বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন : সাম্রাজ্যবাদের নতুন মন্ত্র !
আল্লাহ্ বলেন, 'জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের কৃতকর্মের জন্য, আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাত চান, যাতে তারা ফিরে আসে' (রূম ৩০/৪১)।
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় 'বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন'। যাকে কেন্দ্র করে কেউ পাহাড়ের উপরে (নেপাল), কেউবা সমুদ্রের নীচে (মালদ্বীপ) বৈঠক করছে। আবার কেউবা বিশ্ব নেতাদের মুখোশ পরে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ করছে। এছাড়া সেমিনার, সিম্পোজিয়াম তো আছেই। বাংলাদেশ রয়েছে নেতৃত্বের আসনে। কখনও ফোন দিচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, আবার কখনওবা ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী। অন্যদিকে কেউ একে এনার্জি ভিক্ষার বুলি বলে মন্তব্য করছে। এমনই এক উত্তপ্ত প্রেক্ষাপট নিয়ে ইউরোপে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১২ দিন ব্যাপী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। আর একটি সম্মেলন হ'তে যাচ্ছে মেক্সিকোতে।
প্রশ্ন হ'তে পারে, কেন এই শতাব্দীতে জলবায়ু এত সমালোচিত বিষয়? উন্নত দেশগুলো এই আলোচনা শুরু করেছে কেন? জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণগুলো আসলে কি? এই বিপর্যয় থেকে রক্ষার উপায় কি? ইত্যাদি, ইত্যাদি...।
এই শতাব্দীর পূর্বে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কোন আলোচনা শোনা যায়নি। এই শতাব্দীতে জলবায়ুর এমন কি হ'ল? হ্যাঁ, হয়েছে। এই শতাব্দীর শুরুতে ১৯১৪-১৮ সালে হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ১৯৩৯-৪৫ সালে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যার ভয়াবহতার সাক্ষী জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকি। সেখানে আজকেও যে শিশুটির জন্ম হয়, সে বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নেয়।
এই শতাব্দীতে পৃথিবীব্যাপী শুরু হয় নিউক্লিয়ার টেস্টের মহোৎসব। আমেরিকা ১০৩০টি এবং রাশিয়া ৭১৫টি পরীক্ষা চালায় বিভিন্ন স্থানে অথবা এন্টার্কটিকায়, যার ফলে বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যায় বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপ, সুপারসনিক বোমা, মানুষবিহীন ড্রোন বিমান সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব তো রয়েছেই।