সরদারজি একবার ৩০০ পৃষ্ঠার একটা বই লিখলেন। বইয়ের নাম ঘোড়া কীভাবে দৌড়ায়। মলাট ওল্টালে বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে আরও একবার বইয়ের নাম লেখা। বাকি ২৯৯ পৃষ্ঠাজুড়ে লেখা, ‘টকা টক টকা টক টকা টক…’।
সর্দারজি বলছেন তাঁর এক বন্ধুকে, ‘জানিস, সেদিন দেখি একটা উঁচু ভবনে প্রচণ্ড আগুন লেগেছে।’ বন্ধু: তারপর? সর্দারজি: তারপর আর কি? আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ভেতরে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। একে একে কয়েকজনকে কাঁধে তুলে জলদি বেরিয়ে এলাম। বন্ধু: তারপর? সবাই নিশ্চয়ই তোকে খুব বাহবা দিল? সর্দারজি: না। পরে জানলাম, তাঁরা সবাই দমকলকর্মী ছিল!
সর্দারজি হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন ব্যাংকে। কর্মকর্তাকে বললেন, ‘আমার এখনই টাকা তোলা দরকার। কিন্তু আমি প্রায় এক মাস আগে আমার চেকবই হারিয়ে ফেলেছি।’ কর্মকর্তা: এত দিন আগে চেকবই হারিয়েছেন, আর এখন এ কথা বলছেন? কেউ যদি আপনার সই নকল করে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে ফেলে? সর্দারজি: আমাকে কি এত বুদ্ধু ভেবেছেন? সই যাতে নকল করতে না পারে, সে ব্যবস্থা আগেই করে রেখেছি। চেকবইয়ের সব পাতায় সই করে রেখেছি!
ছোটবেলা গোপাল ভাঁড় কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে বুড়োরা তাকে ক্ষেপাত আর হাসত, ‘গোপাল, এর পর তোমার পালা।’ শুনে গোপালের খুব রাগ হত। বুড়োদের কিভাবে জব্দ করা যায়, সেই পথ খুঁজতে লাগল এবং এক সময় পেয়ে গেল। শবদাহ আর শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঐসব বুড়োদের বলতে লাগল, ‘এর পর তোমার পালা!’
সরদারজি গেছেন পতাকা কিনতে। সরদারজি: আমাকে একটা বড় পতাকা দিন তো। আজ তো ক্রিকেট ম্যাচ আছে, পতাকা নিয়ে মাঠে যাব! দোকানদার পতাকা দেখালেন। সরদারজিও বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে পরখ করলেন। অতঃপর বললেন, কাপড়টা তো ভালোই…অন্য কোনো রং হবে?!