What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Ochena_Manush

Master Member
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
366
Messages
23,155
Credits
492,637
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
হুলো বিড়াল : এই গল্পটি শুধু দুটো চরিত্র নিয়ে লেখা। দুই ভাই বোনের মধ্যে ভালোবাসা এবং তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠার কাহিনী। গল্পটির পটভূমি তখনকার, যখন মোবাইল ফোন সবে প্রথম দেশে এসেছে, এবং এখনকার মতন সকলের ঘরে ঘরে, বা সবার হাতে ছিলো না। আর যে অল্প সংখক বাড়িতে মোবাইল ফোন ছিলো, সেগুলো শুধু ফোন হিসাবেই ব্যবহার হতো। স্মার্ট ফোন তখনও শুরু হয় নি।

আশা করি সব পাঠক পাঠিকাগণ, গল্পটি ধৈর্য ধরে পড়বেন এবং আশা করি উপভোগ করবেন।

ধন্যবাদ - রাহুল দাস


হুলো বিড়াল


আমাদের পরিবার, চার সদস্যের একটি ছোটো পরিবার। এই পরিবারের আমরা চার জন সদস্য হলাম, আমার বাবা, মা, আমি এবং আমার একটি ছোটো বোন, রঞ্জিতা। বাড়ির সবাই ওকে রঞ্জু বলে ডাকে, কিন্তু ওর বেশির ভাগ বন্ধুরা ওকে রঞ্জিতা বলেই ডাকে। ওঃ হ্যাঁ, আমার নামটা বলতেই ভুলে গিয়েছি, আমি রণজিৎ, সবাই রনি বলেই ডাকে।

আমার ছোটবোন, রঞ্জিতা আর আমার বয়সের মধ্যে মাত্র আঠারো মাসের তফাৎ। এখন, (অর্থাৎ ২০১১ তে), আমার বয়স ১৯+ আর আমার বোন রঞ্জিতা সবে ১৮ পার করলো। বাবা - মা এর মুখে শুনেছি যে আমার জন্ম নাকি পরিকল্পিত, কিন্তু আমার বোনের জন্ম নাকি পুরোপুরি একটা দুর্ঘটনা বা এক্সিডেন্ট। যাই হোক, এক বছর ছয় মাস বড় হওয়া সত্ত্বেও, আমরা দুজনে কিন্তু একই ক্লাসে পড়তাম। দুর্ভাগ্যবশত পাঁচ বছর আগে, অসুখের কারণে, আমার স্কুলের একটি বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তাই ভাগ্যের এই কৌতুক লীলার কারণে আমরা দুই ভাই বোন, বছর দুই আগে একই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিই, এবং এই বছর আবার একই সাথে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার জন্য তৈরী হচ্ছিলাম। একই ক্লাসে থাকার এবং একই বিষয় গুলো নিয়ে পড়ার একটি প্রধান সুবিধা হচ্ছে, আমরা দুজনেই একই জিনিসগুলির বেশিরভাগ অনুশীলন বা পড়াশুনা করছি। সুতরাং বেশির ভাগ সময় আমরা সন্ধ্যায় একই সাথে আমাদের নিজেদের আলাদা আলাদা ঘরের পরিবর্তে, ডাইনিং রুমের টেবিলে বসে একত্রে পড়াশুনা করার এই অভ্যাসে পরেছি।

আমাদের বাবা ছিলেন একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির উচ্চ পদস্ত অফিসার আর আমাদের মা একটি ব্যাংক এর কর্মচারী। তাই সকালে আমরা সবাই প্রায় একই সঙ্গে ঘরের থেকে বের হই, আমরা দুই ভাই বোন স্কুলের জন্য, মা তার ব্যাংক এর দিকে আর বাবা তার অফিসের দিকে। বিকেলে প্রথমে আমরা দুই ভাই বোন বাড়ি ফিরতাম, প্রায় চারটা - সাড়ে চারটা নাগাদ। মা বাড়ি ফিরতো প্রায় বিকেল সাড়ে পাঁচটা - ছয়টা নাগাদ আর বাবার কোনো ঠিক নেই, কখনো সাতটা আবার কখনো রাত দশটা। আমাদের সকলের কাছেই ঘরে ঢোকার আলাদা আলাদা চাবি আছে।

আমাদের বাড়ি দোতালা, নিচে বড় একটি হল ঘর, অনেকটা 'এল' আকৃতির। এই হল ঘরটি বসার ঘর আর খাবার ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হয়। একতলায় হল ঘর ছাড়া, একটি রান্নাঘর, এবং একটি বড় শোবার ঘর ও ছিল। হল ঘরের এক প্রান্ত থেকে একটি সিঁড়ি উপরে দোতালায় উঠে গিয়েছে, যেখানে দুটো শোবার ঘর, একটি লাইব্রেরি ঘর এবং একটি লম্বা বারান্দা আছে। নিচের শোবার ঘরে বাবা - মা থাকেন এবং উপরের শোবার ঘর একটি আমার এবং অন্যটি আমার বোন রঞ্জুর। লাইব্রেরি ঘরটিতে বিভিন্ন ধরণের বই এবং একটি কম্পিউটার রাখা আছে।

আমাদের বাবা-মা খুব যে একটা রক্ষণশীল ছিলেন তা নয়, কিন্তু স্কুল আর লেখাপড়া তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর আমাদের - লেখাপড়া খারাপ যে লাগতো, তা নয়, তবে গল্পের বই পড়তেও ভালোবাসতাম। তাহারা আমাদের টিভি দেখার সুযোগগুলি আমাদের স্কুলের রেসাল্টের সাথে বেঁধে রেখে ছিলেন, যার মধ্যে আমাদের ক্লাস পরীক্ষার ফলাফল সহ প্রতিটি সন্ধ্যায় পড়াশুনার জন্য কতটা সময় ব্যয় করি তার উপরে নির্ভরশীল ছিল। তা সত্ত্বেও, তাহারা আমাদের দুজনকে সপ্তাহে একটা দিন, মানে শনিবার, রাত আটটার থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত কম্পিউটারে সিনেমার সিডি দেখার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এই স্বাধীনতা বোধ হয় আমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ভালো ফলের উপহার বলা যায়। বাকি এমন কোনো কড়াকড়ি আমাদের উপর তেমন ছিল না আর আমাদের যে খুব একটা অসুবিধা হত তা নয়, কারণ আমরা দুজনেই লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালো ছিলাম। আমরা স্কুলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলাও করতাম, এবং আমরা সোসাইটিতে খুব যে একটা জনপ্রিয় ছিলাম তা বলবো না, তবে সবার সাথে ভালো ভাবেই মিশতাম। আমাদের দুজনারোই আলাদা আলাদা বন্ধু মহল রয়েছে এবং আমরা সামাজিক বেমানান ছিলাম না। আমরা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলাম, এবং আমাদের ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ক খুবই মধুর আর খোলামেলা ছিল।


গত বছরটি বেশ কিছুটা আকর্ষণীয় ছিল, তার কারণ আমার বোন রঞ্জু, তার নিজের 'শারীরিক' বিভাগে, তার বয়সী বাকি মেয়েদের শরীরের গঠন কে শেষ পর্যন্ত প্রায় ধরে ফেলেছিলো। রঞ্জুর বক্ষের প্রকাশ, অন্যান্য মেয়েদের তুলনায় ধীর গতিতে এবং বেশ দেরিতে শুরু হয়েছিল এবং একটা সময় ছিল যখন তার যে অন্যান্য মেয়েদের মতন বক্ষ নেই, সেই জন্য সে সবসময় চিন্তিত ছিল। মাঝে মাঝে সে আমার কাছেও তাই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তখন আমি তাকে সান্তনা দিতাম আর বলতাম, "তোর বুকে দেখবি সব থেকে সুন্দর স্তন গজাবে, তখন মনে থাকে যেনো, আমি মূল্যবান কথাটি বলেছিলাম।" মাঝে মাঝে ওর বুকে ডলেও দিতাম আর বলতাম, "হ্যাঁ রে, উঠছে দুটো পাহাড় তোর বক্ষে।" রঞ্জু শুধু হাসতো আর আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার গালে চুমু খেতো।

কিন্তু এই বছর আর তা নয়। এখন আর কোনও সন্দেহ নেই কারণ এখন তার বক্ষ একটু একটু করে ভরাট হয়ে উঠেছে এবং এখন সত্যিই তার স্তনগুলি ছোটো হলেও দেখতে দুর্দান্ত ছিল। রঞ্জু তার স্তন দুটি সম্পর্কে বেশ গর্বিত ছিল এবং খুব বেশি না হলেও কিছুটা প্রদর্শনশীল পোশাক পরতে শুরু করলো। আগেও বলেছি যে আমার বাবা-মা খুব একটা ধার্মিক বা রক্ষণশীল ছিলেন না, তবুও খুব বেশি প্রদর্শনকারী বা উগ্র সাজগোজ পছন্দ করতেন না, তাই তারা রঞ্জুর পোশাক গুলির উপর নজর রেখেছিলো। কিন্তু রঞ্জু তাদের চোখে ধুলো দিয়ে, বিদ্রোহের উপায় খুঁজে বের করেছিল।

মাধ্যমিক পরীক্ষার পর, এগারো ক্লাসে উঠে, আমাদের স্কুলের পর, সপ্তাহে তিন দিন, এক ঘন্টার টিউশন ক্লাস করতে হতো। কিন্তু দুজনারি যে একই ক্লাস বা একই দিনে টিউশন ছিল তা নয়। সোম, বৃহস্পতি আর শুক্রবার আমার টিউশন ক্লাস করতে হতো আর রঞ্জুর টিউশন ক্লাস ছিল মঙ্গল, বৃহস্পতি আর শনিবার। অর্থাৎ, বুধবার স্কুলের পর যেহেতু আমাদের কোনো টিউশন ক্লাস করতে হতো না, আমরা দুজন একসঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতাম। বাড়িতে যেহেতু তখন আমরা এক দের ঘন্টা একা থাকতাম, তখন আমরা দুজন বসে মনের কথা, একজন আরেকজন কে শোনাতাম। এই ভাবেই আমাদের দিন কাটতো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top