গতকাল আর আজকে সকালে বেশ চমৎকার রোদ উঠেছিলো। কিন্তু দুপর গড়াতে না গড়াতেই রোদকে আর দেখা যায়নি। একেবারেই ভ্যানিশ হয়ে সে জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের সিম্বল ঘোলাটে একটা আবহ সৃস্টি হয়। আর সেই সাথে বইতে থাকে উত্তরের সেই হিম বাতাস। যদিও বাতাসটা আমার কাছে তেমন একটা খারাপ লাগেনি, তবুও অনেকেরই সে বাতাসে গুটিসুটি মেরে যাওয়া দেখে সকালের সেই রৌদ্রকারোজ্জল তপ্ত আবহাওয়ার এহেন পরিবর্তনে মনটা বিষন্ন হয়ে গেছে...
এখন বাংলাদেশের যেখানেই এই বাকরখানি তৈরি করা হউক না কেনো এর সূতিকাগার যে পুরান ঢাকা এটা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ... এক সময় শুধু পুরান ঢাকাতেই এর অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিলো। এখন অনেক জায়গায়ই পাওয়া যায়। তবে ছোটবেলায় খাওয়া পুরান ঢাকার বিখ্যাত বাকরখানির সে স্বাদ আর পাই না। কেউ কেউ বলে স্পেশাল বাকরখানি (আগের সেই বাকরখানি ) খেতে চাইলে নাকি অন্তত একদিন আগে তাদের কাছে ফরমায়েশ পেশ করে রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে স্পেশাল মূল্যে স্পেশাল সেই বাকরখানি পাওয়ার একটা সুযোগ থেকে যায়...
আমি সেটা শুনিনি। ওই সময় এরকম কিছু বলে থাকলেও সেটার প্রতিফলন কোথাও হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এরশাদের আমলে এর বেশ ভালো একটা প্রভাব পড়েছিলো। এমনকি জাতীয় সম্প্রাচার মাধ্যমও সেটা তখন নিয়মিত সম্প্রচার করতো। অনেক পরিবারই তখন তার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাতের সাথে আলুর সংমিশ্রনে এক জাতীয় খাবার তৈরিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের বাড়ির আশেপাশের অনেক পরিবারই এরকম রান্না করতো দেখে তাদের সেই রান্না খে য়েও দেখেছিলাম। আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগেনি। বরং কৃচ্ছতা সাধনের জন্য ভাল একটা পদ্ধতি বলেই আমার কাছে মনে হয়েছিলো।
২০০৮ সালের দিকে হঠাৎ চালের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে তৎকালীন সরকার প্রধান জেনারেল মঈনুদ্দিন আলুর ব্যাপারে নিজের মতামতটা পেশ করে, এরপর থেকে অনেকেই তাকে আলু মঈন বলতে শুরু করেছিল
নান্না, হাজী বা ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানি, সব গুলিই থার্ড ক্লাস। আর মামা হালিম এর রেটিং তো ও ১ থেকে ১০ এর মধ্যেই পড়ে না, ওটার নম্বর আরও পড়ে। সব গুলিই বাজে। আপনাড়া যদি হাজী, নান্না, আর ফখরুদ্দিনের বিরিয়ানি খেয়ে খুব ময়াজ বলেন, তাহলে আপনারা ভালো স্বাদের বিরিয়ানি খেয়ছেন কি না সন্দেহ আছে আমার। এক কালে মামা হালিম ভালোই ছিল, কিত্নু এখন চরম খারাপ।
আগেই বলেছি, স্বাদের ব্যাপারটা একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন এরা সবাই স্ব স্ব জায়গায় বিখ্যাত। আর বিখ্যাত হওয়া মানেই অধিকাংশের ভালো লাগা... এখন আমার কিংবা আপনার ভালো না লাগতেই পারে। জনপ্রিয়তার দৃস্টিকোন থেকে উল্লেখিত খাবারগুলো বেশীরভাগ লোকেরা গ্রহণ করেছেন কিংবা তাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা প্রমানীত !! এখন তাদের সেই বিখ্যাত রন্ধনশৈলী তারা কতোটুকু ধরে রাখতে পেরেছে কিংবা খাবারের মান কেনো পড়ে গেছে সেটা বিবেচনার দায়ভার আমাদের নয়। তারা তাদের রন্ধন কৌশল কিংবা রন্ধনশৈলীতা দিয়েই আজকের অবস্থান যে সৃস্টি করেছিলেন সেটা তো আর অস্বীকার করতে পারবো না !!