করোনায় আক্রান্ত হলে ফলাফল নেগেটিভ আসা মানেই কিন্তু পুরোপুরি সুস্থতা নয়। করোনার পর অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি শুধু বয়স্কদেরই এমন সমস্যা হবে, এ ধারণাও একেবারে ভুল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিশোর-কিশোরীরা করোনায় আক্রান্ত হলেও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যের দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। পুষ্টিকর ও দরকারি খাওয়াদাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেন তাঁরা।
খেতে হবে অর্গানিক শাকসবজি ও ফল, ছবি: উইকিপিডিয়া
সুস্থ থাকতে হলে করোনা ও করোনা-পরবর্তী সময়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে হবে। করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্যের জন্য বাইরের ভাজাপোড়া খাবার, প্রসেসড খাবার বা রেস্টুরেন্ট থেকে ঘন ঘন খাবার কিনে খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কিছু নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খেয়ে বাড়াতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও শক্তি। যেন অন্য ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে না যায়।
ফল ও সবজির বিকল্প নেই
কিশোর-কিশোরীরা ফল ও সবজি খেতে চায় না। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে এগুলো খেতেই হবে। কোনো অবস্থায় খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। ফল ও সবজিতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। সারা দিনের অনেকটা শক্তি ও পুষ্টি—দুটোই পাওয়া যায় এই খাবার থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশেষ করে করোনার পর দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার ফল ও সবজিজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। শুধু ফল ও সবজি খেতে পছন্দ না হলে আমের কাস্টার্ড, তরমুজের সালাদ, কলার সঙ্গে পিনাট বাটার, সবজির জুস, সবজির স্যুপ, সবজির রায়তা, ঘরে তৈরি সবজি-পিৎজা ও সবজি-পোলাও খাওয়া যায়।
সব বয়সের মানুষের জন্য ডিম জরুরি প্রোটিন উৎস হিসেবে বিবেচিত
করোনায় আক্রান্ত হলেই কমে যাবে ক্যালসিয়াম
কিশোর-কিশোরীদের বাড়ন্ত বয়স। হাড় ও মাংসপেশি গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম একান্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে হঠাৎ করেই শরীরের ক্যালসিয়াম কমে যায়। তাই এই সময় প্রতিদিন দুধ, পনির, চিজ, দইজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটা কমবে।
পূরণ করতে হবে প্রোটিনের ঘাটতি
প্রোটিন করোনা-পরবর্তী দুর্বলতা ও আরও বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা থেকে সুরক্ষিত রাখে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, সয়া, সবজি খাওয়া বাধ্যতামূলক। শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনতে দিনে অবশ্যই ৭৫ থেকে ১০০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
চাই বেশি বেশি প্রোটিন
ক্যালরির পরিমাণ বাড়াতে হবে
কম ক্যালরির খাবার শরীর দুর্বল করে দেবে। সাধারণত করোনার পর শারীরিক দুর্বলতায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই ভাত, আলু, মিষ্টি আলু, হোল গ্রেইন বা শস্যদানাযুক্ত খাবার, সবজি, ওটস খেতে হবে। এগুলো ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায় ও কাজ করার শক্তি দেয়।
খেতে হবে ফল
চাই আয়রন
আয়রনজাতীয় খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। করোনার পর অনেকরই শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। আয়রনজাতীয় শাকসবজি, যেমন পালংশাক, কচুশাক, লতি ইত্যাদি খাবার খেলে শরীরের রক্ত বাড়বে।
করোনার প্রতিপক্ষ ভিটামিন সি ও ডি
করোনার পর ভিটামিন সি ও ডি খুবই দরকার। করোনার প্রতিপক্ষের নায়ক বলা হয় এই দুইটি ভিটামিনকে। লেবু, কমলা, টমেটোজাতীয় খাবারে ভিটামিন সি এবং মাছে ও দুধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সূর্যের আলোর কোনো বিকল্প নেই।
* রিফাত পারভীন
খেতে হবে অর্গানিক শাকসবজি ও ফল, ছবি: উইকিপিডিয়া
সুস্থ থাকতে হলে করোনা ও করোনা-পরবর্তী সময়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে হবে। করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্যের জন্য বাইরের ভাজাপোড়া খাবার, প্রসেসড খাবার বা রেস্টুরেন্ট থেকে ঘন ঘন খাবার কিনে খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কিছু নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খেয়ে বাড়াতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও শক্তি। যেন অন্য ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে না যায়।
ফল ও সবজির বিকল্প নেই
কিশোর-কিশোরীরা ফল ও সবজি খেতে চায় না। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে এগুলো খেতেই হবে। কোনো অবস্থায় খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। ফল ও সবজিতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। সারা দিনের অনেকটা শক্তি ও পুষ্টি—দুটোই পাওয়া যায় এই খাবার থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশেষ করে করোনার পর দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার ফল ও সবজিজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। শুধু ফল ও সবজি খেতে পছন্দ না হলে আমের কাস্টার্ড, তরমুজের সালাদ, কলার সঙ্গে পিনাট বাটার, সবজির জুস, সবজির স্যুপ, সবজির রায়তা, ঘরে তৈরি সবজি-পিৎজা ও সবজি-পোলাও খাওয়া যায়।
সব বয়সের মানুষের জন্য ডিম জরুরি প্রোটিন উৎস হিসেবে বিবেচিত
করোনায় আক্রান্ত হলেই কমে যাবে ক্যালসিয়াম
কিশোর-কিশোরীদের বাড়ন্ত বয়স। হাড় ও মাংসপেশি গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম একান্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে হঠাৎ করেই শরীরের ক্যালসিয়াম কমে যায়। তাই এই সময় প্রতিদিন দুধ, পনির, চিজ, দইজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটা কমবে।
পূরণ করতে হবে প্রোটিনের ঘাটতি
প্রোটিন করোনা-পরবর্তী দুর্বলতা ও আরও বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা থেকে সুরক্ষিত রাখে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, সয়া, সবজি খাওয়া বাধ্যতামূলক। শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনতে দিনে অবশ্যই ৭৫ থেকে ১০০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
চাই বেশি বেশি প্রোটিন
ক্যালরির পরিমাণ বাড়াতে হবে
কম ক্যালরির খাবার শরীর দুর্বল করে দেবে। সাধারণত করোনার পর শারীরিক দুর্বলতায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই ভাত, আলু, মিষ্টি আলু, হোল গ্রেইন বা শস্যদানাযুক্ত খাবার, সবজি, ওটস খেতে হবে। এগুলো ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায় ও কাজ করার শক্তি দেয়।
খেতে হবে ফল
চাই আয়রন
আয়রনজাতীয় খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। করোনার পর অনেকরই শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। আয়রনজাতীয় শাকসবজি, যেমন পালংশাক, কচুশাক, লতি ইত্যাদি খাবার খেলে শরীরের রক্ত বাড়বে।
করোনার প্রতিপক্ষ ভিটামিন সি ও ডি
করোনার পর ভিটামিন সি ও ডি খুবই দরকার। করোনার প্রতিপক্ষের নায়ক বলা হয় এই দুইটি ভিটামিনকে। লেবু, কমলা, টমেটোজাতীয় খাবারে ভিটামিন সি এবং মাছে ও দুধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সূর্যের আলোর কোনো বিকল্প নেই।
* রিফাত পারভীন