What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (4 Viewers)

আম্পায়ারকে বলছেন একজন খেলোয়াড়, ‘স্যার, আমি যদি মনে মনে বলি, আপনাকে একটা খারাপ কথা বলি—তাহলে কি আমার সাজা হবে?’ একটুখানি ভেবে নিয়ে আম্পায়ার বললেন, ‘না তো।’ খেলোয়াড়: ও। বাঁচলাম।
 
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধিনায়ক। সাংবাদিক: আজকে আপনাদের পরিকল্পনা কী? অধিনায়ক: যে করেই হোক, বিপক্ষ দলকে আজ আমরা ১০০ রান করতে দেব না। সাংবাদিক: এত নিশ্চিত হচ্ছেন কী করে? অধিনায়ক: কারণ, আমরা আজকে আগে ব্যাট করব এবং ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাব।
 
বারবার খারাপ খেলে ভীষণ মুষড়ে পড়েছে একজন ব্যাটসম্যান। ক্লাব কর্মকর্তা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। কর্মকর্তা: তুমি যখনই ব্যাট করতে নামো, আমি অবাক হয়ে তোমাকে দেখি। বিশ্বাস করো! খেলোয়াড়: জানি। আপনি নিশ্চয়ই ভাবেন, আমি কেমন করে খেলি। কর্মকর্তা: না। আমি ভাবি, তুমি ‘কেন’ খেলো?
 
ব্যাটসম্যান বলছে বোলারকে, ‘একটা সাহায্য করবে প্লিজ? দর্শক সারিতে বসে থাকা একজনের সঙ্গে আমি বাজি ধরেছি, তোমার বলে আমি ছক্কা মারব। আমাকে একটা সহজ বল করো, যেন আমি বাজিতে জিততে পারি।’ বোলার কথামতো একটা সহজ বল করল। ব্যাটসম্যানও ছক্কা হাঁকাল। এদিকে ব্যাট ঘুরিয়েই প্যাভিলিয়নের দিকে ছুটছে ব্যাটসম্যান। বোলার বলল, ‘তুমি তো আউট হওনি। তাহলে প্যাভিলিয়নের দিকে যাচ্ছ কেন?’ ব্যাটসম্যান: যে ব্যাটার সঙ্গে বাজি ধরেছিলাম, আগে তার কাছ থেকে টাকাটা বুঝে নিই!
 
একের পর এক প্রচণ্ড গতির বলে ধরাশায়ী হচ্ছিলেন ব্যাটসম্যান, সর্দারজি। একটা বল বেচারার মুখে লাগে, তো আরেকটা লাগে বুকে। একটা মাথায়, আরেকটা পেটে। মার খেয়ে খেয়ে একসময় কোনোমতে আউট হয়ে জান বাঁচালেন তিনি। খেলা শেষে সর্দারজিকে দেখা গেল, পিচের ওপর দাঁড়িয়ে মনোযোগ দিয়ে কী যেন পর্যবেক্ষণ করছেন। গ্রাউন্ডসম্যান বললেন, ‘বাহ! সর্দারজি এখনই পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন?’ ‘আরে ধুত্তুরি। তা না। আমি আমার দাঁতটা খুঁজছি।’ সর্দারজির জবাব।
 
গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের আগে একজন ক্রিকেটারকে তাঁর রুমে ডেকে নিলেন অধিনায়ক। বললেন, ‘তুমি তো জানো, আমাদের সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। যে করেই হোক, পরের ম্যাচে বিজয় আমাদের চাই। তাই আমাদের এমন একজনকে দরকার, যার আছে দৃঢ় মনোবল। কঠিন সময়ও যে ভেঙে পড়ে না। শক্ত মন নিয়ে যে কোনো পরিস্থিতি সামলে নিতে পারে। আমার বিশ্বাস, তুমিই সেই লোক। ইয়ে মানে…আগামী ম্যাচটা তুমি খেলছ না।’
 
একজন মোটামুটি টাইপের ক্রিকেটারের বাবা ছিলেন অন্ধ। কিন্তু তিনি চোখে দেখতে না পেলেও ছেলেকে উৎসাহ দিতে ছেলের প্রতিটা ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকতেন। একটা বড় ম্যাচের আগের রাতে ক্রিকেটারের বাবা মারা গেলেন। পরের দিন ছেলেটি এত ভাল খেলে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হয়ে গেলেন। সবাই তো অবাক! সংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন, হঠাত করে এমন ভালো খেলার কারণ কী? ক্রিকেটার উত্তর দিলেন, এই প্রথম আমার বাবা আমার খেলা দেখছিলেন।
 
১৯৯১ সালে অ্যাডিলেড টেস্টে ব্যাটিং করছিলেন জাভেদ মিয়াদাঁদ। বোলার ছিলেন মার্ভ হিউজ। খেলার ফাঁকে হিউজকে ‘মোটু বাস কন্ডাক্টর’ বলে খ্যাপাচ্ছিলেন মিয়াদাঁদ। কিছুক্ষণ পরই হিউজের বলে আউট হয়ে মিয়াদাঁদ যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন, মুচকি হেসে হিউজ বলেছিলেন, ‘টিকিট প্লিজ!’
 
স্টিভ ওয়াহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছেন। ম্যাচটা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। স্টিভ ক্রিজে এসে দাঁড়াতেই পেছন থেকে পার্থিব প্যাটেল বললেন, ‘শেষবারের মতো আউট হওয়ার আগে তোমার বিখ্যাত স্লগ সুইপ খেলে নাও।’ জবাবে স্টিভ ওয়াহ বলেছিলেন, ‘সম্মান দেখিয়ে কথা বলো। আমি যখন আমার প্রথম টেস্ট খেলতে নামি, তুমি তখন ডায়াপার পরতে!’
 
ডব্লিউ জি গ্রেস একবার বোল্ড আউট হলেন। বিস্মিত হয়ে তিনি আম্পায়ারকে বলছিলেন, ‘বল উইকেটে লাগেনি, স্যার। বাতাসে বেল পড়ে গেছে।’ আম্পায়ার বললেন, ‘যে বাতাস বেল ফেলে দিতে পারে, আশা করি, সেই বাতাস আপনাকে প্যাভিলিয়নে পৌঁছে দিতেও সাহায্য করবে।’
 

Users who are viewing this thread

Back
Top