What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Bangla joks (1 Viewer)

একদিন একটি বিশাল ধর্মসভায় বক্তৃতা হচ্ছিল সেখানে গোপালও ছিল বক্তৃতা শুনছে। একজন সকালবেলায় যে বক্তৃতা দিলেন, বিকালবেলার অন্য একজনও সেই একই বক্তৃতা দিলেন- একই ভাষা, একই কথা। লোকজন সবাই অবাক। শেষে সকলে শুনে বললে, এরূপ কি কোনদিন হয়? গোপাল বলল নিশ্চয়ই বক্তৃতা কিনে এনেছেন। দৈবক্রমে একই বক্তৃতার কপি দুজনে কিনে এনে তাই উগরাতে গিয়ে বামাল শুদ্ধ ধরা পড়েছেন, আর কি। এই শুনে সকলে গোপালের উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ করে হাসির রোল তুলে সবাই সভা মাতিয়ে দিল।
 
এক ভদ্রলোক গোপালের কর্মচারীর কাছে এসে বললে, আপনাদের বাবু নাকি কানে খাটো? ধান শুনতে গান শুনে কানে হাত দিয়ে তান ধরেন? এই বলে সে দমভরে হাসতে লাগল। কর্মচারীটি তখন বললে, একটু আস্তে কনমশাই। বাবু পাশেই বসে আছে, শুনতে পারলে সর্বনাশ হবে। আপনার কাছে মোটেই ভাল তা ঠেকবে না। গায়ের ঝাল মিটিয়ে গাল দিয়ে আপনাকে পয়মাল করে ছেড়ে দেবে। ভদ্রলোক তখন চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে।
 
গোপালের মেয়ের প্রথম সন্তান হবে। গর্ভবতী অবস্থায় গোপালের মেয়ে গোপালের বাড়িতে সন্তান প্রসবের জন্য এসেছিল। রাতে শুতে যাবার আগ মেয়ে মাকে বললে আমার ‍আজ বড্ড ঘুম পাচ্ছে, আমি শুতে যাচ্ছি-আমার যখন প্রসব বেদনা উঠবে, তখন তুমি আমায় জাগিয়ে দিতে ভুল কর না যেন মা। মেয়ের এই কথা শুনে গোপালের স্ত্রী হেসে বললে, প্রসব বেদনা উঠলে আমায় আর কষ্ট করে তোমাকে জাগাতে হবেনা মা তুমিই সকলকে জাগিয়ে পাড়া মাতিয়ে তুলবে। তুমি এখন নিশ্চিন্তে মনে ঘুমুতে পার।
 
গোপালের এক প্রতিবেশী চৈত্র মাসে পুকুর কাটিয়ে বললেন, চৈত্র মাসে পুকুর কেটে রাখলুম, বর্ষাকালে জলে ভরে যাবে থৈ থৈ হয়ে যাবে। আর জলের কষ্ট থাকবে না আমাদের। কিন্তু রাতের বেলা তিনি যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন আচমকা বৃষ্টি হওয়ায় পুকুরের খানিকটা জল জমে গেল। ভদ্রলোক সকাল বেলা পুকুরপাড়ে এসে পুকুর জল দেখে গোপালকে ডেকে বললেন, একি ব্যাপার বলুন তো। জল কোথা থেকে এল? আমার ত কিছুই মাথায় আসছে না। গোপাল তখন বলল, এ যে দেখছি মেঘ না চাইতেই জল। বোধ হয়, আপনার ভক্তির ভেক দেখে।
 
রাস্তা দিয়ে গোপাল একদিন যাচ্ছিল, যেতে যেতে দুজন ভদ্রলোকের সঙ্গে হঠাৎ পথেই দেখা। একজন গোপালের চেনা জানা, সেই ভদ্রলোক গোপালকে অন্য ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, ইনি একজন বিরাট পন্ডিত ইনি তোর মত ষাঁড়ের গোবর নন, এর নাম পন্ডিত দিগগজ ভট্টাচার্য্ । একেবারে বিদ্যের আস্ত একখানা জাহাজ আর মধ্যে আছে। ভদ্রলোকের কথা শুনে গোপাল মুচকি হেসে বললে, জাহাজ তো এখানে কেন? সাগর জলে ভাসিয়ে দিন না তা হলে।
 
বদর মোল্লার মা একদিন গোপালের কাছে এসে কান্নাকাটি করে বললে, আমি একন কি করি, ছেলেটা কাল রাগ করে চলে গেছে, আজও বাড়ি ফেরেনি। ওই তো আমার একমাত্র ছেলে। টাকা পয়সা যা চাইছিল আমি দেব না বলতে রেগে চলে গেছে। গোপাল মোল্লার মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললে, মোল্লা যখন বেশিদূর যেতে পারবে না। মোল্লার দৌড় তো মসজিদ পর্যন্তই। এর বেশি সে কোথায় আর যাবে? সত্যি সত্যিই গোপালের কথা ঠিক হল।
 
কবি ভারতচন্দ্র নূতন এক মধুর রসাত্মক কাব্য রচনা করেছেন। এই কাব্যখানা রাজাকে পড়ে আজ শুনাবেন বলে রাজসভায় আসছেন সবাই জানে। গোপালও জানে, আজ রায় গুনাকর আসছেন। সেজন্য গোপাল তাড়াতাড়ি এসেছে। কবি ভারতচন্দ্র আদি রসাত্মক কাব্যগ্রন্থ নিয়ে যখন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে পড়ে শোনাতে রাজসভায় প্রবেশ করলেন, তখন গোপাল কবিকে কাব্যগ্রন্থখানা হাতে নিয়ে রাজসভায় ঢুকতে দেখে চেঁচিয়ে বলে উঠল, ওকি করছেন দাদা, আপনার হাতের রসের ভান্ডটি ঢেকে রাখুন, নইলে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি উড়ে এসে বসবে, ঝাঁপ দিয়ে পড়বে যে। কবি ও মহরাজা সকলে হাসিতে যোগ দিলেন।
 
গোপালের বাড়িতে একটা অল্পবয়েসী চাকর ছিল। সে ছিল খুব সরল। কখনও ছল, চাতুরী মারপ্যাঁচ ধরত না। পাওনাদারের ডাকাডাকিতে গোপাল অস্থির হয়ে একদিন চাকরকে বললে বলগে যা, আমি বাড়ি নেই। বুঝলি? ঠিক মত বলবি যেন ভুলে না যাস। যদি ভুল করিস এলে গলাধাক্কা খাবি মনে থাকে যেন। চাকরটা বড়ই প্রভুভক্ত। সে তখনই পাওনাদারদের কাছে গিয়ে বললে, বুঝেছেন, বাবু বললেন যে, তিনি এখন বাড়িতে নেই। শুনেই পাওনাদার যা বোঝার বুঝল ও আকর্ণ হাসিতে বদন ভরিয়ে ফেলল এবং না হেসে থাকতে পারল না।
 
গোপালের বাবার শ্রাদ্ধের দিন পাওনা গন্ডা কম পাওয়ার জন্য অসন্তুষ্ট হয়ে বামুন ঠাকুর বললেন, তুই বেটা অপঘাতে মারা যাবি। আমাকে ঠকানো? আমার কথা ফলে কি না দেখ। গোপাল সে কথা শুনে নির্বিকারভাবে বললে, আমার তো তবু মৃত্যুর যা হোক একটা কিনারা হলো, কিন্তু আপনাকে যে যমেও ছোঁবে না ভটচার্জি মশাই। শেষ পর্যন্ত আপনার কি দশা হবে ভেবে দেখেছেন ঠাকুরমশাই? সময় থাকলে ভাবুন।
 
গোপাল একদিন হাটে গেছিল। হঠাৎ জানাশুনা একজনের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। হাটের মাঝখানে সেই ভদ্রলোক তার ছয় ছেলের সঙ্গে গোপালের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললে বড় ছেলের ডাকনাম-আলু, মেজ ছেলের ডাকনাম-পটল, তৃতীয় ছেলের ডাকনাম রেখেছি ঝিঙ্গে, চতুর্থ ছেলের ডাকনাম রেখেছি কাঁচকলা আর পঞ্চম ছেলের ডাকনাম রেখেছি উচ্ছে, ষষ্ঠ ছেলের নাম সজনে। ভদ্রলোকের কথা শুনে গোপাল হেসে বললে, অতো নামানামি না করে একসঙ্গে সুক্তো ডাকলেই পারতেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top