[HIDE]
একঘণ্টার মধ্যেই আমরা দিরঘাঙ্গি চেকপোস্টে পৌঁছে গেলাম ! দেখি লাহিরিদা নিজের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ! সাথে কমলদা ! কানাই গাড়ি থামাল ! গাড়ির ভিতর থেকে পিসি আর পিশেমসাই বেড়িয়ে এলেন ! দুজনের চোখেই জল ! আমি নেমে পিসি আর পিসেমসাইকে প্রনাম করলাম ! পিসিকে জরিয়ে ধরে বললাম " আমাকে ক্ষমা করে দিও ! " কমলদা আর লাহিরিদা গাড়িতে উঠে এলেন ! পিশি আর পিশেমসাইকে নিয়ে লাহিরিদার গাড়ি চলে গেলো ! গাড়িতে কেউ কোন কথা বললাম না ! লাহিরিদা বাবার সাথে টুকটাক কথা বলছিলেন ! সাড়ে তিনটেয় হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গেলাম ! গাড়ি পার্ক করতে করতে কানাই বলল " সুনন্দ তুই গিয়ে চারটে প্লাটফর্ম টিকিট কিনে নিয়ে আয় ! " বাবা বললেন কোন দরকার নেই ! আমি আছি তো !
নয় নাম্বার প্লাটফর্ম থেকে রাজধানি ছারবে মাইকে ঘন ঘন আন্যাউন্স করা হচ্ছিলো ! যেহেতু আমাদের গাড়ি আট আর নয়ের মাঝের পারকিঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে তাই আমাদের কোন অসুবিধা নেই ! কিছুক্ষনের মধ্যেই গাড়ি দিয়ে দিলো ! লাগেজ দুটো নিয়ে কানাই কম্পারটমেনটের ভিতরে ঢুকে আমার সীটের নীচে রেখে দিলো ! সবাই গম্ভির ! লাহিরিদা আর কমলদা আমার হাত দুটো ধরে বললেন " ভুলে যাস না আমাদের ! মনে রাখিস ! " দূর থেকে দেখি ঘোসদা ছুটতে ছুটতে আসছেন ! হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগ ! এসেই আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন " ট্রেনে বসে খেয়ে নিস ! নকুরের ছানার সন্দেশ আছে ! " সিগনাল হতেই বাবাকে আর সাথে সাথে সবাইকে প্রনাম করলাম ! কানাইকে হাগ করে ট্রেনে উঠে পড়লাম !
দেখতে দেখতে আড়াই মাস কেটে গেলো ! নতুন চাকরিতে এসে বুঝলাম যে পৃথিবীতে কতো কিছু জানার আছে ! আমাদের গেস্ট হাউস কালকাজিতে ! অফিস ওখলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় ! গেস্ট হাউস থেকে অফিস যেতে অটো তে মাত্র দশ মিনিট লাগে ! এতই কাজে ডুবে গিয়েছিলাম যে দিনদুনিয়া সব ভুলে গেছিলাম ! বাড়িতে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে ফোন করতাম ! বাবার সাথে কথা বলার পর মায়ের সাথেই কথা হতো ! ঝর্নার সাথে কোনোদিন কোন কথা বলিনি ! কারন দিল্লি আসার পথে অনেক ভেবেছি ! এসেও ভেবেছি ! এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একদমই ঠিক নয় ! ঝর্নাকে যেতেই হবে ! কারন ওর যাবার ঠিক হয়ে গেছে ! আরও একটা বন্ধনে আমি আর নিজেকে জরাতে চাইনা ! আমি চাইনা ঝর্না আমার জন্য নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিক ! আমি নিজে খুব খারাপ ছেলে ! লোকের চোখে বা বন্ধুবান্ধবের চোখে ভালো হলেও আমি নিজেই জানি আমার ভিতরে একটা শয়তান বাস করে ! তাকে সামলানো আমার পক্ষে কঠিন ! নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দিই " যাক যা গেছে তা যাক ! যা গেছে তা যাক ! " নিজেকে আর নিজের কাছে ছোট করতে চাইনা ! আমাদের অফিসে অনেক মেয়ে আছে ! আলট্রা মডার্ন ! অনেকেই আমার সাথে ভাব জমাতে সচেষ্ট কিন্তু আমি কাউকে পাত্তা দিই না ! একমাত্র একটিই মেয়ে আছে আমাদের রিসেপ্সনে কুলদিপ কাউর ! যাকে দেখতে একেবারে মঞ্জুর মতো ! শুনেছিলাম যে একই মুখশ্রির পৃথিবীতে সাতজন থাকে ! ওকে দেখলেই আমার বুকের ভিতর দামামা বাজতে শুরু হতো ! প্রতিদিন সকালে অফিসে ঢুকেই ওর মুখ দেখলেই আমার বুক জুড়িয়ে যেতো ! কুলদিপও প্রত্যেকদিন হাসি মুখ নিয়ে আমাকে অভ্যর্থনা জানাত ! সারাদিনের কাজ করার উৎসাহ বেড়ে যেতো ! কিন্তু আমরা কেউ কোনোদিন একে অপরের সাথে কথা বলিনি ! শুধুই হাই হ্যালো আর একটু মুচকি হাসি ছাড়া ! !
শনিবার আমাদের হাফ ডে ! গেস্ট হাউসে বসে অফিসের নতুন বন্ধুদের সাথে গল্প করছি ঠিক সেই সময়ে একটা ফোন এলো ! কেয়ারটেকার আমাকে এসে বলল " আপনার ফোন " ভাবলাম বাড়ি থেকে হয়ত ফোন করেছে ! তারাতারি গিয়ে ফোন ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা লাশ্যময়ির গলার শব্দ পেলাম ! " ক্যায়া আপ মিস্টার সুনন্দ বোল রহে হ্যায়?"
- ইয়েস আই আম !
- হাই সুনন্দ ! আই এম কুলদিপ কাউর ! ক্যান ইউ রেককনাইজ মি ?
- ওহ হোয়াট এ প্লেসেন্ট সারপারাইজ ! টেল মি হোয়াট ক্যান আই ডু ফর ইউ ?
- ক্যান উই মিট টুমরো এট ময়ুর কন্টিনেন্টাল এট ১২.৩০ ফর আ লাঞ্চ ?
- ওয়েল ! নট এন ইসু ! উইল ক্যাচ দেয়ার শার্প ১২.৩০ ! ফোন রেখে দিলাম ! হাসি মুখ নিয়ে ফিরে এলাম ! সব সময় মঞ্জু আমার চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! নিজেই নিজের মনকে মানাতে পারছিনা যে ও মঞ্জু নয় ! ও কুলদিপ ! কিন্তু মন মানতে চাইছে না !
অফিসের একজন কলিগ সেও বাঙালি তার নাম সুব্রত ! আমাকে হাসতে দেখেই বোলে উঠল " কি গুরু ! প্রেমে পরেছ নাকি !"
- না রে ভাই ! আমার জীবনে প্রেম বোলে কোন জিনিস আর কোনোদিনই আসবে না ! পরের দিন এগারোটার মধ্যেই বেড়িয়ে পড়লাম ময়ুর কন্টিনেন্টালের উদ্দেশ্যে ! একটা ভালো ড্রেস পরেছিলাম ! কন্নাট প্লেসে হোটেল ! বিরাট বড় ! হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে কুলদিপের অপেখ্যা করছিলাম ! গেটের সামনে একটা বিরাট একটা মার্সিডিজ বেঞ্জ এসে দাঁড়ালো ! গাড়ি থেকে মঞ্জু।। সরি কুলদিপ নামলো ! একটা অফ হোয়াইট চুড়িদার কামিজে কি অপূর্ব লাগছে আমার মঞ্জুকে ! নিজেই নিজেকে হারিয়ে ফেললাম ! এগিয়ে গিয়ে মঞ্জুর সাথে হাত মেলালাম ! ইচ্ছা করছিল ওকে বুকে জরিয়ে ধরি !
ওর পিছনেই আরও একটি মহিলা নামলেন ! অপার সুন্দরী পঞ্চাশঊর্ধ্ব একজন মহিলা যার শরীর থেকে রুপের আগুন আর পয়সার গরম ছলকে ছলকে পরে যাচ্ছে ! আমার সাথে হাত মেলালেন ! এবং নিজেই নিজের পরিচয় দিলেন ! " হাই ! আমার নাম কমলা কাউর ! আই এম দা এমডি অফ আই পি পি এল! অ্যান্ড শি ইজ মাই অনলি ডটার কুলদিপ কাউর ! "
আইপিপিএল ( ইন্তারন্যাসানাল প্রিন্টিং প্যাক লিমিটেড আমাদের কোম্পানির একটা সিস্টার কন্সারন !) আমি অবাক হয়ে গেলাম ! কুলদিপের মতো মেয়ে এত বড় কোম্পানির মালিকের মেয়ে হওয়া সত্তেও আমাদের অফিসে রিসেপ্সনিস্ট এর কাজ করে ? আমার বিভ্রান্তি কমলা দেবিই দূর করে দিলেন ! বললেন " আমরা ব্যবসাই ! আমরা চাই আমাদের প্রতিটি ছেলে মেয়ে ব্যবসায় দাঁড়াক ! তাই তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যই আমরা তাদের প্রথম জীবনে চাকরি করতে পাঠাই ! এতে অনেক উপকার হয় ! এক সে নিজেকে একজন কর্মী হিসাবে প্রঠিসঠিত করতে পারে ! আর অন্য দিকে বিভিন্ন লোকের সাথে মিশে মানুষের সাইকলজি জানতে পারে !
বুঝলাম ওনাদের জীবনদর্শনের মুল্যই আলাদা ! খেতে খেতে উনি আমার সমন্ধে সমস্ত কথাই জিজ্ঞাসা করে নিলেন ! আমি অকপটে আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সমস্ত বোলে দিলাম ! খাওয়া শেষ হলে উনি নিজেই আমাকে বললেন " কনগ্র্যাটস সুনন্দ ! আমি খবর পেয়েছি তুমি ডাইরেক্ট ম্যানেজারের পদে উত্তীর্ণ হয়েছ ! তোমাকে এশিয়ার বিজনেস ম্যানেজার করা হচ্ছে !"
ঠিক বুঝতে পারলাম না ! হাঁ করে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম !
তোমাকে এশিয়ার বিজনেস ম্যানেজার করা হচ্ছে !"
ঠিক বুঝতে পারলাম না ! হাঁ করে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম !
- কেউ জানেনা ! যেহেতু আমি বোর্ডে আছি তাই আম কাল জানতে পেরেছি !
[/HIDE]
একঘণ্টার মধ্যেই আমরা দিরঘাঙ্গি চেকপোস্টে পৌঁছে গেলাম ! দেখি লাহিরিদা নিজের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ! সাথে কমলদা ! কানাই গাড়ি থামাল ! গাড়ির ভিতর থেকে পিসি আর পিশেমসাই বেড়িয়ে এলেন ! দুজনের চোখেই জল ! আমি নেমে পিসি আর পিসেমসাইকে প্রনাম করলাম ! পিসিকে জরিয়ে ধরে বললাম " আমাকে ক্ষমা করে দিও ! " কমলদা আর লাহিরিদা গাড়িতে উঠে এলেন ! পিশি আর পিশেমসাইকে নিয়ে লাহিরিদার গাড়ি চলে গেলো ! গাড়িতে কেউ কোন কথা বললাম না ! লাহিরিদা বাবার সাথে টুকটাক কথা বলছিলেন ! সাড়ে তিনটেয় হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গেলাম ! গাড়ি পার্ক করতে করতে কানাই বলল " সুনন্দ তুই গিয়ে চারটে প্লাটফর্ম টিকিট কিনে নিয়ে আয় ! " বাবা বললেন কোন দরকার নেই ! আমি আছি তো !
নয় নাম্বার প্লাটফর্ম থেকে রাজধানি ছারবে মাইকে ঘন ঘন আন্যাউন্স করা হচ্ছিলো ! যেহেতু আমাদের গাড়ি আট আর নয়ের মাঝের পারকিঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে তাই আমাদের কোন অসুবিধা নেই ! কিছুক্ষনের মধ্যেই গাড়ি দিয়ে দিলো ! লাগেজ দুটো নিয়ে কানাই কম্পারটমেনটের ভিতরে ঢুকে আমার সীটের নীচে রেখে দিলো ! সবাই গম্ভির ! লাহিরিদা আর কমলদা আমার হাত দুটো ধরে বললেন " ভুলে যাস না আমাদের ! মনে রাখিস ! " দূর থেকে দেখি ঘোসদা ছুটতে ছুটতে আসছেন ! হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগ ! এসেই আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন " ট্রেনে বসে খেয়ে নিস ! নকুরের ছানার সন্দেশ আছে ! " সিগনাল হতেই বাবাকে আর সাথে সাথে সবাইকে প্রনাম করলাম ! কানাইকে হাগ করে ট্রেনে উঠে পড়লাম !
দেখতে দেখতে আড়াই মাস কেটে গেলো ! নতুন চাকরিতে এসে বুঝলাম যে পৃথিবীতে কতো কিছু জানার আছে ! আমাদের গেস্ট হাউস কালকাজিতে ! অফিস ওখলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় ! গেস্ট হাউস থেকে অফিস যেতে অটো তে মাত্র দশ মিনিট লাগে ! এতই কাজে ডুবে গিয়েছিলাম যে দিনদুনিয়া সব ভুলে গেছিলাম ! বাড়িতে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে ফোন করতাম ! বাবার সাথে কথা বলার পর মায়ের সাথেই কথা হতো ! ঝর্নার সাথে কোনোদিন কোন কথা বলিনি ! কারন দিল্লি আসার পথে অনেক ভেবেছি ! এসেও ভেবেছি ! এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একদমই ঠিক নয় ! ঝর্নাকে যেতেই হবে ! কারন ওর যাবার ঠিক হয়ে গেছে ! আরও একটা বন্ধনে আমি আর নিজেকে জরাতে চাইনা ! আমি চাইনা ঝর্না আমার জন্য নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিক ! আমি নিজে খুব খারাপ ছেলে ! লোকের চোখে বা বন্ধুবান্ধবের চোখে ভালো হলেও আমি নিজেই জানি আমার ভিতরে একটা শয়তান বাস করে ! তাকে সামলানো আমার পক্ষে কঠিন ! নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দিই " যাক যা গেছে তা যাক ! যা গেছে তা যাক ! " নিজেকে আর নিজের কাছে ছোট করতে চাইনা ! আমাদের অফিসে অনেক মেয়ে আছে ! আলট্রা মডার্ন ! অনেকেই আমার সাথে ভাব জমাতে সচেষ্ট কিন্তু আমি কাউকে পাত্তা দিই না ! একমাত্র একটিই মেয়ে আছে আমাদের রিসেপ্সনে কুলদিপ কাউর ! যাকে দেখতে একেবারে মঞ্জুর মতো ! শুনেছিলাম যে একই মুখশ্রির পৃথিবীতে সাতজন থাকে ! ওকে দেখলেই আমার বুকের ভিতর দামামা বাজতে শুরু হতো ! প্রতিদিন সকালে অফিসে ঢুকেই ওর মুখ দেখলেই আমার বুক জুড়িয়ে যেতো ! কুলদিপও প্রত্যেকদিন হাসি মুখ নিয়ে আমাকে অভ্যর্থনা জানাত ! সারাদিনের কাজ করার উৎসাহ বেড়ে যেতো ! কিন্তু আমরা কেউ কোনোদিন একে অপরের সাথে কথা বলিনি ! শুধুই হাই হ্যালো আর একটু মুচকি হাসি ছাড়া ! !
শনিবার আমাদের হাফ ডে ! গেস্ট হাউসে বসে অফিসের নতুন বন্ধুদের সাথে গল্প করছি ঠিক সেই সময়ে একটা ফোন এলো ! কেয়ারটেকার আমাকে এসে বলল " আপনার ফোন " ভাবলাম বাড়ি থেকে হয়ত ফোন করেছে ! তারাতারি গিয়ে ফোন ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা লাশ্যময়ির গলার শব্দ পেলাম ! " ক্যায়া আপ মিস্টার সুনন্দ বোল রহে হ্যায়?"
- ইয়েস আই আম !
- হাই সুনন্দ ! আই এম কুলদিপ কাউর ! ক্যান ইউ রেককনাইজ মি ?
- ওহ হোয়াট এ প্লেসেন্ট সারপারাইজ ! টেল মি হোয়াট ক্যান আই ডু ফর ইউ ?
- ক্যান উই মিট টুমরো এট ময়ুর কন্টিনেন্টাল এট ১২.৩০ ফর আ লাঞ্চ ?
- ওয়েল ! নট এন ইসু ! উইল ক্যাচ দেয়ার শার্প ১২.৩০ ! ফোন রেখে দিলাম ! হাসি মুখ নিয়ে ফিরে এলাম ! সব সময় মঞ্জু আমার চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! নিজেই নিজের মনকে মানাতে পারছিনা যে ও মঞ্জু নয় ! ও কুলদিপ ! কিন্তু মন মানতে চাইছে না !
অফিসের একজন কলিগ সেও বাঙালি তার নাম সুব্রত ! আমাকে হাসতে দেখেই বোলে উঠল " কি গুরু ! প্রেমে পরেছ নাকি !"
- না রে ভাই ! আমার জীবনে প্রেম বোলে কোন জিনিস আর কোনোদিনই আসবে না ! পরের দিন এগারোটার মধ্যেই বেড়িয়ে পড়লাম ময়ুর কন্টিনেন্টালের উদ্দেশ্যে ! একটা ভালো ড্রেস পরেছিলাম ! কন্নাট প্লেসে হোটেল ! বিরাট বড় ! হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে কুলদিপের অপেখ্যা করছিলাম ! গেটের সামনে একটা বিরাট একটা মার্সিডিজ বেঞ্জ এসে দাঁড়ালো ! গাড়ি থেকে মঞ্জু।। সরি কুলদিপ নামলো ! একটা অফ হোয়াইট চুড়িদার কামিজে কি অপূর্ব লাগছে আমার মঞ্জুকে ! নিজেই নিজেকে হারিয়ে ফেললাম ! এগিয়ে গিয়ে মঞ্জুর সাথে হাত মেলালাম ! ইচ্ছা করছিল ওকে বুকে জরিয়ে ধরি !
ওর পিছনেই আরও একটি মহিলা নামলেন ! অপার সুন্দরী পঞ্চাশঊর্ধ্ব একজন মহিলা যার শরীর থেকে রুপের আগুন আর পয়সার গরম ছলকে ছলকে পরে যাচ্ছে ! আমার সাথে হাত মেলালেন ! এবং নিজেই নিজের পরিচয় দিলেন ! " হাই ! আমার নাম কমলা কাউর ! আই এম দা এমডি অফ আই পি পি এল! অ্যান্ড শি ইজ মাই অনলি ডটার কুলদিপ কাউর ! "
আইপিপিএল ( ইন্তারন্যাসানাল প্রিন্টিং প্যাক লিমিটেড আমাদের কোম্পানির একটা সিস্টার কন্সারন !) আমি অবাক হয়ে গেলাম ! কুলদিপের মতো মেয়ে এত বড় কোম্পানির মালিকের মেয়ে হওয়া সত্তেও আমাদের অফিসে রিসেপ্সনিস্ট এর কাজ করে ? আমার বিভ্রান্তি কমলা দেবিই দূর করে দিলেন ! বললেন " আমরা ব্যবসাই ! আমরা চাই আমাদের প্রতিটি ছেলে মেয়ে ব্যবসায় দাঁড়াক ! তাই তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যই আমরা তাদের প্রথম জীবনে চাকরি করতে পাঠাই ! এতে অনেক উপকার হয় ! এক সে নিজেকে একজন কর্মী হিসাবে প্রঠিসঠিত করতে পারে ! আর অন্য দিকে বিভিন্ন লোকের সাথে মিশে মানুষের সাইকলজি জানতে পারে !
বুঝলাম ওনাদের জীবনদর্শনের মুল্যই আলাদা ! খেতে খেতে উনি আমার সমন্ধে সমস্ত কথাই জিজ্ঞাসা করে নিলেন ! আমি অকপটে আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সমস্ত বোলে দিলাম ! খাওয়া শেষ হলে উনি নিজেই আমাকে বললেন " কনগ্র্যাটস সুনন্দ ! আমি খবর পেয়েছি তুমি ডাইরেক্ট ম্যানেজারের পদে উত্তীর্ণ হয়েছ ! তোমাকে এশিয়ার বিজনেস ম্যানেজার করা হচ্ছে !"
ঠিক বুঝতে পারলাম না ! হাঁ করে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম !
তোমাকে এশিয়ার বিজনেস ম্যানেজার করা হচ্ছে !"
ঠিক বুঝতে পারলাম না ! হাঁ করে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম !
- কেউ জানেনা ! যেহেতু আমি বোর্ডে আছি তাই আম কাল জানতে পেরেছি !
[/HIDE]