What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

এক কিপটে গেছে চিরুনি কিনতে। কিপটে: ভাই সাহেব, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে কিনা…। দোকানদার: একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে নেওয়া যায়। কিপটে: না রে, ভাই, ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে!
 
যাত্রীছাউনিতে বসে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে এক প্রেমিক। পাশেই বসে আছে তার প্রেমিকা। প্রেমিক তার চেহারায় গুরুগম্ভীর ভাব এনে বলল, মিতু, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। প্রেমিকা ধরে নিল, এখন খুবই দার্শনিক টাইপের একটা কথা হবে। তাই সে সিরিয়াসলি বলল, হ্যাঁ, বলো। প্রেমিক বলতে শুরু করল, মিতু, পৃথিবীতে চলতে হলে আমাদের অনেক কিছুরই ফারাক বুঝতে হয়, চিনতে হয়। আচ্ছা, তুমি আমাকে বলো তো, তুমি কি পাবলিক বাস আর ট্যাক্সিক্যাবের ফারাক বোঝো? প্রেমিকা মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলল, না, বুঝি না। প্রেমিক এবার লাফ দিয়ে বসা থেকে উঠে বলল, তাহলে ক্যাবে যাওয়ার দরকার নেই। পাবলিক বাসেই চলো।
 
অফিসে দুই সহকর্মীর মধ্যে কথা হচ্ছে। প্রথম সহকর্মী বলছে, ‘বুঝলেন ইদ্রিস সাহেব, বুদ্ধি থাকলে সবই হয়। আমার বুদ্ধি আছে বলেই বড় খরচের হাত থেকে বেঁচে গেলাম।’ দ্বিতীয় সহকর্মী এতক্ষণ কাজে ডুবে থাকলেও যখন খরচ থেকে বেঁচে যাওয়ার কথা শুনল তখন কান খাড়া করল, ‘কী রকম?’ প্রথম সহকর্মী আবার বলতে শুরু করল, ‘সেদিন আমার ছোট ছেলেটা চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। অনেক করে বোঝালাম। কিন্তু কে শোনে কার কথা। চিড়িয়াখানায় সে যাবেই। অজগর সে দেখবেই। এরপর আমি বুদ্ধি করে বাড়িতে বসিয়েই অজগর দেখিয়ে দিলাম।’ দ্বিতীয় সহকর্মী বেশ অবাক হলেন, ‘বলেন কী! বাড়িতে অজগর পেলেন কোথায়?’ প্রথম সহকর্মী হাসতে হাসতে বললেন, ‘একটা কেঁচো ধরে আনলাম। তারপর একটা আতশী কাঁচ দিয়ে এই কেঁচোটাই দেখিয়ে বললাম, এই দেখো অজগর।
 
ভীষণ কৃপণ বলে পরিচিত এক লোকের কাছে গিয়ে কিছু দান করতে বলল অনাথ আশ্রমের দু’জন লোক। লোকটি বলল, আচ্ছা যান, আগামীকাল আমি পাঠিয়ে দেব। পরদিন লোকটি রাস্তা থেকে ধরে এনে কয়েকটা অনাথ বালককে আশ্রমে পাঠিয়ে দিল।
 
আমার বাসার মোড়ের পানের দোকান পার হতে গেলেই এই কৌতুকটা মনে পড়ে। একবার আবুল তার বন্ধু হারুনকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছে। গলির মোড়ের পানের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আবুল বলল, ‘দেখি, একটা পান দ্যান তো।’ পানের দোকানদার স্বভাবতই জানতে চাইলেন, ‘কী দিয়ে খাবেন?’ আবুল বলল, ‘দাঁত দিয়ে।’ : না, আমি জানতে চাইলাম কীভাবে খাবেন? : কেন, চিবিয়ে খাব। উত্তর দিল আবুল। : আরে, আমি বললাম সঙ্গে কী খান? : তিনি হারুন খান, আমার বন্ধু। : ভাই, আমি বললাম আপনি কী জর্দা খান? : না, আমি আবুল খান।
 
বাজারে ডিম কিনতে গেলে আমার এই কৌতুক মনে পড়ে। ছয় ফুটের বেশি লম্বা এক ভদ্রলোক বাজারে গেছেন ডিম কিনতে। বাজারের এক কোনায় ঝুড়ি নিয়ে বসেছেন ডিমওয়ালা। ভদ্রলোক ডিমওয়ালার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ডিমের হালি কত টাকা?’ ডিমওয়ালা বললেন, ‘হালি ৩০ টাকা।’ ‘বলো কী! এত ছোট ছোট ডিম ৩০ টাকা!’ বললেন ভদ্রলোক। ভদ্রলোকের আপাদমস্তক দেখে ডিমওয়ালা বললেন, ‘স্যার, অত উঁচু থেকে দেখলে তো ছোটই মনে হইব। একটু বইসা দেখেন।’
 
বাজারে গিয়ে কোনো পানওয়ালাকে দেখলে এই কৌতুকটা মনে পড়ে আমার— এক লোক বাজারে পান বিক্রি করত। ক্রেতা আকর্ষণের জন্য হাঁক দিত, ‘লাগবে পান, পান!’ তখনই পাশের দোকানদার বলে উঠত, ‘টানব ধরে কান।’ বেচারা মহাবিরক্ত। কিছু বলতেও পারে না, সহ্যও করতে পারে না। একদিন বাসায় ফিরে স্ত্রীকে ঘটনাটা খুলে বলল সে। সব শুনে স্ত্রী জানতে চাইল, ‘ওই দোকানদার কী বিক্রি করে?’ পানওয়ালা বলল, ‘আদা।’ ‘নিশ্চয় হাঁক দেয়, “লাগবে আদা, এই লাগবে আদা!” বলে?’ জানতে চাইল স্ত্রী। হ্যাঁ–সূচক উত্তর দিল পানওয়ালা। স্ত্রী বলল, ‘তাহলে তুমি ওই হাঁক শোনার পরপরই বলবে, ‘তুই একটা গাধা। তুই একটা গাধা।’ পরদিন যথারীতি বাজারে গেল সে। দোকানে বসে হাঁকও দিল। উত্তরে আদার দোকানদার বলল, ‘টানব ধরে কান!’ তখনই এগিয়ে গেল পানওয়ালা। জানতে চাইল, ‘এই, তুই কী বিক্রি করিস?’ আদাওয়ালা বলল, ‘কেন, আদা!’ পানওয়ালা কোনোভাবেই মনে করতে পারল না স্ত্রী তাকে কী শিখিয়ে দিয়েছে। অনেকক্ষণ বসে থেকে সে বলল, ‘আচ্ছা, বিক্রি কর।’
 
ক্রেতা গেছেন পর্দার দোকানে। ক্রেতা: ভাই, আমাকে একটা পর্দা দিন তো। বিক্রেতা: কয় গজ? ক্রেতা: আরে গজ না! এক ফুট দিলেই হবে। বিক্রেতা: এক ফুট পর্দা কোন জানালায় লাগাবেন?? ক্রেতা: কেন! আমার কম্পিউটারের ‘উইন্ডোজ’-এ!
 
গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন হরিপদ। ঘুরতে ঘুরতে তিনি গেলেন ছবির দোকানে। দোকানে সারবেঁধে ঝোলানো আছে বাঁধাই করা হরেক রকম ছবি। গ্রামের দৃশ্যের ছবি, বাঘের ছবি, মোনালিসার ছবি…ইত্যাদি। ঘুরতে ঘুরতে একটা ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন হরিপদ। দোকানদারকে ডেকে বললেন, এই বিচ্ছিরি ছবিটার দাম ৫০০ ট্যাকা? এইডা তো আমি ফিরি দিলেও নিমু না! দোকানদার বললেন, ছবি কই? ওটা তো আয়না!
 
শফিক সাহেব গেছেন দোকানে ফল কিনতে। শফিক: ভাই, অফিসের বদমেজাজি বসের জন্য আপেল নেব। আপনার আপেলে কি কীটনাশক দেওয়া আছে? দোকানদার: (ফিসফিস করে) আমার আপেলে তো কীটনাশক দেওয়া নাই। তবে পাশের দোকানে কীটনাশক পাওয়া যায়! ঢাইলা দিমু এক শিশি?
 

Users who are viewing this thread

Back
Top