What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি - ২০১৯ (4 Viewers)

Status
Not open for further replies.
বাকরখানি রুটিও বেশ প্রসিদ্ধ............
এখন বাংলাদেশের যেখানেই এই বাকরখানি তৈরি করা হউক না কেনো এর সূতিকাগার যে পুরান ঢাকা এটা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ... এক সময় শুধু পুরান ঢাকাতেই এর অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিলো। এখন অনেক জায়গায়ই পাওয়া যায়। তবে ছোটবেলায় খাওয়া পুরান ঢাকার বিখ্যাত বাকরখানির সে স্বাদ আর পাই না। কেউ কেউ বলে স্পেশাল বাকরখানি (আগের সেই বাকরখানি ) খেতে চাইলে নাকি অন্তত একদিন আগে তাদের কাছে ফরমায়েশ পেশ করে রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে স্পেশাল মূল্যে স্পেশাল সেই বাকরখানি পাওয়ার একটা সুযোগ থেকে যায়...
 
না না মামু, তিনি নন। এটা বলেছিলো ২০০৮ সালের দিকে তৎকালীন সরকারপ্রধান জেনারেল মঈনুদ্দিন.......
আমি সেটা শুনিনি। ওই সময় এরকম কিছু বলে থাকলেও সেটার প্রতিফলন কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
তবে এরশাদের আমলে এর বেশ ভালো একটা প্রভাব পড়েছিলো। এমনকি জাতীয় সম্প্রাচার মাধ্যমও সেটা তখন নিয়মিত সম্প্রচার করতো। অনেক পরিবারই তখন তার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাতের সাথে আলুর সংমিশ্রনে এক জাতীয় খাবার তৈরিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের বাড়ির আশেপাশের অনেক পরিবারই এরকম রান্না করতো দেখে তাদের সেই রান্না খে য়েও দেখেছিলাম। আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগেনি। বরং কৃচ্ছতা সাধনের জন্য ভাল একটা পদ্ধতি বলেই আমার কাছে মনে হয়েছিলো।
 
এই জিনিষটা ও একবার ট্রাই করেছিলাম, কিন্ত স্বাদ বা মজা পাই নি। কেন যে মানুষ এটা খায়, সেটা ও বুঝতে পারি নি।
আমিও আমার পোলারে খুব শখ কইরা দুইখান গুলগুলা আইন্যা দিছিলাম। দুই কামড় দিয়া কইলো- বাবা, এইটা তুমি কি আইন্যা দিছো ? আমি তো এইটার কোনো স্বাদ পাই না। কতো কস্ট কইরা যে দূর থাইক্যা এইটা তারে আইন্যা দিছিলাম সেই ব্যাখ্যা না দিয়া পোলার না খাওয়া অবশিস্ট দেড়খান গুলগুলা নিজেই খাইলাম। ডায়াবেটিসের বাঁধা না থাকলে আমি আবারো সেই জায়গায় যাইতাম যেখানে এই গুলগুলা পাওয়া যায়, কিন্যা খাওনের লাইগ্যা। আমার কাছে এতোটাই স্বাদ লেগেছিলো। বউরে কথাটা কইতেই বউ কইলো, তোমার মুখের স্বাদ আর তোমার পোলার মুখের স্বাদ কি এক নাকি ! তুমি কতো সালে জন্মাইছো আর সে কত সালে জন্মাইছে ?
আসলেই প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে স্বাদেরও যে এরকম বদল হইতে পারে সেইটা আমি ভুইল্যাই গেছিলাম... আমাগোর সময় নুডলস আছিলো না, সেই কারনে সেইটার স্বাদও তুলনা করতে পারি না। হ্যতো পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা বল্বে এটা কি কইরা লোকেরা খায়, কিংবা এটাতে কি স্বাদ আছে যে এটা এইভাবে খাওয়া লাগবে... !!
 
এই মাইনষেরে ধইরা সত্যি একদিন কিলানের দরকার। অহনই সামনে পাইলে কি যে করতাম !!

উফফ, হাতটা খালি নিসপিসাইতেছে।
মনে আছে, মামা ?
জিন্দা পার্কের আড্ডায় আপনি মাওড়ার দোকানের বাকরখানি নিয়া আইছিলেন...
খাবারের পর খাবারের সেই আড্ডায় অনেকেই সেই বাকরখানিকে মূল্যায়ন না করলেও আমি কিন্তু দুই দুইখান সাটাইয়া দিছিলাম এই ভরা পেটেও। অতিরিক্ত হওয়া সেই বাকরখানি নস্ট না করে সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। আর সব কিছু মাঝপথে কাউকে দিয়ে দিলেও বাকরখানিগুলো আমি বাসায় নিয়ে এসেছিলাম... ছোট বোন ছিলো ঐদিন আমার বাসায়। খেয়ে বলেছিলো, অনেক স্বাদের এই বাকরখানি আমি কোথায় পেলাম ? খুব গর্ব ভরে তখন আমি আপনার নামটা তাকে বলেছিলাম।
সত্যিই সেই বাকরখানির তুলনা হয় না !
রানী খালারে এরকম কোনো বাকরখানি খাওয়াতে পারলে মনে হয় রানী খালা মত পাল্টে ফেলতেও পারেন !!
 
আসলে পুরান ঢাকার লোকের জিভ আর স্বাদ আলাদা
একটা ফল আছে, বাইরে কাটা থাকে
খুব সাবধানে ছিলতে হয়, চাকু দিয়ে,
কিন্তু স্বাদ এত কষটে, মুখে দেয়া দায়
এই জিনিস আমার পুরান ঢাকার বন্ধুরা নেশার মত খায়
ফলটার নাম ভুলে গেছি, দীপু মামা নিশ্চয়ই বলতে পারবে
স্বাদের ব্যাপারে একেক এলাকার লোকজনের বিশেষ কিছু রান্না থাকে যা ঐ এলাকার লোকেদের জন্য খুব সুস্বাদু হলেও সবার কাছে সেটা সুস্বাদু নাও হতে পারে। তবে আমার ক্ষেত্রে আমি বলতেই পারি, যে এলাকার খাবারই হউক না কেনো, স্বাদের কোনো কিছু আমার মুখে স্বাদের লাগেই। সেটা কখনো আমার মুখে বিস্বাদ হয়ে যায় না। এই যেমন ধরেন, নোয়াখালি অঞ্চলের নারিকেল ডাল কিংবা নারিকেল দেয়া টক রান্না আমার কাছে খুবই সুস্বাদু মনে হয়। কিন্তু এটাই আবার আমাদের এলাকার অনেকের কাছেই খুব একটা ভালো লাগে না। তাদের ধারনা নারিকেল দিয়ে আবার তরকারী রান্না হয় কিভাবে ? কিন্তু ঠিকমতো রান্না করতে পারলে আর মুখের স্বাদটার স্বাধীনতা দিলে যে এই ধরনের রান্নাও চমৎকার স্বাদের হতে পারে সেটা আমার চাইতে ভালো আর কে জানে !!
 
আরে নাহ
নামটা ভিন্ন, কিন্তু আমার মনেই থাকে না
ছবি ছাপাইয়া দেন। দিপু মামায় দেইখ্যা নামটা কইয়া দিবোনে...
 
আড্ডার অংশ ঠিক বলা যাবে না। রেটিংস দিয়ে আড্ডার অনুভুতি বুঝানো গেলেও এই ধরনের নেগেটিভ রেটিংস নিয়মিত দিয়ে যাওয়াটা খুব একটা শোভন দেখায় না ! এটা অনেকটা কাউকে অপমান করার মতো মনে হয় ! এমনিতেই তো আমরা আমাদের অনুভুতিগুলো লিখে জানাতে পারি। মতানৈক্য কিংবা অপছন্দের ব্যাপারেও ব্যাখ্যা সহ লিখে জানালেই বরং ভালো হয়। যেটা প্রায়শই আমরা করেও থাকি। সেক্ষেত্রে রেটিংয়ের মাধ্যমে না হয় আমরা সেটা প্রকাশ নাইবা করলাম...
এটা আড্ডা সেটা মনে করেই করতে হবে সব। আমি নিজেও নিজের মতামত এভাবেই প্রকাশ করে থাকি। সেকারণেই এসব like dislike ইমোজি দেয়া এখানে। এসবকে তেমন সিরিয়াস ভাবে না নেয়াই ভালো, এগুলো শুধুমাত্র আড্ডার ছলেই চলে।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top