মে'রাজুন্নবী (ছাঃ)
মে'রাজ বলে পরিচিত ঐতিহাসিক ঘটনাটি দু'টি অংশে বিভক্ত। প্রথমে ইসরা হরবং পরে মে'রাজ। 'ইসরা' অর্থ নৈশভ্রমণ হরবং মি'রাজ অর্থ সিঁড়ি। শারঈ পরিভাষায় মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে ফিলিস্তীনের বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত বোরাকের সাহায্যে শেষরাতের স্বল্পকালীন নৈশভ্রমণকে 'ইসরা' বলা হয় হরবং বায়তুল মুক্বাদ্দাস মসজিদ থেকে ঊর্ধ্বগামী সিঁড়ির মাধ্যমে মহাকাশের সীমানা পেরিয়ে আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাতকে মি'রাজ বলা হয়। নবী জীবনে হরটি ছিল হরকটি অলৌকিক ও শিক্ষাপ্রদ ঘটনা। পবিত্র কুরআনে সূরা বনু ইসরাঈলের ১ম আয়াতে 'ইসরা' হরবং সূরা নজমের ১৩ থেকে ১৮ মোট ৬টি আয়াতে 'মি'রাজ' সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। পুরা ঘটনাটি ২৫ জন ছাহাবী বর্ণিত রাসূলের হাদীছসমূহে বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে। যা অকাট্টভাবে প্রমাণিত ও মুসলিম উম্মাহ্র নিকটে সর্বতোভাবে গৃহীত। তবে সূরা বনু ইসরাঈলের ১ম আয়াতেই ইসরা ও মি'রাজের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য বিধৃত হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, 'পরম পবিত্র সেই মহান সত্তা, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রির হরকাংশে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত, যার চতুস্পার্শ্বকে আমরা বরকতময় করেছি, যাতে আমরা তাকে আমাদের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিতে পারি। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা (বনু ইসরাঈল ১৭/১)। উক্ত আয়াতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি প্রতীয়মান হয়। যেমন-