What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাবা ও তার বিধবা মেয়ে by dgrahul (1 Viewer)

Ochena_Manush

Master Member
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
385
Messages
23,843
Credits
508,282
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
খড়্গপুর এর পাশেই একটি ছোটো গ্রামে, একটি একতলা ছোটো বাড়িতে থাকে দেবব্রত মজুমদার, ওরফে দেবু। দেবুর এখন বয়স ৪৪ বছর, বিপত্নীক। খড়্গপুর এর রেলের গোডাউন এর মজদুর হিসাবে কাজ করে দেবু। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি লম্বা, চওড়া বুক, পেশীবহুল দেহ। লেখাপড়া বিশেষ করেনি, তবে ভালো ফুটবল খেলতো এবং বেশ বলবান আর যেকোনো কাজ করতে পারতো। ছোটবেলায় প্রায়ই খড়্গপুরের দু চারটে ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেছে, এবং সেই সূত্রেই একজন ক্লাব সদস্য ওকে রেলের মজদুর হিসাবে চাকরি পাইয়ে দেয়। চাকরি পাবার সঙ্গে সঙ্গে, একুশ বছর বয়েসেই, দেবুর বাবা - মা, ওর বিয়ে দিয়ে দেয়, এবং দেবু তার বাবা - মা সহ, তার আঠারো বছরের বৌ, দোয়েল কে নিয়ে, খড়্গপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে।

দুই বছর আগে পর্য্যন্ত দেবু, এক সাদামোটা মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করছিলো তাহার প্রিয় পত্নী দোয়েল এর সঙ্গে। কিন্তু নিয়তি সেই সুখী দাম্পত্য জীবনে ঝড় তুলে দিলো। মাত্র ৩৯ বছর বয়সী দোয়েল হটাৎ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে, মারা যায়। দেবু প্রচন্ড ভেঙে পড়ে। সেই সময়, তাহার একমাত্র কন্যা, মাধবী, তার এক বছরের ছেলে এবং জামাই বিনোদ কে নিয়ে, তার পাশে এসে দাঁড়ায়। তাদের সান্নিধ্যে দেবু নিজেকে সাম্ভলে নিলো এবং মেয়েকেও তার মাতৃ হারার দুঃখে সান্তনা দিয়ে বুঝিয়ে, খুশি রাখার চেষ্টা করে গেলো। দিন কুড়ি পর মেয়ে জামাই তাদের বাড়ি ফিরে গেলো আর দেবু আবার তার অফিসের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজের একাকীত্ব জীবন যাপন করতে লাগলো।

দেবু আর দোয়েলের একমাত্র কন্যা মাধবী। একমাত্র সন্তান বলে অনেক অনেক আদরের ছিল। তাহারা তাহাদের একমাত্র মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি, মানে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে ছিল। বিবাহের এক বছর পার হতেই, মাধবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। চার বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনে ওদের আবার একটি সন্তানের জন্ম হতে চলেছিল। কিন্তু হটাৎ ঘটে যায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মাধবী, আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা থাকা কালীন, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবার সময় তাহাদের ট্যাক্সির সঙ্গে একটি বিপরীত মুখী লড়ির সাথে ধাক্কা লাগে এবং সেই দুর্ঘটনায় মাধবী গুরুতর আহত হয়। তার পেটের বাচ্চাটিও আঘাত পায় এবং সেই রাত্রেই মাধবীর অপারেশন করা হয়ে। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায় নি। অনেক কষ্টে, মাধবীকে বাঁচাতে পারে ডাক্তাররা, কিন্তু পেটে আঘাতের ফলে, সে কোনোদিনো আর গর্ভবতী হতে পারবে না, জানিয়ে দেয়। সেই দুর্ঘটনায় মাধবীর ছোটো ছেলে দুর্ঘটনার স্থলেই মারা যায় এবং তার স্বামী, বিনোদ চার দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে, শেষ পর্যন্ত হার মেনে, শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে। মাধবী মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিধবা হয়ে যায়।

এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বিধবা বেশে মাধবী শ্বশুর বাড়িতেই ওঠে। কিন্তু মাস দুই তিন পর, বিনোদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রেচুইটি, জীবন বীমার টাকা, ইত্যাদি, সব পাওয়ার পর, মাধবীর শশুর বাড়ির লোকেরা, সেগুলো সব নিজেরা হাতিয়ে নিয়ে, মাধবীকে অপয়া অপবাদ দিয়ে, ওদের ছেলের আর নাতির মৃত্যুর জন্য দোষী বলে অত্যাচার শুরু করলো। কথায় কথায় ওকে ডাইনি, রাক্ষুসী বলে গালাগালি দিতে লাগলো। শেষমেশ মাধবীর নামে কুৎসা রটিয়ে ওকে ওদের বাড়ির থেকে তাড়িয়ে, বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।
Hidden content
You need to reply to this thread or react to this post in order to see this content.
 

Users who are viewing this thread

Back
Top