বড় বক্তাদের মাঝে গণ্য করা যেতে পারে’। আগা সুরেশ কাশ্মীরীর এই প্রশংসাসূচক মন্তব্য সম্পর্কে আল্লামা যহীর বলেন, ‘আগা সুরেশ কাশ্মীরীর এই কথাগুলো আমার আগ্রহের পারদ বাড়িয়ে দেয় এবং আমার এই বক্তৃতা আমাকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তুলে। অনেক দিন পর্যন্ত আমার এই বক্তব্যের গর্জন দেশময় শুনা গিয়েছিল। এই বক্তব্যের প্রতিধ্বনিতে পুরা লাহোর শহর কেঁপে উঠেছিল। বস্ত্তত আমার এই বক্তব্য আমাকে রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ ময়দানে নিয়ে এসেছিল’। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, সেপ্টেম্বর ’৮৭, পৃঃ ৫২। ) এভাবে আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে তিনি শরীক হন। নওয়াবযাদাহ নাছরুল্লাহ খান আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে ‘জমহূরী মাহায’ নামে আন্দোলন জোরদার করলে আল্লামা যহীর তার সাথে যোগ দেন। (শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২৩। ) ইয়াহ্ইয়া খান, যুলফিকার আলী ভুট্টো (মৃঃ ১৯৭৯) ও যিয়াউল হকের (১৯২৪-৮৮) সময়ও তিনি রাজনীতিতে পুরাপুরি সক্রিয় ছিলেন। এসব স্বৈরশাসকদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন। এজন্য তাঁকে জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে। ভুট্টোর সময় তাঁর বিরুদ্ধে ৯৫টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে হত্যা মামলাও ছিল। (শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২৩। ) তিনি মাহবূব জাবেদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি আপনি যুলফিকার আলী ভুট্টোর শাসনামলে ইসলামী দলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেন তাহ’লে সেগুলোর মধ্যে জমঈয়তে আহলেহাদীছ এবং এর নওজোয়ান মুখপাত্র ইহসান ইলাহী যহীর-এর ভূমিকা যেকোন ইসলামী সংগঠন বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের তুলনায় কম কার্যকর দেখবেন না। যুলফিকার আলী ভুট্টোর সময় আমাকে জেল-যুলুমের সম্মুখীন হ’তে হয়েছে। ওলামায়ে কেরাম এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমিই বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমাকে শারীরিকভাবে কষ্টও দেয়া হয়েছিল’। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৫২।)উল্লেখ্য, জেল-যুলুমে নাস্তানাবুদ করেও বাগে আনতে না পেরে ভুট্টোর পক্ষ থেকে তাঁকে তাঁর পসন্দমত যেকোন আরব রাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আপোষহীন ইহসান ইলাহী যহীর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। (Dr. Ali bin Musa az-Zahrani, The Life of Shaykh Ihsan Ilahi Zahir, p. 78.)
১৯৬৮ সালে লাহোরে ঈদের মাঠে আইয়ূব খানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর যে জ্বালাময়ী বক্তব্য প্রদান করেছিলেন তা তাঁকে রাজনীতির দৃশ্যপটে আবির্ভূত হ’তে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছালাতের খুৎবায় আমি যে বক্তব্য প্রদান করি তাকে আমার প্রথম রাজনৈতিক ভাষণও বলা যেতে পারে’। তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বাগ্মী আগাসুরেশ কাশ্মীরী বলেছিলেন, ‘তুমি যদি ভবিষ্যতে বক্তৃতা দেয়া ছেড়েও দাও তাহ’লে তোমার এই এক বক্তৃতার দ্বারাই তোমাকে পাক-ভারতের কতিপয় বড় বক্তাদের মাঝে গণ্য করা যেতে পারে’। আগা সুরেশ কাশ্মীরীর এই প্রশংসাসূচক মন্তব্য সম্পর্কে আল্লামা যহীর বলেন, ‘আগা সুরেশ কাশ্মীরীর এই কথাগুলো আমার আগ্রহের পারদ বাড়িয়ে দেয় এবং আমার এই বক্তৃতা আমাকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তুলে। অনেক দিন পর্যন্ত আমার এই বক্তব্যের গর্জন দেশময় শুনা গিয়েছিল। এই বক্তব্যের প্রতিধ্বনিতে পুরা লাহোর শহর কেঁপে উঠেছিল। বস্ত্তত আমার এই বক্তব্য আমাকে রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ ময়দানে নিয়ে এসেছিল’। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, সেপ্টেম্বর ’৮৭, পৃঃ ৫২। ) এভাবে আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে তিনি শরীক হন। নওয়াবযাদাহ নাছরুল্লাহ খান আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে ‘জমহূরী মাহায’ নামে আন্দোলন জোরদার করলে আল্লামা যহীর তার সাথে যোগ দেন। (শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২৩। ) ইয়াহ্ইয়া খান, যুলফিকার আলী ভুট্টো (মৃঃ ১৯৭৯) ও যিয়াউল হকের (১৯২৪-৮৮) সময়ও তিনি রাজনীতিতে পুরাপুরি সক্রিয় ছিলেন। এসব স্বৈরশাসকদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন। এজন্য তাঁকে জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে। ভুট্টোর সময় তাঁর বিরুদ্ধে ৯৫টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে হত্যা মামলাও ছিল। (শাহাদত, মার্চ ২০০৮, পৃঃ ২৩। ) তিনি মাহবূব জাবেদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি আপনি যুলফিকার আলী ভুট্টোর শাসনামলে ইসলামী দলগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেন তাহ’লে সেগুলোর মধ্যে জমঈয়তে আহলেহাদীছ এবং এর নওজোয়ান মুখপাত্র ইহসান ইলাহী যহীর-এর ভূমিকা যেকোন ইসলামী সংগঠন বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের তুলনায় কম কার্যকর দেখবেন না। যুলফিকার আলী ভুট্টোর সময় আমাকে জেল-যুলুমের সম্মুখীন হ’তে হয়েছে। ওলামায়ে কেরাম এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমিই বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমাকে শারীরিকভাবে কষ্টও দেয়া হয়েছিল’। (মুমতায ডাইজেস্ট, বিশেষ সংখ্যা-১, পৃঃ ৫২।)উল্লেখ্য, জেল-যুলুমে নাস্তানাবুদ করেও বাগে আনতে না পেরে ভুট্টোর পক্ষ থেকে তাঁকে তাঁর পসন্দমত যেকোন আরব রাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আপোষহীন ইহসান ইলাহী যহীর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। (Dr. Ali bin Musa az-Zahrani, The Life of Shaykh Ihsan Ilahi Zahir, p. 78.)