What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (2 Viewers)

পন্ডিত মশাই একবার মহারাজের কাছে তার ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বললেন, আপনার ছেলে মোটেই লেখাপড়া করছে না! পড়ার সময় এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। আরও লেখাপড়ায় মাথা একেবারেই ঘামায় না। রাজা ছেলের ওপর প্রচন্ড রেগে গিয়ে পন্ডিত মশায়কে বললেন, এবারও যদি পাঠশালায় যায়, বেশ কষে কান টানবেন। মহারাজের কথা শুনে গোপাল সঙ্গে সঙ্গে বলল আপনি যথার্থই বলেছেন, কান টানলেই মাথা আসে। সকলে তখন হেসেই লুটোপুটি।
 
গোপাল একবার বরযাত্রী হয়ে বিয়ে বাড়ীতে গিয়েছিল। কনে পক্ষের একজন বয়ষ্ক রসিক ব্যক্তি গোপালের সঙ্গে রসিকতা করার উদ্দেশ্যে বললে, এই যে গোপাল তুমিও দেখছি বরযাত্রী হয়ে এসেছ। জানো তো ‍আমাদের এখানে অনেক বাদর আছে। এখানে বাদরের অত্যাচার ভীষণ। অবশ্য তোমার চেহারও বাদরের মত। বাদরদের মধ্যিখানে তোমাকে মানাবে ভাল কি বলো? বাদর যদি কেউ ইতিপূর্বে না দেখে থাকে- এ যাত্রায় বাদর দেখাও হয়ে যাবে। আর কথা খাওয়াও দেখবে। গোপাল তখন কনেপক্ষের সেই ভদ্রলোককে বলল, মশায় এর আগেও আমি ঢের বাদর দেখেছি কিন্তু আপনার মতো এমন অসভ্য বাদর কোথাও কোনদিন দেখিনি! এবার ভদ্রলোক মুখের মাপমত জবাব পেয়ে একেবারেই চুপ।
 
গোপাল একবার এক বড় মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল। মেলায় গোপাল মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় একটা উটকো লোক এসে গোপালকি জড়িয়ে ধরলো আচ্ছা দাদা কাশিতে মরলে লোক স্বর্গে যায় আর ব্যাস কাশীতে মরলে নাকি গাধা হয়। কিন্তু যারা কাশি ও ব্যাসকাশীর ঠিক মাঝখানে মরে, তারা কি হয়? আপনি বলতে পারেন দাদা আমার জানতে ইচ্ছে? গোপাল বললে- মশায়, তারা আপনার মতো উটকো হয়। কথা নেই বার্তা নাই চেনা নাই শুনা নাই…. দুম করে জড়িয়ে ধরে প্রশ্ন। একে বলে উটকো লোক।
 
সর্দারজি একদিন বলছেন তাঁর বন্ধুকে—জানিস, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে আমি কী করি? বন্ধু: কী করিস? সর্দারজি: আমাদের বিয়ের ভিডিও দেখি। বন্ধু: কেন? সর্দারজি: কারণ, আমি ভিডিওটা ‘রিওয়াইন্ড’ মুডে দেখি। সবকিছু উল্টো হতে থাকে। আমার স্ত্রী হাত থেকে আংটি খুলে ফেলে, আমাকে রেখে গাড়িতে উঠে চলে যায়। দেখতে বড় ভালো লাগে!
 
সর্দারজি ফোন করলেন এয়ারকন্ডিশনার সারাইয়ের দোকানে। বললেন, কী মুশকিল বলুন তো, আমার এয়ারকন্ডিশনারটা সকাল থেকে কাজ করছে না। দোকানদার বললেন, এক কাজ করুন। এয়ারকন্ডিশনারের প্লাগটা খুলে আমার কাছে নিয়ে আসুন। কিছুক্ষণ পর সর্দারজি দোকানে হাজির হলেন, হাতে এয়ারকন্ডিশনারের প্লাগ!
 
সর্দারজি: দোকানদার ভাই, আপনার দোকানে ভালো সাবান আছে? দোকানদার: অবশ্যই আছে। সর্দারজি: ভালোমতো হাত পরিষ্কার হয় তো? দোকানদার: অবশ্যই হয়। সর্দারজি: জীবাণু থেকে যায় না তো? দোকানদার: না। সর্দারজি: ঠিক আছে। সাবান দিয়ে ভালোমতো হাত ধুয়ে এক কেজি আটা দিন।
 
সর্দারজি তাঁর এক বছর বয়সী ছোট্ট শিশুটির আধো আধো বোল রেকর্ড করে রাখছিলেন। সর্দারজির বন্ধু: সে কী, এইটুকুন বাচ্চার কথা রেকর্ড করছ কেন? সর্দারজি: বড় হলে জিজ্ঞেস করব, ও আসলে কী বলতে চাইছিল!
 
সর্দারজিকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘সর্দারজি, তুমি কি প্রেম করে বিয়ে করবে, নাকি বিয়ে করে প্রেম করবে?’ সর্দারজি বললেন, ‘অবশ্যই বিয়ে করে প্রেম করব। শুধু আমার স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে না গেলেই হয়!’
 
পোস্ট অফিসে গিয়ে বলছেন সরদারজি, ‘দেখুন তো, আমার নামে কোনো চিঠি এসেছে কি না?’ পোস্টমাস্টার: আপনার নাম কী? সরদারজি: আপনি বুদ্ধু নাকি? খামের ওপর নামটা দেখে নিলেই পারেন!
 
এখন বাবা তামাক খাচ্ছেন। গোপাল কলকে পাবার আশায় বসে আছে। গোঁসাই মাঝেমাঝে এমন জোরে টান দিচেছন যে তাতে গোপালের মনে হচ্ছে, এই বুঝি এবার গোঁসাইয়ের তামাক খাওয়া শেষ হলো। সে অমনি হাত বাড়াচ্ছে কলকের জন্যে। কিন্তু গোঁসাই এর তামাক খাওয়া আর শেষ হয় না। শেষে গোঁসাইবাবা বলে উঠলেন কি হে! বারে বারে বেড়ালের মত থাবা বাড়াও কেন? কিছু দেখছ নাকি? গোপাল বললে-ইদুর ভেবে হাত বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি এটা ছুঁচো-ছাড়া আর কিছু নয়। গোঁসাইবাবা এবার তোতলামির হাসি হেসে কলকেটা গোপালকে দিয়ে বললেন-এবার পেসাদ টান বাবা। আমার শাস্তি হয়ে গেছে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top