#মায়াবতী ১ম পর্ব
আমরা চার পাঁচজন বন্ধু মিলে পুজোর অনুষ্ঠান দেখবো বলে এক বন্ধুর ভার্সিটিতে যাই।যদিও আমার যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না।তাও বন্ধুদের জোরাজুরি আর পীড়াপীড়িতে আমি তাদের সাথে যাই।সবাই কথা বলতে বলতে যখন অডিটোরিয়াম রুমের দিকে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমি তাকে প্রথমবার দেখি।ওকে দেখেই আমি থমকে দাঁড়িয়ে যাই।আমার মনে হচ্ছিল আমি বুঝি কোন এক স্বর্গে দাঁড়িয়ে আছি আর আমার আসেপাশে কিছুই নেই।আমাদের ঠিক উল্টোদিক থেকে সে হেঁটে আসছিল।অপূর্ব মায়াবতী এক মেয়ে যার পরনে নীল শাড়ি,হাতে লাল চুড়ি,কপালে লাল টিপ,খোলা চুল আর চোখে গোল চশমা।চশমা টা তাকে আরো বেশি মায়াবতী করে তুলেছে।
সে আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায়।সে চলে যাবার পরেও তার আবেশটা আমার মধ্যে রয়ে যায়।আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বন্ধুরা ধাক্কাধাক্কি করে ডাকতে থাকে।ওদের ডাকে আমি চমকে উঠি।ভেবেছি আমি বোধহয় স্বপ্ন দেখিছি।আমার চোখ তখন শুধু সেই মায়াবতীকে খুঁজছিল।সারা অডিটোরিয়াম রুম আমার চোখ শুধু সেই শাড়ি পরা অপূর্ব মায়াবতী মেয়েটিকেই খুঁজছিল।
সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চাইছে।কিন্তু দেরি হয়ে যাবার কারণে পুরো অডিটোরিয়ামে কোথাও জায়গা খালি নেই যে একটু বসবো।কিছুক্ষণ পর একটা চেয়ার খালি হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই চেয়ারে কে যেন একটা ব্যাগ রেখে দিয়েছে।
আমার এই করুণ অবস্থা দেখে আমার বন্ধুরা কথা বলে সেই ব্যাগওয়ালা খালি চেয়ারে আমার বসার ব্যবস্থা করে দেয়।সারাদিনের ক্লান্তি আর এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চেয়ারে যখন বসি কৃতজ্ঞতায় বন্ধুদের থ্যাংকস বলে ফেলি।
লেখিকাঃ Taslima Kazi
আমরা চার পাঁচজন বন্ধু মিলে পুজোর অনুষ্ঠান দেখবো বলে এক বন্ধুর ভার্সিটিতে যাই।যদিও আমার যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না।তাও বন্ধুদের জোরাজুরি আর পীড়াপীড়িতে আমি তাদের সাথে যাই।সবাই কথা বলতে বলতে যখন অডিটোরিয়াম রুমের দিকে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমি তাকে প্রথমবার দেখি।ওকে দেখেই আমি থমকে দাঁড়িয়ে যাই।আমার মনে হচ্ছিল আমি বুঝি কোন এক স্বর্গে দাঁড়িয়ে আছি আর আমার আসেপাশে কিছুই নেই।আমাদের ঠিক উল্টোদিক থেকে সে হেঁটে আসছিল।অপূর্ব মায়াবতী এক মেয়ে যার পরনে নীল শাড়ি,হাতে লাল চুড়ি,কপালে লাল টিপ,খোলা চুল আর চোখে গোল চশমা।চশমা টা তাকে আরো বেশি মায়াবতী করে তুলেছে।
সে আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায়।সে চলে যাবার পরেও তার আবেশটা আমার মধ্যে রয়ে যায়।আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বন্ধুরা ধাক্কাধাক্কি করে ডাকতে থাকে।ওদের ডাকে আমি চমকে উঠি।ভেবেছি আমি বোধহয় স্বপ্ন দেখিছি।আমার চোখ তখন শুধু সেই মায়াবতীকে খুঁজছিল।সারা অডিটোরিয়াম রুম আমার চোখ শুধু সেই শাড়ি পরা অপূর্ব মায়াবতী মেয়েটিকেই খুঁজছিল।
সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চাইছে।কিন্তু দেরি হয়ে যাবার কারণে পুরো অডিটোরিয়ামে কোথাও জায়গা খালি নেই যে একটু বসবো।কিছুক্ষণ পর একটা চেয়ার খালি হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই চেয়ারে কে যেন একটা ব্যাগ রেখে দিয়েছে।
আমার এই করুণ অবস্থা দেখে আমার বন্ধুরা কথা বলে সেই ব্যাগওয়ালা খালি চেয়ারে আমার বসার ব্যবস্থা করে দেয়।সারাদিনের ক্লান্তি আর এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চেয়ারে যখন বসি কৃতজ্ঞতায় বন্ধুদের থ্যাংকস বলে ফেলি।
লেখিকাঃ Taslima Kazi